রোহিত–কোহলিরা যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছেন, গর্বিত টেন্ডুলকার

নিজের ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকারছবি: এএফপি

১৯৮৩ সাল, ভারতের ক্রিকেটের জন্য ছিল অন্য রকম একটি বছর। প্রবল পরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেবার নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ভারত। কপিল দেবের নেতৃত্বে সেই বিশ্বকাপ জয়ই ভারতে আনে ক্রিকেট জোয়ার। সেই জোয়ার অনেকের মনেই রোপণ করেছিল ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নের বীজ, রোপণ করেছিল আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের বীজও। শচীন টেন্ডুলকার তাঁদের মধ্যে একজন।

যে স্বপ্ন সেই ১০ বছর বয়স থেকে বুকে লালন করে আসছিলেন, সেটা টেন্ডুলকার পূরণ করতে পারেন ২০১১ সালে। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে সেবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন কিংবদন্তি টেন্ডুলকার।

আরও পড়ুন
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উন্মোচন করা হয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের ভাস্কর্য
ছবি: এএফপি

এক যুগ পর ভারতে হচ্ছে আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আবার বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ভারতীয়রা। ক্রিকেটপাগল দেশটির মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দুর্দম্য গতিতে এগিয়ে চলেছেন রোহিত শর্মা–বিরাট কোহলিরা। প্রথর পর্বে টানা ৬ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে রোহিতের ভারত। সামনে পড়া সব দলকেই উড়িয়ে দিচ্ছে তারা।

রোহিতের নেতৃত্বে এমন গতিতে এগিয়ে চলা ভারতের খেলা দেখে গর্ব বোধ করছেন টেন্ডুলকার। গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উদ্বোধন করা হয় টেন্ডুলকারের ভাস্কর্য। সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে ১৯৮৩ সালের গল্প শোনানোর সঙ্গে রোহিত–কোহলিদের খেলায় নিজের মুগ্ধতার কথাও বলেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।

আরও পড়ুন
ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি
ছবি: এএফপি

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ভারতের ম্যাচ দেখতে যাওয়া নিয়ে টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘সালটা ছিল ১৯৮৩ এবং বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতে এসেছিল। সেটা নিয়ে ছিল তুমুল উত্তেজনা। বান্দ্রা থেকে আমার ভাইয়ের বন্ধুরা এসেছিলেন। তাঁরা সবাই ম্যাচটি দেখার সিদ্ধান্ত নেন এবং অবশ্যই আমাকেও যেতে বলা হয়। আমি পুরো ম্যাচ নর্থ স্ট্যান্ডে বসে দেখেছি।’

রোহিত–কোহলিরাও এবার যেন ভারতের মানুষের মনে সেই উন্মাদনাই ফিরিয়ে দিচ্ছেন, এমনটাই মনে করেন টেন্ডুলকার, ‘আমাদের দলের সবাই মিলে ভিন্ন একটা ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে। তারা এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলেছে, আমি অনেক গর্বিত ও আনন্দিত।’

আরও পড়ুন