২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পরিসংখ্যান-রেকর্ডে কোহলির ‘কিছু আসে-যায় না’

টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরির উদ্‌যাপন বিরাট কোহলিরছবি: এএফপি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০তম ম্যাচ খেলার কীর্তি বিরাট কোহলির আগেই ৯ জনের ছিল। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচটিতে কারও সেঞ্চুরি ছিল না। গতকাল যা প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করলেন কোহলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন।

কোহলির সেঞ্চুরির দিনে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ভালো সংগ্রহ গড়েছে ভারত। এক সেঞ্চুরি ও চার ফিফটির সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান তুলেছে রোহিত শর্মার দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে। তেজনারায়ণ চন্দরপল ৩৩ রান করে আউট হয়ে গেলেও ক্রেগ ব্রাফেট ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন। সঙ্গে ১৪ রানে কার্ক ম্যাকেঞ্জি।

ত্রিনিদাদে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সবার দৃষ্টি ছিল কোহলির দিকে। প্রথম দিনে ৮৭ রান তুলে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিলেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান। কাল সেটাই পেয়ে যান শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে চার মেরে। ১৮০ বলে ছোঁয়া সেঞ্চুরিটি কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম, কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যানের সমান।

বিদেশের মাটিতে ৫ বছর সেঞ্চুরি পেয়েছেন কোহলি
ছবি: এএফপি

চলতি বছর এ নিয়ে টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি করলেও ভারতের বাইরে সেঞ্চুরি পেলেন পাঁচ বছর পর। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে খেলেছিলেন ১২৩ রানের ইনিংস। দীর্ঘ বিরতির পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে ১২১। দিন শেষে কোহলিকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে পাল্টা পরিসংখ্যানই শুনিয়েছেন প্রশ্নকর্তাকে, ‘এসব নিয়ে মানুষজন কথা বলবে। আমি তো ভারতের বাইরে ১৫টি সেঞ্চুরি করেছি, খুব একটা খারাপ রেকর্ড নয়। দেশের চেয়ে বিদেশেই তো সেঞ্চুরি বেশি। এখানে নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা কাজে লাগানোই মূল কথা।’

সেঞ্চুরির পর কোহলি
ছবি: এএফপি

অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেড় দশক পার করে ফেলার পর রেকর্ড খুবই কমই তাঁকে ছুঁয়ে যায় বলে জানিয়েছেন কোহলি। তাঁর মতে, ইনিংসগুলো দলের জন্য কতটা প্রভাব রাখতে পারছে, সেটিই বড় কথা, ‘আমি যতটা সম্ভব দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। আমি যদি ফিফটি করি, মনে হয় সেঞ্চুরি মিস করেছি। যদি ১২০ করি মনে হয় ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছি। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এসব পরিসংখ্যান বা মাইলফলকে কিছু আসে–যায় না। মানুষ মনে রাখবে, আমি কোনো প্রভাব রাখতে পেরেছি কি না।’

কোহলি খুব একটা পাত্তা দিতে না চাইলেও কিছু সংখ্যা বা মাইলফলক ঠিকই মনে রাখবে মানুষ। যেমন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০ ম্যাচ খেলে ফেলা। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার সময় এমন কিছু কল্পনাতেও ছিল না বলে জানান ৩৪ বছর বয়সী কোহলি নিজেও, ‘ভারতের হয়ে ৫০০ ম্যাচ খেলতে পারায় আমি কৃতজ্ঞ। এটা আমার কখনোই কল্পনায় ছিল না। এটা আমার কঠোর পরিশ্রমের ফসল। খেলার প্রতি যে নিবেদন, সেটার ফল।’

আরও পড়ুন