- এবার ফাইনালের পালা!
- টস
- শ্রীলঙ্কা একাদশে একটিই পরিবর্তন
- দলে এসেই একাদশে ওয়াশিংটন
- শুরুতেই বৃষ্টির হানা
- সুখবর
- হাথুরুসিংহের সাক্ষাৎকার
- ৪-১০ মিনিটে শুরু হবে খেলা
- প্রেমাদাসায় উৎসবের আমেজ
- বুম বুম বুমরা
- এশিয়া কাপ ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন______?
- মেডেনে শুরু সিরাজের
- দর্শক
- এবার সিরাজের আঘাত
- ৩ বলে ২ উইকেট সিরাজের
- ৪ বলে ৩ উইকেট সিরাজের
- ১ ওভারে সিরাজের ৪ উইকেট
- শ্রীলঙ্কার বীভৎস শুরু
- সিরাজের পঞ্চম
- ওয়ানডেতে এত বাজে শুরু দেখেনি শ্রীলঙ্কা
- শ্রীলঙ্কাই শঙ্কায় এবার
- ভাসের পাশে সিরাজ
- ৩১/৬, ১০ ওভার
- সিরাজের ষষ্ঠ
- হায়, শ্রীলঙ্কা!
- পান্ডিয়ার উইকেট, শ্রীলঙ্কা হারাল ৮ উইকেট
- সিরাজ, সিরাজ
- ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মোহাম্মদ সিরাজ।
- শ্রীলঙ্কার ৫০, এরপর নেই নবম উইকেট
- শ্রীলঙ্কা ৫০ রানে অলআউট। এশিয়া কাপের ফাইনালে।
- যে স্কোরকার্ড শ্রীলঙ্কার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো
- সিরাজময় দিন
- যে ফাইনাল অবিশ্বাস্য
- গিলের সঙ্গে কিষান
- ২ ওভারে ১৭
- তর সইছে না ভারতের
- ৫ ওভারে ৪৫
- ১ রান, বাকি ৪৪ ওভার ও ১০ উইকেট
- ২০২৩ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত
এবার ফাইনালের পালা!
টুর্নামেন্টটি শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় ছিল কোথায় হবে তা নিয়ে। আবহাওয়া, জটিল সূচি, টুর্নামেন্টের মাঝপথে প্লেয়িং কন্ডিশন বদলে ফেলা- আলোচনা বেড়েছে শুধু। অবশেষে আজ ফাইনালের পালা।
এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি ভারত। সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরে যারা একটু চাপেই আছে। যদিও সে ম্যাচে সেরা একাদশটি খেলায়নি তারা।
বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে আজও। তবে ফাইনালে আগে থেকেই রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।
এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
টস
হেডস কল করেছিলেন দাসুন শানাকা। প্রেমাদাসার উল্লাসের মাঝে ঘোষণা এসেছে, তিনি জিতেছেন তাতে। আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছেন, শুষ্ক এ উইকেটে টসে জিতলে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন তিনিও।
শ্রীলঙ্কা একাদশে একটিই পরিবর্তন
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আগেই ছিটকে গেছেন মহীশ তিকশানা। স্পিনারের জায়গায় এসেছেন আরেকজন স্পিনার। তিকশানার জায়গায় খেলবেন লেগ স্পিনার দুশান হেমন্ত।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
পাতুন নিশাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দুনিথ ভেল্লালাগে, দুশান হেমন্ত, প্রমোদ মাদুশান ও মাতিশা পাতিরানা।
দলে এসেই একাদশে ওয়াশিংটন
ভারতও বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া চোটের কারণে হারিয়েছে অক্ষর প্যাটেলকে। তাঁর জায়গায় একাদশে এসেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রামে থাকা নিয়মিত মুখরাও ফিরেছেন।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), ঈশান কিষান, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ।
শুরুতেই বৃষ্টির হানা
টস হয়ে গেছে, মাঠে নামতে প্রস্তুত ভারতের ফিল্ডার ও ব্যাটসম্যানরা। এমন সময়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলম্বোয়। কাভার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো মাঠই।
সুখবর
কলম্বো থেকে আমাদের প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ জানিয়েছেন, কলম্বোয় বৃষ্টি থেমেছে। সরানো হচ্ছে কাভার। খেলা শুরুর সময় জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরেকটু।
হাথুরুসিংহের সাক্ষাৎকার
বৃষ্টিতে এখনো শুরু হয়নি ভারত ও শ্রীলঙ্কার ফাইনাল। এ সুযোগে পড়তে পারেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সাক্ষাৎকার।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে একজন অধিনায়কত্ব ছাড়লেন, আরেকজন পেলেন। এটিও নিশ্চয়ই আদর্শ পরিস্থিতি নয়...
