- সিরিজ জয়ের আশায় বাংলাদেশ
- টস
- শামীমের জায়গায় মিরাজ
- রেহানের অভিষেক
- ফিরলেন ম্যালান
- পাওয়ারপ্লেতে ৫০
- এসেই সফল সাকিব
- সাকিব নাকি পাখি?
- বাটলার ব হাসান
- সফল মিরাজও
- ১০ ওভার শেষে…
- দুই বাঁহাতির সামনে নাজমুল
- দারুণ এক অবস্থানে বাংলাদেশ। সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে আজ? মতামত জানান আপনার...
- তাসকিন ১/২৭, বোলিংয়ে আফিফ
- আবার আঘাত মিরাজের
- এক ওভার, দুই স্টাম্পিং!
- আট জন বোলার
- মিরাজ ৪/১২
- এসেছে আয়ারল্যান্ডও
- ১১৭ রানেই শেষ ইংল্যান্ড
- রানখরা চলছেই লিটনের
- ফিরলেন রনিও
- পাওয়ারপ্লেতে ৩২/২
- রশিদকে দুই চার হৃদয়ের
- রেহানের শিকার হৃদয়
- ২ ওভারে ২৪
- ফিরলেন মিরাজ
- সাকিব ০
- আফিফের স্টাম্প ভাঙলেন আর্চার
- সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সিরিজ জয়ের আশায় বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে আজ লক্ষ্য সিরিজ জয়।প্রথম আলোর লাইভ আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
টস
আবার টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এবারও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
শামীমের জায়গায় মিরাজ
বাংলাদেশ দলে একটিই পরিবর্তন। শামীম হোসেনের জায়গায় নেওয়া হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে বেশ কয়েকজন বাঁহাতির উপস্থিতি মিরাজকে দলে এনেছে, এমনটি সহজেই অনুমান করা যায়।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, আফিফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রনি তালুকদার ও তৌহিদ হৃদয়।
রেহানের অভিষেক
ইংল্যান্ডও নামছে একটি পরিবর্তন নিয়েই। ফাস্ট বোলার মার্ক উডের জায়গায় খেলানো হচ্ছে লেগ স্পিনার রেহান আহমেদকে। ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হচ্ছে তাঁর। টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হলেন তিনি।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, জফরা আর্চার, স্যাম কারেন, বেন ডাকেট, ক্রিস জর্ডান, ডেভিড ম্যালান, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, ক্রিস ওকস ও রেহান আহমেদ।
ফিরলেন ম্যালান
সর্বশেষ ২০১৮ সালে কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওপেনিং করেননি জস বাটলার। আজ ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে এসেছেন ডেভিড ম্যালান ও ফিল সল্ট।
তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারে এসেছিল ১০ রান, তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারে ম্যালানকে ফেরালেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলেছেন, হাসান মাহমুদ ভুল করেননি। ১৬ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন ধরে রাখতে তিনে পাঠানো হয়েছে মঈন আলীকে।
পাওয়ারপ্লেতে ৫০
তাসকিন আহমেদকে দিয়ে টানা ৩ ওভার করিয়েছেন সাকিব। মোস্তাফিজকে ২ ওভার করানোর পর পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এনেছিলেন নাসুম আহমেদকে। কাভারে মিরাজের মিসফিল্ডে ফিল সল্ট পেয়েছেন চার, শেষ বলে গিয়ে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরেছেন মঈন আলী। প্রথম ৬ ওভারে ম্যালানের উইকেট হারালেও ইংল্যান্ড তুলেছে ৫০ রান।
এসেই সফল সাকিব
ফিল সল্টকে সরে যেতে দেখেছিলেন, সাকিব বলটি করলেন অফ স্টাম্পের ওপর। সে বলে আবার টার্নের সঙ্গে ছিল বাউন্স। ভড়কে গিয়ে সেটিতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন সল্ট। আগের ম্যাচে সহজতম একটি ক্যাচ মিস করা সাকিব এবার ভুল করেননি, উল্লাসটাও ছিল দেখার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রথম আঘাতের পর ক্রিজে এসেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
সাকিব নাকি পাখি?
