নিজের সঙ্গে হওয়া ‘বাজে ব্যবহার’ নিয়ে মুখ খুললেন রমিজ রাজা
ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর হঠাৎ করেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধানের পদ থেকে রমিজ রাজাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির সরকার। তাঁর জায়গায় পিসিবির প্রধান করা হয়েছে নাজাম শেঠিকে। বরখাস্ত হওয়ার পর চুপ করেই ছিলেন রমিজ। অবশেষে তিনি মুখ খুলেছেন গতকাল। জানিয়েছেন, বরখাস্ত করার পর তাঁর সঙ্গে বাজে ব্যবহারও করা হয়েছে।
রমিজ রাজা এসব কথা বলেছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। গতকাল তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে এসে ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানে তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘তারা ক্রিকেট বোর্ডে এক প্রকার আক্রমণই করেছে। এমনকি তারা আমার জিনিসপত্রগুলো নেওয়ারও সুযোগ দেয়নি। সকাল ৯টার দিকে ১৭ জনের একটি দল অফিসে আসে। তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছিল, অফিস তল্লাশি করতে যেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির লোকেরা এসেছে।’
নাজাম শেঠিদের ক্রিকেটের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই বলেই মনে করেন রমিজ রাজা। শেঠি আর তাঁর লোকেরা নিজেদের স্বার্থের জন্য ক্রিকেট পরিচালনায় আসে বলে মন্তব৵ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান, ‘তাদের ক্রিকেটে কোনো আগ্রহ নেই। ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্ষমতার জায়গায় বসায়। তারা চায়, মানুষ তাদের সামনে নত থাকবে।’
রমিজ রাজার অধীনে ভালোই চলছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট। দেশটিতে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে শুরু করেছিল। অথচ তাঁকে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ ঝরে পড়েছে রমিজের কথায়, ‘একজন ব্যক্তিকে নিয়ে আসতে আপনারা ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধানই বদলে ফেললেন। নাজাম শেঠিকে নিয়ে আসতে সংবিধান বদলানোর প্রয়োজন ছিল। এমনটা আমি পৃথিবীতে আর কোথাও দেখিনি।’
রমিজ রাজা এরপর যোগ করেন, ‘মৌসুমের মাঝখানে, যখন দলগুলো পাকিস্তানে আসছে, আপনারা এমনটা করলেন। এরপর প্রধান নির্বাচককে বদলালেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম (প্রধান নির্বাচক হিসেবে) ভালো করছিল, নাকি খারাপ করছিল, সেটা বড় কথা নয়। সে একজন সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার। তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদায় দিতে হবে।’
নাজাম শেঠির আচরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ রমিজ রাজা বলেছেন, ‘এই নাজাম শেঠি রাত সোয়া ২টার সময় টুইট করল—রমিজ রাজা বরখাস্ত হয়েছে। আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলেছি, এটাই আমার জায়গা। এটা দেখতে খুব খারাপ লাগে যে ক্রিকেটের বাইরে লোকেরা এসে এমন ভাব করার চেষ্টা করছে যে তারা ত্রাতা। আমি জানি, তাদের আচরণ অক্রিকেটীয়। এসব লোকেরা এখানে আসে পাদপ্রদীপের আলোয় থাকতে।’