ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২৩তম শিরোপাটা আবাহনী জিতে যায় দুই ম্যাচ হাতে রেখেই। সেই আবাহনীর সামনে শেষ দুটি ম্যাচ ছিল অপরাজিত থেকে মৌসুম শেষ করার মিশন। আজ মৌসুমে শেষ দিনে শাইনপুকুরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সেই মিশন সম্পন্ন করেছে আবাহনী। চ্যাম্পিয়নরা লিগ শেষ করেছে ১৬ ম্যাচে ১৬ জয় নিয়ে।
দিনের অন্য দুই ম্যাচে জিতেছে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংক। ফতুল্লায় পেসার রেজাউর রহমানের রেকর্ড বোলিংয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ১৯৯ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। আর বিকেএসপিতে রানার্সআপ মোহামেডান ৫৩ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে।
এনামুলের ২০তম সেঞ্চুরি
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ আবাহনীর প্রতিপক্ষ শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব করেছিল ৮ উইকেটে ২৩৪ রান। এনামুল হকের সেঞ্চুরিতে রানটা ২৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরোয় আবাহনী। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এনামুলের এটি ২০তম সেঞ্চুরি। ২২ সেঞ্চুরি নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁর ওপরে আছেন শুধু তামিম ইকবাল।
রান তাড়ায় ৩০ রানেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (৭) ও সাব্বির হোসেনকে (১৪) হারিয়ে ফেলে আবাহনী। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটে মাজহারুল ইসলামকে নিয়ে ৬৫ ও মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন এনামুল। মাজহারুল ২৩ ও মোসাদ্দেক ফেরেন ২৯ রান করে। এনামুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১১০ রান করে। ১২০ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান।
এর আগে শাইনপুকুরের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অমিত হাসান। ৮৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গী খালিদ হাসান করেছেন ৫৮ রান। আবাহনীর হয়ে ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।
চূড়ান্ত পয়েন্ট তালিকা (শীর্ষ ছয়)
বোলিং জেতাল মোহামেডানকে
৪৭.৩ ওভারে মোহামেডান অলআউট ১৭৬ রানে। তবে দিনটা বড় জয়েই শেষ করেছে রানার্সআপরা। রান তাড়ায় ৩২.১ ওভারেই গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স যে অলআউট ১২৩ রানে। ১৬ ম্যাচে মোহামেডানের এটি ছিল ১২তম জয়।
৯ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে মোহামেডানের সেরা বোলার অফ স্পিনার নাঈম হাসান। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ (২/১৬), মুশফিক হাসান (২/২১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (২/২৪)। এর আগে মোহামেডানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মিরাজ। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি।