টানা ১১ ম্যাচে হেরে বিপিএল শেষ সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ও উইকেটশিকারির দল ঢাকার
অধরা জয়ের জন্য দুর্দান্ত ঢাকার শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ৩৩ রান। চটগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিলাল খান ১৯তম ওভারে ১১ রান দিলে সমীকরণটা নেমে আসে ৬ বলে ২২ রানে। শহীদুল ইসলামের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে মোসাদ্দেক হোসেন এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মারলেও শেষ পর্যন্ত ১১ রানের বেশি নিতে পারেনি ঢাকা।
চট্টগ্রামের ৬ উইকেটে ১৫৯ রানও টপকাতে পারেনি ঢাকা। তাদের ইনিংস থামে ৫ উইকেটে ১৪৯ রানে। ঢাকার বিপক্ষে ১০ রানের জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল চট্টগ্রাম। আর টানা ১১ হারের লজ্জার রেকর্ড নিয়ে বিপিএল শেষ করল ঢাকা। বিশ্বের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এক আসরে টানা এত বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড নেই আর কোনো দলের।
প্রতি ম্যাচের মতো আজও ঢাকার টপ অর্ডার থেকে একজন রান করলেন, বাকিরা ব্যর্থ। অ্যাডাম রসিংটন (১) ও সাব্বির হোসেন (০) দ্রুত আউট হলেও মোহাম্মদ নাঈম ও অ্যালেক্স রস ঢাকার ইনিংসটাকে গভীরে নিয়ে যান। নাঈম ২৯ রানে আউট হলেও রসের ব্যাট থেকে এসেছে এবারের বিপিএলে তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৪৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৫ রান করে আউট হওয়া রস এখন বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
রান তাড়ায় ১৭তম ওভারে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে রস আউট হলেও মোসাদ্দেকের ১৮ বলে ৩০ রান ম্যাচটাকে শেষ ওভারে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম ৩ ওভারে ১২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
চট্টগ্রামও আজ টপ অর্ডার থেকে বড় রান পেয়েছে। দলটির ওপেনার তানজিদ হাসান ভালো শুরু পাচ্ছিলেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই। কিন্তু ইনিংস বড় হচ্ছিল না। আজ তিনি সে বৃত্তটা ভাঙলেন, ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংসে। উদ্বোধনে নেমে দলের ২৪ রানের সময় ২ উইকেট হারালেও তানজিদ টিকে ছিলেন ১৯তম ওভার পর্যন্ত। ছোট ছোট জুটি গড়েছেন। চট্টগ্রামের ইনিংসটাকে করেছেন লম্বা। বড় জুটিটি এসেছে চারে নামা টম ব্রুসের সঙ্গে। নিউজিল্যান্ডের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ৬৮ বলে ৯৫ রান যোগ করেন তানজিদ।
ব্রুস ৩৫ বল খেলে করেছেন ৪৮ রান। ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন এই কিউই। তানজিদ ইনিংসটি সাজিয়েছেন ছক্কায় ছক্কায়। ৫১ বল খেলে ৭০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১টি চার ও ৬টি ছক্কায়। ১৩৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি ছিল এবারের বিপিএলে তানজিদের সেরা। বরাবরের মতো আজও ঢাকার সেরা বোলার শরীফুল ইসলাম। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি। ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নেওয়া শরীফুল এখন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৫৯/৬ (সৈকত ০, তানজিদ ৭০, ব্রাউন ১১, ব্রুস ৪৮, শেফার্ড ৩, শুভাগত ৯, শাহাদাত ৬*, শহীদুল ০*; মোসাদ্দেক ৪–০–২৯–১, শরীফুল ৪–০–১৭–২, তাসকিন ৪–০–৩৮–২, এনামুল ৩–০–৩১–০, চতুরঙ্গা ১–০–১৫–০, উইলিয়ামস ৪–০–২৭–১)।
দুর্দান্ত ঢাকা: ২০ ওভারে ১৪৯/৫ (নাঈম ২৯, রোসিংটন ১, সাব্বির ০, রস ৫৫, উইলিয়ামস ৯, মোসাদ্দেক ২৯*, শুক্কুর ১৪*; শুভাগত ৩–০–১২–২, বিলাল ৪–০–২৪–১, সালাউদ্দিন ৪–০–৩০–১, শেফার্ড ৪–০–৩২–০, নিহাদুজ্জামান ২–০–১৮–০, শহীদুল ৩–০–৩০–১)।
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তানজিদ তামিম।