বাটলার ব হাসান
স্বপ্নের মতো ডেলিভারি! হাসান মাহমুদের ইয়র্কারের জবাব নেই জস বাটলারের কাছে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাসানের শিকার ইংল্যান্ড অধিনায়ক, এবার হয়েছেন বোল্ড। পজিশন বদলে চারে এসেছিলেন বাটলার, তবে টিকলেন মাত্র ৪ বল। সাকিবের পর নিজের প্রথম ওভারে এসে সফল হাসানও। ৫ রানের মধ্যে ইংল্যান্ড হারাল ২ উইকেট। মিরপুরে উজ্জীবিত বাংলাদেশ!
সফল মিরাজও
বাটলার ফেরার পর মঈনের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বেন ডাকেট। দুই বাঁহাতির সামনে মিরাজকে আনতে দেরি করেননি সাকিব। আঘাত করতে দেরি করলেন না মিরাজও। লেগ সাইডে সীমানার ওপর দুজন ফিল্ডার থাকলেও স্লগ করেছিলেন মঈন, ডিপ মিডউইকেটে ফিল্ডারের কাছে গেছে সোজা ক্যাচ। আগের ৫ বলে এসেছিল মাত্র দুটি সিঙ্গেল, সে চাপ কমাতে গিয়ে নিজেই ফিরে গেলেন মঈন। ৭ রানের মধ্যে ইংল্যান্ড হারাল ৩ উইকেট, ৯ ওভারশেষে ফিরে গেছেন চার জন।
১০ ওভার শেষে…
চট্টগ্রাম, ১০ ওভারে ৮০/১।
মিরপুর, ১০ ওভারে ৬৩/৪।
প্রথম ম্যাচে শেষ ১০ ওভারে পথ হারিয়েছিল ইংল্যান্ড, এবার তারা এলোমেলো প্রথম ১০ ওভারেই। তাসকিনের পর সাকিব, হাসান ও মিরাজ পেয়েছেন উইকেটের দেখা। মিরপুরে ধুঁকছে ইংল্যান্ড।
দুই বাঁহাতির সামনে নাজমুল
মঈন ফেরার পর এসেছেন স্যাম কারেন, দুই বাঁহাতির সামনে এবার নাজমুল হোসেনকে এনেছেন সাকিব। মিরপুরে চলছে কৌশলের খেলা! প্রথম বলে ফুলটসে চার খেলেও পরের ৫ বলে আর ৪ রানের বেশি দেননি নাজমুল।
ইংল্যান্ড ১২ ওভারে ৭৬/৪।
দারুণ এক অবস্থানে বাংলাদেশ। সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে আজ? মতামত জানান আপনার...
তাসকিন ১/২৭, বোলিংয়ে আফিফ
পাওয়ারপ্লের ৩ ওভারের পর তাসকিন নিজের ৪ ওভার শেষ করলেন ১৩তম ওভারে। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে বল দিয়ে ডাকেটের ব্যাটে চার খেয়েছেন, ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে শেষ করেছেন বোলিং। এবং নাজমুলের পর আরেক ডানহাতি স্পিনার আফিফ হোসেনকে এনেছেন সাকিব। আফিফ ইনিংসে বাংলাদেশের অষ্টম বোলার!
আবার আঘাত মিরাজের
কারেনকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে লাইন পরিবর্তন করেছেন মিরাজ, শেষ মুহূর্তে আর নিজের অবস্থান ঠিক করতে পারেননি কারেন। খেলার চেষ্টা করেছিলেন, তবে ব্যাটে-বলে হয়নি। কারেন হয়েছেন স্টাম্পড, ১৫তম ওভারে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। উঠেছে ৯১ রান।
এক ওভার, দুই স্টাম্পিং!
