গত জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রায় সে দলটাই আজ রাতে হাংজুতে এশিয়ান গেমসের ১৯তম আসরে খেলতে দেশ ছাড়ছে।
ইমার্জিং এশিয়া কাপের মতো এশিয়ান গেমসেও ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলে নেতৃত্বে সাইফ হাসান। সাইফের মতো জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে এই দলের জাকির হাসান, ইয়াসির আলী, আফিফ হোসেন, রিশাদ হোসেন, শাহাদাত হোসেন, মাহমুদুল হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও পারভেজ হোসেনের। সবার একটাই লক্ষ্য—সোনা জয়।
২০১০ সালে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের প্রথম আসরে সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ, ২০১৪ সালে জিতেছিল ব্রোঞ্জ। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট হয়নি। এবার বাংলাদেশ নারী দল ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে।
হাংজুতে বাংলাদেশের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র পদক সেটি। এবার পদক পাওয়ার আশা ছেলেদের ক্রিকেটেও। আজ রাতেই হাংজুর উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা তাদের।
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ বিসিবির হাই পারফরম্যান্স বিভাগের প্রধান কোচ ডেভিড হেম্প। ইমার্জিং এশিয়া কাপেও তিনিই ছিলেন দায়িত্বে। সে টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ।
এবার হেম্প শিরোপা ছাড়া কিছুই ভাবছেন না। আজ প্রথম আলোকে তিনি মুঠোফোনে বলেছেন, ‘আমি এখানে কাজ করছি বেশি দিন হয়নি। তবে দেশ হিসেবে আমাদের সবার এ ধরনের টুর্নামেন্টের ফাইনালে যাওয়ার প্রত্যাশা করা উচিত, ফাইনাল জেতার প্রত্যাশা করা উচিত।’
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ছেলেদের ক্রিকেট দল : পারভেজ হোসেন, ইয়াসির আলী, সাইফ হাসান (অধিনায়ক), জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন, মাহমুদুল হাসান, রকিবুল হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, সুমন খান, জাকের আলী, নাহিদ রানা, রিপন মণ্ডল, হাসান মুরাদ, আফিফ হোসেন, রিশাদ হোসেন।
এশিয়ান গেমসে হেম্প চ্যালেঞ্জ জানাতে চান ভারত, পাকিস্তানকেও, ‘এই অঞ্চলে ভারত ও পাকিস্তানকে সম্ভাব্য শিরোপা জয়ী দল ধরা হয়। আমরা কেন তাদের চ্যালেঞ্জ করব না? আমরা কেন এ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হব না? আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমরা তাদের থেকে কোনো অংশে কম নই। এটা মানসিকতার ব্যাপার। আর এই মানসিকতা আসে টুর্নামেন্ট জেতার মাধ্যমে। আমরা সেটাই শুরু করতে চাই। টুর্নামেন্ট জিততে চাই।’
মেয়েদের ক্রিকেটের মতো ছেলেদের ক্রিকেটেও বাংলাদেশ দল ৪ অক্টোবর সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। তবে সরাসরি খেলা অন্য তিন দল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাছাইয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।