পাকিস্তানকে হারিয়ে রোহিত বললেন, ‘এটা ১৯০ রানের উইকেট ছিল না’
১১৭ বল হাতে রেখে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁর বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং উইকেটে যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজারা অসাধ্য সাধন করেছেন বলেই মনে করছেন রোহিত।
টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতের অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুটাও ভালো করেছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ৩০তম ওভারে ২ উইকেটে ১৫৫ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তান। এরপর ঘুরে দাঁড়ান ভারতের বোলাররা। মাঝের ওভারে ৩৬ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান অলআউট হয় ১৯১ রানে।
ম্যাচ শেষে এমন জয়ের জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিতে গিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘আমাদের জন্য আজ বোলাররাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। তাদের ১৯০ রানে (আসলে ১৯১) আটকে দিতে পারাটা ছিল দারুণ। এটা ১৯০ রানের উইকেট ছিল না। একটা সময় আমরা ভেবেছিলাম ২৮০ বা ২৯০ রান হয়ে যাবে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ছয়জন বোলার বল করেছেন। এর মধ্যে শুধু শার্দুল ঠাকুরই উইকেট পাননি। ২ ওভার বোলিং করে তিনি দিয়েছেন ১২ রান। বাকি পাঁচ বোলার বুমরা, সিরাজ, পান্ডিয়া, কুলদীপ ও জাদেজাদের প্রত্যেকে নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
বোলারদের সমন্বিত এই ভালো পারফরম্যান্সে খুশি রোহিত, ‘যে–ই বল হাতে পেয়েছে, দলের জন্য কাজটা করে দিয়েছে। আমাদের ছয়জন বোলার আছে, যাদের যে কেউই এটা করতে পারে। প্রতিদিন সবার দিন হবে না। যেদিন যার ভালো যাবে, তারই আসল কাজটা করে দিতে হবে।’
ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে যেমন উত্তেজনা থাকে, খেলোয়াড়দের মধ্যে থাকে বাড়তি রোমাঞ্চ আর প্রেরণা। এই ম্যাচ জেতা খেলোয়াড়দের কাছে অন্য রকমই। কিন্তু রোহিত পা রাখছেন মাটিতেই।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বেশি রোমাঞ্চিত হতে চাই না। আবার একদম মিইয়েও থাকতে চাই না। এটা লম্বা টুর্নামেন্ট। ৯টি লিগ ম্যাচ এবং সেমিফাইনাল আর ফাইনাল। ভারসাম্য ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আমি আগেও বলেছি, পাকিস্তান আমাদের কাছে বাকি দলগুলোর মতোই প্রতিপক্ষ।’