বাবরকে সরানো নয়, রমিজ পরিবর্তন চান বোর্ডে
এ মুহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত নাম বাবর আজম। আর এ আলোচনার বেশির ভাগই নেতিবাচক। পাকিস্তানের বেশির ভাগ সাবেক ক্রিকেটারই বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে। সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা এখানে ব্যতিক্রম।
১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার সবার আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন আনার পক্ষে। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার পাকিস্তান ক্রিকেটের পুরো ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন চান। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ কথা বলেছেন তিনি।
এবারের বিশ্বকাপটা পাকিস্তানের জন্য ভালো যায়নি। ৯ ম্যাচের মধ্যে হেরেছে ৫টিতে। অধিনায়ক বাবরও নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। চারটি অর্ধশতকের কোনোটিকে শতকে রূপ দিতে পারেননি।
এমন পারফরম্যান্সের ফলে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার থেকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকা বর্তমান ক্রিকেটার—সবাই বাবরের সমালোচনা করেছেন। পিসিবিকেও পাশে পাননি বাবর। বিশ্বকাপের পর দলের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বিশ্বকাপের মধ্যেই এক বিবৃতিতে দিয়েছিল পিসিবি। এমনকি বাবরের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাও ফাঁস করেছিলেন পিসিবির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ।
এ সময়ে বাবর খুব কম মানুষকেই পাশে পেয়েছেন। সেই কম মানুষদের মধ্যে রমিজ একজন। নিজের অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ নিয়েও বাবর পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিজের চ্যানেলে রমিজ বোঝাতে চেয়েছেন দায়টা বাবরের একার নয়, ‘নতুন বলে কেউ উইকেট না নিতে পারলে, শুরু থেকেই খরুচে হলে, বাবর কীভাবে অধিনায়কত্ব করবে?’
শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের অনেক সাবেক ক্রিকেটারেরই মতামত শুনবে পিসিবি। এরপর অধিনায়কত্বসহ আরও অন্য বিষয়ে পিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে। রমিজ এ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘পিসিবি কিছু সাবেক ক্রিকেটারকে একত্র করবে, তাদের সমস্যা সমাধান করার জন্য বলবে? কারা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে? তাদের কাজটা কি সবাইকে একসঙ্গে করে অধিনায়কত্ব ও কোচিং স্টাফ পরিবর্তন করা? আর সবাই এতে ভাববে, তারা অনেক বড় একটি পদক্ষেপ নিয়েছে।’
রমিজ এরপর যোগ করেন, ‘খেলার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে ক্রিকেট এক ইঞ্চিও এগোবে না। নিজেদেরও মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। পছন্দের প্রতিবেদকদের কাছে খবর ফাঁস করার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।’
পাকিস্তানের ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে হতাশার কথা শুনিয়েছেন রমিজ। দাবি তুলেছেন বোর্ডে পরিবর্তনের, ‘ক্লাব ক্রিকেট ধসে পড়েছে। সপ্তাহ শেষে আপনি ক্লাবের মাঠগুলোকে টাকার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ভাড়া দেন, তারা সেখানে টেনিস বলের ক্রিকেট আয়োজন করে। পুরো পদ্ধতিই পরিবর্তন করতে হবে। সবার আগে বোর্ডে পরিবর্তন আনতে হবে।’