হাথুরুসিংহে: অবশ্যই আদর্শ নয়। বেশি কিছু বলতে গেলে বিতর্ক হতে পারে, তাই এ নিয়ে তেমন কিছু বলছি না। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার কোচ থাকার সময়ও একই অবস্থায় পড়তে হয়েছিল আমাকে। ছয় মাসের মধ্যে তিনজন অধিনায়ক নিয়ে খেলা কিছুতেই আদর্শ হতে পারে না। দিমুত করুনারত্নে অধিনায়ক হয় বিশ্বকাপের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে। এটিকে কোনো পরিকল্পনা বলার সুযোগ তো নেই-ই, বরং বলতে হয় রাবিশ। অথচ আশা করা হয়েছিল যে দল বড় কিছু করবে! পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা—একই সমান্তরালে থাকা জরুরি। এই জায়গাটিতে আমরা উন্নতি করতে পারি। বাংলাদেশের ব্যাপারটা শ্রীলঙ্কার তুলনায় ভিন্ন। আমাদের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তা অপ্রত্যাশিত ছিল।
৪-১০ মিনিটে শুরু হবে খেলা
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হয়নি। তবে জানানো হয়েছে খেলা শুরুর সময়। ৪-১০ মিনিটে দেখা যাবে লাইভ অ্যাকশন!
প্রেমাদাসায় উৎসবের আমেজ
কলম্বো থেকে তারেক মাহমুদ
প্রেসবক্সে যাঁরা শ্রীলঙ্কান সাংবাদিক বা বোর্ডের কর্মকর্তা আছেন, সবাই ফোন বন্ধ করে বসে আছেন। কারণ, টিকিটের চাহিদা এতটাই বেশি এ ফাইনালকে ঘিরে।
গ্যালারি যাকে বলে একদম ‘জ্যাম প্যাকড’। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। স্বাভাবিকভাবেই শ্রীলঙ্কার সমর্থক বেশি, ভারতীয় সমর্থকও কম নেই।
মাঠের বাইরেও অনেক দর্শক দেখে এসেছি, তারা ঠিক কোথায় এসে ঢুকবেন—জানা নেই। এমনিতেই রবিবার বলে সব মিলিয়ে উৎসবের পরিবেশ। টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচগুলোতে এমনটি দেখা যায়নি, ফাইনাল বলে সেটি বেশিই।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাঠের বাইরে খেলা দেখার জন্য দুটী জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে কলম্বোতে। একইভাবে বড় পর্দায় খেলা দেখানোড় ব্যবস্থা করা হয়েছে গল ফেস গ্রিন ও পিডি সিরিসেনা গ্রাউন্ডেও। বিবৃতে এরপর বলা হয়েছে, ‘জনগণকে টিকিট কিনতে কাউন্টারে যেতে না করা হচ্ছে, কারণ এ ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আগেই।’
বুম বুম বুমরা
প্রথমে বেরিয়ে গেল। এরপর ভেতরে ঢুকল। এরপর আবার বেরিয়ে গেল।
বোলারের এমন মুভমেন্টে ব্যাটসম্যানের ধন্দে পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। যশপ্রীত বুমরা এ কারণেই হুমকি যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য। কুশল পেরেরাও টিকলেন না। আগের বলটি ভেতরে ঢুকেছিল, পেরেরা খেলতে গিয়েও মিস করেছিলেন। এবার বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে এজড হলেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি ওপেনার। বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটকিপার লোকেশ রাহুলই। তৃতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এশিয়া কাপ ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন______?
মেডেনে শুরু সিরাজের
ঘটনাবহুল প্রথম ওভার করেছেন বুমরা। ব্যাটসম্যানরা পড়েছেন অস্বস্তিতে। পরের ওভারে মোহাম্মদ সিরাজও মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন ভালোভাবে। গুড লেংথ থেকে মেন্ডিসকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনিও। সিরাজের করা প্রথম ওভারে কোনো রানই নিতে পারেননি মেন্ডিস।
দর্শক
এবার সিরাজের আঘাত
আগের ২ ওভারই বলছিল, আসতে যাচ্ছে আরেকটি উইকেট! অবশ্য এ উইকেটে সিরাজের আঁটসাঁট বোলিংয়ের যেমন অবদান, তেমনই অবদান রবীন্দ্র জাদেজার দারুণ ক্যাচেরও। ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন পাতুম নিশাঙ্কা, কিন্তু যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে হয়নি। বল গেছে পয়েন্টে। ডানদিকে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার জাদেজা। ১৯ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। ফিরে গেছেন দুই ওপেনারই। স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ৮।
৩ বলে ২ উইকেট সিরাজের
রিচার্ড ইলিংওর্থ সময় নেননি আউট দিতে। সাদিরা সামারাবিক্রমা রিভিউ করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ সেটি। সিরাজের বলে সামারাবিক্রমার ইনসাইড-এজ ফাঁকি দিয়ে আঘাত করেছিল প্যাডে। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন সামারাবিক্রমা। ৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে শ্রীলঙ্কা!
