খালেদ, তাইজুল ও ইমরানের ৫ উইকেট
গতকাল দিন শেষে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য সরকার। খুলনার রান তখন ৬ উইকেটে ১২২। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচাতে আজ সৌম্যর ইনিংসটা বড় করতেই হতো। তৃতীয় দিনের খেলায় সেটা তিনি করেছেনও।
নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে খুলনার রানটাকে নিয়ে যান ২২৫–এ। সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ১০৯ বলে অপরাজিত ৯৬ রান। যদিও হার এড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। সৌম্যর সৌজন্যে চতুর্থ ইনিংসে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৭ রান। মইনুল ইসলামের অপরাজিত ৭০ রানের সৌজন্যে ৭ উইকেট হাতে রেখেই তা টপকে যায় বরিশাল। এবারের এবারের জাতীয় লিগে বরিশালের প্রথম জয় এটি।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে জয়ের পথেই এগোচ্ছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে ৪১৫ রান করা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৫৯ রান করে অলআউট হয় রংপুর বিভাগ। জাতীয় দলের পেসার খালেদ আহমেদ ৫০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর ষষ্ঠ ৫ উইকেট শিকার। ২৫৬ রানে এগিয়ে থাকা সিলেট বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে না নেমে রংপুরকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠায়। সিলেটের বোলাররা দাপট দেখিয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসেও। আজ দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করেছে রংপুর। এখনো ৯০ রানে পিছিয়ে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের আরেক ম্যাচে রাজশাহী এগিয়ে আছে ৫৪ রানে। গতকাল দিন শেষে চট্টগ্রাম ৫ উইকেটে ৩০৯ রান করেছিল, আজ তাদের ইনিংস থামে ৪৩৭ রানে। রাজশাহীর অধিনায়ক তাইজুল ইসলাম ৫ উইকেট নিয়েছেন ১১৯ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে জাতীয় দলের এই স্পিনারের ২৯তম ৫ উইকেট এটি। তবে ব্যাটিং–ব্যর্থতায় তাইজুলের ভালো বোলিং চাপা পড়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর ইনিংস থামে ১৮২ রানে।
চট্টগ্রামের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন পেসার ইমরান হোসেন। অফ স্পিনার নাঈম হাসান নিয়েছেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে আরও ৩ উইকেট নেওয়া নাঈম এই ম্যাচে সব মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুই শ উইকেটের (২০১) মাইলফলক স্পর্শ করেন। দুজনের সৌজন্যে চতুর্থ ইনিংসে চট্টগ্রামের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৫৪ রান।