ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থেকে বিরতিতে কোহলি
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এক বিশ্বকাপ আসরে সর্বোচ্চ ৭৬৫ রান করে পেয়েছেন টুর্নামেন্ট-সেরার স্বীকৃতি। কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত হেরে যাওয়ায় একরাশ হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
বিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই আবারও মুখোমুখি দুই ফাইনালিস্ট ভারত-অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির বাধ্যবাধকতা থাকায় দুই দল করোনাকালের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে এখন। প্রায় দুই মাস বিশ্বকাপ খেলার পর কোহলি এই সিরিজে বিশ্রামে রয়েছেন। ধারণা করা হয়েছিল, আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে ফিরবেন।
কোহলি ফিরবেন ঠিকই। তবে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দিয়ে নয়, টেস্ট দিয়ে। ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান আপাতত সাদা বলের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে চান বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী ৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে ভারতীয় দল। সেই সফরে তারা খেলবে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট। ১০ ডিসেম্বর প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। প্রথম ওয়ানডে ১৭ ডিসেম্বর। আর টেস্ট সিরিজ শুরু ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডেতে।
কোহলি এই তিন সিরিজের মধ্যে শুধু টেস্ট খেলবেন বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি বিশ্বস্ত সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছে, ‘সে (কোহলি) বিসিসিআই ও নির্বাচকদের জানিয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেট থেকে তার বিশ্রাম দরকার। যখন সে চাইবে, আবার ফিরবে। এ মুহূর্তে সে শুধু লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চায়। এর মানে দক্ষিণ আফ্রিকায় তাকে দুটি টেস্ট ম্যাচে পাওয়া যাবে।’
আগামী জুন-জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সাদা বলের ক্রিকেট থেকে বিরতিতে চলে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সংস্করণে শুধু একটি সিরিজ খেলার সুযোগ পাবেন কোহলি। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতে যাবে আফগানিস্তান। কোহলি সেই সিরিজেও না ফিরলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সংস্করণে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন না। আইপিএল খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে হবে।
এদিকে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে কোহলি বিরতিতে যাওয়ায় অনেকের মনে একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে—তবে কি তিনি ধীরে ধীরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন?
অবশ্য সম্ভাব্য আরেকটি কারণও আছে। কোহলির স্ত্রী আনুশকা শর্মা নাকি অন্তঃসত্ত্বা। নতুন বছরেই তাঁদের ঘরে আসতে চলেছে নতুন সদস্য। এই সময়টা তাই আনুশকার পাশেই থাকতে চাইছেন কোহলি।
বিশ্বকাপ শেষে লন্ডনে গেছেন কোহলি। আপাতত পরিবারের সঙ্গে সেখানে ছুটি কাটাচ্ছেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও ছুটি কাটাতে গেছেন যুক্তরাজ্যে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, রোহিত ভারতে ফিরলেই দলের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ ও প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার।
অবশ্য এর আগে জানা গিয়েছিল, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর খেলবেন না রোহিত। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই এ সংস্করণের বাইরে আছেন ভারত অধিনায়ক।