কারেনের পর এবার স্টাম্পড ক্রিস ওকসও। সামনে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে গেছেন ভেতরের দিকে ঢোকা বলটি, প্রথমদফা ধরতে না পারলেও দ্বিতীয় দফা ধরে স্টাম্প ভাঙার মতো পর্যাপ্ত সময় ছিল লিটনের কাছে। ২ বলের মধ্যে স্টাম্পড দুজন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
আট জন বোলার
শামীমকে বাদ দিয়ে মিরাজকে খেলানো হয়েছে, এমনিতেই এক জন বোলার বেড়েছে তাই। তবে নিয়মিত ছয় জন বোলারের সঙ্গে সাকিব এনেছেন নাজমুল ও আফিফকেও। নাসুম ও সাকিব ১ ওভার করে করেছেন, বাকি ২ ওভার করেছেন সপ্তম ও অষ্টম বোলার।
টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে আট জন বোলার ব্যবহার করার ঘটনা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি পঞ্চম। সর্বশেষ গত বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বোলিং করেছিলেন আট জন। সেবার অধিনায়ক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
দুই বাঁহাতির জুটি ভাঙার পর অবশেষে আবার বোইংয়ে এসেছেন সাকিব। ১৫ ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর ৯২/৬।
মিরাজ ৪/১২
প্রথম ম্যাচে দলে ছিলেন না। ফিরে এসেই মিরাজ এলোমেলো করে দিলেন ইংল্যান্ডকে! তাঁর সর্বশেষ শিকার ক্রিস জর্ডান। তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন মিরাজ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এর চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে আর ৯টি।
এসেছে আয়ারল্যান্ডও
ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশে এসেছে আইরিশরা। এ সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সঙ্গে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে তারা।
১১৭ রানেই শেষ ইংল্যান্ড
মিড অন থেকে ছুটে গিয়ে ডাইভ দিয়ে ডাকেটের ক্যাচটি দারুণভাবে নিয়েছেন নাজমুল, সিরিজজুড়েই ফিল্ডিংয়ে যিনি নজর কেড়েছেন আলাদাভাবে। অনেক্ষণ ধরে টিকে থাকলেও ডাকেট ইংল্যান্ডকে নিয়ে ছুটতে পারেননি, ২৮ বলে ২৮ রান করেই থেমেছেন।
মোস্তাফিজের শর্ট ও ওয়াইড বলে উইকেটকিপারের হাত থেকে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন রেহান আহমেদও। এবং শেষ বলে প্রায় একইভাবে রানআউট হয়েছেন জফরা আর্চারও। যদিও সেটি ছিল বৈধ ডেলিভারি।
শেষ ওভারে ৩ রান তুলতে ৩ রান হারাল ইংল্যান্ড। ২০ ওভারে ১১৭ রান তুলতেই থেমেছে তারা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে এটিই এখন সর্বনিম্ন স্কোর ইংল্যান্ডের। এর আগে ২০১২ সালে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৮ রান তুলেছিল তারা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং পথ হারিয়েছিল শেষ ৫ ওভারে। আজ হারাল প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই। তৃতীয় ওভারে ডেভিড ম্যালান ফেরার পরু মঈন আলী ও ফিল সল্টের জুটিতে শুরুটা আক্রমণাত্মকই ছিল সফরকারীদের। তবে অষ্টম ওভারে সাকিবের বলে সল্ট ফেরার পর থেকেই পথ হারানো শুরু তাদের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে পড়েছে উইকেট। ইনিংসে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ জুটিটি ৩৪ রানের।
রানখরা চলছেই লিটনের
আগের ওভারে ক্রিস ওকসের শর্ট বলে চার মেরেছিলেন। এবার স্যাম কারেনের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়েছিলেন লিটন, তবে নিয়ন্ত্রণ ছিল না তেমন। ডিপ মিডোউইকেটে ফিল সল্টের হাতে ধরা পড়েছেন ফর্মখরায় ভুগতে থাকা বাংলাদেশ ওপেনার। ৯ বলে ৯ রানেই থেমেছেন তিনি, তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ফিরলেন রনিও
আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন জফরা আর্চার। তাঁর ধীরগতির শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি রনি তালুকদার, শর্ট মিডঅন থেকে পেছনে ছুটে ক্যাচ নিয়েছেন মঈন আলী। পাওয়ারপ্লের ৫ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশ হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট। এ পিচে ব্যাটিং সহজ মনে হচ্ছে না মোটেও, নিশ্চিতভাবেই উইকেট ঠেকানো আটকাতে হবে বাংলাদেশের।
পাওয়ারপ্লেতে ৩২/২
আর্চারকে কাট করে চার মেরেছেন নাজমুল, পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের এটি মাত্র তৃতীয় বাউন্ডারি। ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তুলেছে স্বাগতিকেরা। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৫১ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।
রশিদকে দুই চার হৃদয়ের
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে চার হয়েছিল, দশম ওভারে হলো আরেকটি। আদিল রশিদকে টেনে মেরেছেন তৌহিদ হৃদয়। পরের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে মেরেছেন আরেকটি। দশম ওভারে উঠেছে ১০ রান, ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৫৫ রান। এ সময়ে ৬৩ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড, তবে হারিয়েছিল ৪ উইকেট।
রেহানের শিকার হৃদয়
অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে শর্ট বল, জায়গায় থাকলে হয়তো ইচ্ছামতো খেলতে পারতেন তৌহিদ হৃদয়। তবে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন পয়েন্টে। আন্তর্জতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেলেন লেগ স্পিনার রেহান আহমেদ। আগের ওভারে রশিদকে দুই চার মারলেও মাঝে পানি পানের বিরতিতে যেন ছন্দপতন হলো হৃদয়ের। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারানোর পর এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
২ ওভারে ২৪
আদিল রশিদকে ইনসাইড-আউটের পর মঈন আলীকে স্লগ সুইপ—পরপর দুই ওভারে দুটি ছক্কা মেরেছেন মিরাজ। মঈনকে এরপর রিভার্স সুইপে চার মেরেছেন নাজমুল। মাঝে রশিদের বলে আম্পায়ার্স কল হওয়াতে এলবিডব্লুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে সিরিজ জয়ের আরও কাছে চলে এসেছে বাংলাদেশ।
ফিরলেন মিরাজ
শর্ট বলে আবার সফল আর্চার। বোঝাই যাচ্ছিল, মিরাজকে ‘অ্যাগ্রেসর’ ভূমিকায় পাঠানো হয়েছিল। ১৬ বলে ২০ রান করে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। ২৬ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১ রান, বাকি এখনো ৬ উইকেট।
সাকিব ০
মঈনের শেষ ওভার, সাকিব চড়াও হতে গেলেন তাঁর ওপর। তুলে মেরেছিলেন, লং অফে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রিস জর্ডান। এ ম্যাচে এখন পর্যন্ত বোলিংয়ে দেখা যায়নি জর্ডানকে, তবে এমন ক্যাচ তাঁর মিস করার কথা নয়। অমন কিছু হয়নিও। ২০ বলে ১৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।
আফিফের স্টাম্প ভাঙলেন আর্চার
ওভারের বাকি দুই বল, ক্রিস জর্ডানের উপস্থিতিতে বোলার জফরা আর্চারকে নিয়ে লম্বা মিটিং করলেন জস বাটলার। ঠিক পরের বলে ভাঙল আফিফ হোসেনের স্টাম্প, যে বলের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৯২ মাইল। বেলস উড়ে গিয়ে পড়ল ডিপ ফাইন লেগে থাকা রেহান আহমেদের সামনে! মিরপুরে গেম অন!
১২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৩ রান, ক্রিজে আছেন নাজমুল।
সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
আফিফের উইকেটে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। স্যাম কারেনের ১ ওভার বাকি ছিল, সেটি হয়তো বাটলার রেখেছিলেন ২০তম ওভারের জন্য। তবে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি নাজমুল-তাসকিনরা।
১৯তম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছিলেন ক্রিস জর্ডান। প্রথম বলে ফাইন লেগ ও স্কয়ার লেগের মাঝ দিয়ে চার মেরেছেন নাজমুল, পরের বলে রেহানের মিসফিল্ডে এসেছে ডাবলস। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে তাসকিন আহমেদকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন নাজমুল। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টেনে তাতে চার মেরেছেন তাসকিন। পরের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে এসেছে আরেকটি চার, তাতেই ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের উল্লাসে মেতেছে বাংলাদেশ!
৭ বল বাকি থাকতেই এসেছে ৪ উইকেটের জয়। ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে।
১১৮ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পথচলা ঠিক দাপুটে ছিল না। তবে লম্বা সময় ধরেই নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁদের কাছে। এক দিকে উইকেট হারালেও নাজমুল ছিলেন অবিচল, শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। চট্টগ্রামে খেলেছিলেন ঝোড়ো ইনিংস, আজ পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী খেললেন ৪৭ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। বোলিংয়ে দুর্দান্ত মিরাজ ব্যাটিংয়েও রেখেছেন অবদান।