৪ বলে ৩ উইকেট সিরাজের
এবং আরেকটি! এবার চারিত আসালাঙ্কা।
অফ স্টাম্পের বাইরে ফুললেংথের বল। ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছেন আসালাঙ্কা। সিরাজ আগুনে। শ্রীলঙ্কা তাতে পুড়ে ছাই হচ্ছে কলম্বোয়।
এবার হ্যাটট্রিকের সামনে সিরাজ।
১ ওভারে সিরাজের ৪ উইকেট
সিরাজ দৌড়াতে দৌড়াতে হাসছিলেন। হাসছিলেন বিরাট কোহলি। শুবমান গিল। হার্দিক পান্ডিয়া।
সময়টা এমনই উপভোগ করছেন সিরাজরা। হ্যাটট্রিক বলে পাঞ্চ করেছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সেটি গিয়েছিল লং অনে। বোলিংয়ের ফলো থ্রু থেকে নিজেই ছুটেছিলেন সিরাজ। সঙ্গে অবশ্য গিয়েছিলেন কিষানও। তবে শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি আটকাতে পারেননি সিরাজ। হ্যাটট্রিক তো পাননি।
কিন্তু, শেষ বলে এসে আবার উইকেটের দেখা পেয়েছেন সিরাজ। এবার অফ স্টাম্পের বাইরে খোঁচা দিয়েছেন ডি সিলভা। উইকেটের পেছনে গেছে ক্যাচ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিরাজ নিলেন ৪ উইকেট। ১২ রানে শ্রীলঙ্কা হারাল পঞ্চম উইকেট।
অবিশ্বাস্য!
শ্রীলঙ্কার বীভৎস শুরু
১২ রান। ৫ উইকেট।
স্কোরবোর্ডের দিকে তাকানোর সাহস আপাতত হওয়ার কথা নয় শ্রীলঙ্কান সমর্থকদের। যশপ্রীত বুমরা প্রথম ওভারে আঘাত করেছিলেন। বড় হুমকি হওয়ার কথা ছিল তিনিই। কিন্তু সিরাজ ভাবলেন ভিন্ন কিছু। একের পর এক ফেরালেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার, মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের।
চতুর্থ ওভার শুরু হয়েছিল নিশাঙ্কার উইকেট দিয়ে। এরপর সামারাবিক্রমা। আসালাঙ্কা। ডি সিলভা। সিরাজের সামনে টিকতে পারেননি কেউ।
এশিয়া কাপে এত কম রানে এর আগে কখনোই ৫ উইকেট হারায়নি শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এত কম রানে তারা ৫ উইকেট হারিয়েছে আর দুবার। সবচেয়ে কম ৬ রানে তারা ৫ উইকেট হারিয়েছিল মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৯ সালে।
সিরাজের পঞ্চম
ম্যাচের ষষ্ঠ ওভার। সিরাজের পঞ্চম উইকেট।
চোখ কচলে দেখুন আরেকবার। ঠিকই পড়ছেন। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার উইকেট পতন আটকানো যাচ্ছে না। সিরাজের এবারের শিকার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ফুললেংথের বলে উপড়ে গেছে তাঁর অফ স্টাম্প। মাত্র ১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ওয়ানডেতে এত বাজে শুরু দেখেনি শ্রীলঙ্কা
২০১২ সালে পার্লে শ্রীলঙ্কা ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছিল ১৩ রানে। সেবার ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। ওয়ানডেতেই ১২ বা এর কম রানে ৬ উইকেট হারানোর ঘটনা আছে মাত্র দুটি। দুটি রেকর্ডই কানাডার।
শ্রীলঙ্কাই শঙ্কায় এবার
প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে বেশি বার ১০০ বা এর নিচে আটকে দেওয়ার রেকর্ডটি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে শ্রীলঙ্কার। অবশ্য এ ম্যাচে যা অবস্থা, তাতে ১০০ রানকে মনে হচ্ছে অ-নে-ক দূরের পথ। আপাতত শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য হতে পারে ওয়ানডেতে সর্বনিম্ন ৩৫ রানের রেকর্ডটি অতিক্রম করা। সে রেকর্ড যৌথভাবে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার। তবে জিম্বাবুয়েকে রেকর্ডটি ‘উপহার’ দিয়েছিল তারাই। জিম্বাবুয়ের আগে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ছিল কানাডার—৩৫ রান। প্রতিপক্ষের নাম? শ্রীলঙ্কা!
ভাসের পাশে সিরাজ
বল বাই বল ডেটা যখন থেকে রাখা হচ্ছে, তাতে চামিন্দা ভাসের রেকর্ড ছুঁলেন মোহাম্মদ সিরাজ। আজ ১৬ বলের মধ্যেই ৫ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার। ভাস ১৬তম বলে পঞ্চম উইকেটটি নিয়েছিলেন ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেবার ভালোবাসা দিবসের ম্যাচে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ভাস।
৩১/৬, ১০ ওভার
প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ। প্রথম ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ৩১ রান। আপাতত সেটিই তাদের জন্য একটু স্বস্তির। ১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ভেল্লালাগে ও কুশল মেন্ডিসের জুটি অবিচ্ছিন্ন ১৯ রানে।
সিরাজের ষষ্ঠ
টানা ৫ ওভারের পর অন্যপ্রান্তে বুমরাকে সরিয়ে পান্ডিয়াকে আনা হলেও সিরাজকে দিয়ে করানো হচ্ছে ষষ্ঠ ওভার। এবং তাতে নিজের ষষ্ঠ উইকেটও পেয়ে গেলেন তিনি।
লেংথ বল। মেন্ডিস ঠিক কী করতে গেলেন, নিশ্চিত নয়। লাইন মিস করে হয়েছেন বোল্ড। শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে সপ্তম উইকেট। দলের সংগ্রহ ৩৩ রান। অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটছে কলম্বোয়।
হায়, শ্রীলঙ্কা!
সিরাজের বলে ফ্লিক করে চার হেমন্তর। তাতেই ওয়ানডেতে দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর ছাড়িয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। তবে এখনো হুমকি হয়ে আছে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরটি।
১২ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৩৯/৭।
পান্ডিয়ার উইকেট, শ্রীলঙ্কা হারাল ৮ উইকেট
সিরাজ ছাড়া অন্য কোনো ভারতীয় বোলার উইকেট নিতে পারেন, এটি যেন ভুলেই যেতে বসেছিলেন সবাই। হার্দিক পান্ডিয়া সেটি মনে করালেন। শর্ট বলে উইকেটকিপার লোকেশ রাহুলের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন দুনিত ভেল্লালাগে। ২১ বলের লড়াই শেষ তাঁর। ৪০ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
হায়, শ্রীলঙ্কা (২)
মানতে পারছেন না ফারভিজ মাহরুফ..
সিরাজ, সিরাজ
টানা সপ্তম ওভারে এসেছেন সিরাজ। দ্বিতীয় বলে ওভারথ্রো থেকে এসেছে ৬ রান। নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর তাতে ছাড়িয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। সিরাজকে এ দফা আর দেখা যাবে বোলিংয়ে?
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মোহাম্মদ সিরাজ।
শ্রীলঙ্কার ৫০, এরপর নেই নবম উইকেট
অবশেষে! আর প্রেমাদাসায় থাকা শ্রীলঙ্কান সমর্থকেরা পেলেন উদ্যাপনের কোনো উপলক্ষ্য। ১৫তম ওভারে এসে দলীয় ৫০ রানের দেখা মিলেছে।
তবে পরের ওভারের প্রথম বলেই পড়েছে আরেকটি উইকেট। পান্ডিয়ার বলে প্রথম স্লিপে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন প্রমোদ মাদুশান। ৫০ রানেই নবম উইকেট পড়ল শ্রীলঙ্কার। রইল বাকি এক!
শ্রীলঙ্কা ৫০ রানে অলআউট। এশিয়া কাপের ফাইনালে।
এশিয়া কাপে এতদিন সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৮৭ রানের। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সে রেকর্ড ভাঙল শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ফাইনালে এর আগের সর্বনিম্ন স্কোরটি ছিল ১৭৩ রানের। শ্রীলঙ্কা থামল তার অনেক আগেই।
সিরাজ সপ্তম উইকেটটি পাননি আর। কিন্তু পরপর ২ বলে ২ উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন মাতিশা পাতিরানা। তাতেই অলআউট হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। ১৫.২ ওভারের মধ্যেই।
এ ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা ছিল অনেক। তবে এরপর যা ঘটল, সেটির জন্য হয়ত প্রস্তুত ছিলেন না কেউ। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ৫০ রানে শেষ শ্রীলঙ্কা—অবিশ্বাস্য ছাড়া এ ইনিংসকে আর কী বলবেন!
যে স্কোরকার্ড শ্রীলঙ্কার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো
এশিয়া কাপ ফাইনাল ২০২৩। আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো।
২
০
১৭
০
০
৪
০
৮
১৩*
১
০
৫ (অতিরিক্ত)
_________
৫০ অলআউট, ১৫.২ ওভারে
সিরাজময় দিন
৭ ওভার। ১ মেডেন। ২১ রান। ৬ উইকেট।
ওয়ানডেতে ভারতের চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার এখন এটিই।
যে ফাইনাল অবিশ্বাস্য
তারেক মাহমুদ, কলম্বো থেকে
দীর্ঘ ১১ বছর পর ঘরের মাঠে আরেকটি ফাইনাল দেখতে আসা শ্রীলঙ্কার মানুষের কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত দাসুন শানাকার দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়। শানাকাই আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, দেশের ক্রিকেট পাগল জনতার জন্য হলেও এশিয়া কাপের ফাইনালে তাঁরা ভালো কিছু করতে চান। টসে জেতা পর্যন্ত সব ভালো ছিলও। কিন্তু খেলা শুরু হতেই ভোজবাজির মতো যা ঘটে গেল, তাতে রীতিমতো অবিশ্বাস্য এক ফাইনালই দেখা হচ্ছে প্রেমাদাসার দর্শকদের।
২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কায় এবারের এশিয়া কাপের আগে আর কোনো টুর্নামেন্ট হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারা সেই বিশ্বকাপের ফাইনালটাই তাই এত দিন হয়ে ছিল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার খেলা সর্বশেষ কোনো ফাইনাল। শ্রীলঙ্কার মানুষও ঘরের মাঠে আর কোনো ফাইনাল দেখার সুযোগ পায়নি এত দিন।
গিলের সঙ্গে কিষান
৫১ রানের লক্ষ্যে শুবমান গিলের সঙ্গে ওপেনিং করতে পাঠানো হয়েছে ঈশান কিষানকে। দারুণ এক ড্রাইভে ট্রিপল নিয়েছেন কিষান। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা গিল শেষ বলে গিয়ে প্যাডের ওপর থেকে ফ্লিক করে মেরেছেন চার। প্রথম ওভারে ৭ রান। জয়ের জন্য দরকার ৪৪ রান।
২ ওভারে ১৭
দ্বিতীয় ওভার করতে আসা পাতিরানা চতুর্থ বলটি করেছিলেন শর্ট লেংথে। সেটিতে আপার কাট করে চার মেরেছেন কিষান। ভারতের স্কোর তাতে হয়েছে ১৩ রান। এ রান তুলতে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছিল ৬ উইকেট। অবিশ্বাস্য শোনাচ্ছে এখনো।
পরের বলে কাট করে আরেকটি চার মেরেছেন কিষান। ২ ওভারে ভারত তুলেছে ১৭ রান। দরকার আর ৩৪।
তর সইছে না ভারতের
প্রমোদ মাদুশানের বলে শুবমান গিল তৃতীয় চারটা মারার পর ক্যামেরা গেল ক্রিস সিলভারউডের দিকে। শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচের চোখমুখই বলে দিচ্ছিল সব।
ভারত ৩ ওভারে ৩২।
৫ ওভারে ৪৫
ভেল্লালাগের আগের ওভারে বাউন্ডারি আসেনি। পাতিরানার প্রথম বলেই চার মেরেছিলেন কিষান। শেষ বলে মারলেন গিল। জয়ের জন্য ভারতের দরকার ৬ রান। বাকি….৪৫ ওভার!
১ রান, বাকি ৪৪ ওভার ও ১০ উইকেট
ভেল্লালাগের ওভারে এসেছে ৫ রান। স্কোর টাই হয়েছে তাতেই।
২০২৩ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত
শ্রীলঙ্কা: ১৫.২ ওভারে ৫০
ভারত: ৬.১ ওভারে ৫১/০
ফল: ভারত ১০ উইকেটে জয়ী
স্কোরকার্ডই বলে দেয় সব। রান তাড়ায় ভারতের সময় লাগার কথা ছিল না। লাগেওনি। শুবমান গিল ও ঈশান কিষানের অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটিতে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত, ৬.১ ওভারের মধ্যেই। এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়নও তারা। দাপুটে জয়, শুধু এটুকু বললেও ভারতের পারফরম্যান্সকে আজ কম বলা হয়ে যায় অনেক।
বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়েছিল ৪০ মিনিট পর। আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই শেষ ফাইনাল।