- সিরিজ জয়ের আরেকটি সুযোগ বাংলাদেশের সামনে
- ম্যাচ শুরুর সময়ে বৃষ্টির শঙ্কা
- বলছেন নিউজিল্যান্ড কোচ
- ভোট দিন
- টস
- নিউজিল্যান্ড একাদশ
- বাংলাদেশ একাদশ
- চারের পর এলবিডব্লিউ সৌম্য
- আক্রমণাত্মক নাজমুল
- সাউদির জায়গায় সিয়ার্স
- রনির প্রথম চার
- অতি-আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট নাজমুল
- এবার এলবিডব্লিউ রনি, চাপে বাংলাদেশ
- স্যান্টনারের প্রথম ওভারে ৪
- ৮ ওভারে ৫৩/৩
- আফিফও আউট
- ১০ ওভারে ৬৫/৪
- পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
- চাপ, চাপ
- শেষ করলেন সোধি
- স্যান্টনারের তৃতীয়
- স্যান্টনারের চতুর্থ
- উইকেট নম্বর ৮
- ১০০ হবে তো?
- ব্রেকিং নিউজ—১০০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ
- রইল বাকি এক
- ১১০ রানেই থামল বাংলাদেশ
- প্রথম ওভারে ১২
- প্রথম উইকেট
- শরীফুলের প্রথম ওভারে ৮
- মেহেদীর দ্বিতীয়
- দুর্দান্ত শরীফুল!
- পাওয়ারপ্লে শেষে
- মার্ক চ্যাপম্যান রানআউট!
- ৭ ওভারে ৩৮/৪
- রিশাদের ওভারে ৯
- শরীফুলের ছয়ে ছয়
- বোলিংয়ে নাজমুল, ওভারে ১৪
- শেষ করলেন মেহেদী
- ছিটকে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- এবং বৃষ্টি
- ১৭ রানে জিতল নিউজিল্যান্ড
- সিরিজসেরা শরীফুল
- যে ভুল দেখছেন নাজমুল (সবারই দেখার কথা সেটি)
- রেটিং দিন
সিরিজ জয়ের আরেকটি সুযোগ বাংলাদেশের সামনে
নেপিয়ারে ঐতিহাসিক জয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হতে পারেনি বৃষ্টিতে, যেটিতে এক সময় স্বাগতিকদের বেশ চাপে ফেলেছিল তারা। সেখানেই সিরিজ জয়ের আরেকটি সুযোগ আজ বাংলাদেশের সামনে। বছরের শেষ দিনে এখন পর্যন্ত বে ওভালে আবহাওয়া ক্রিকেটের পক্ষে।
প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি সাইফুল্লাহ্ বিন আনোয়ার।
ম্যাচ শুরুর সময়ে বৃষ্টির শঙ্কা
স্থানীয় সময় ১টার দিকে বৃষ্টির শঙ্কা আছে, এমন বলছেন সেখানে থাকা বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান। সে সময়েই শুরু হওয়ার কথা খেলা।
বলছেন নিউজিল্যান্ড কোচ
ছেলেরা চাপে পড়ছে, এটি আসলে আমাকে রোমাঞ্চিত করে তোলে। তারা জানে সিরিজ বা না জেতার প্রভাবটা কেমন।গ্যারি স্টিড
ভোট দিন
টস
টসে জিতে এবার ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
আজও অপরিবর্তিত আছে নিউজিল্যান্ড একাদশ।
মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), টিম সাইফার্ট, ফিন অ্যালেন, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, জিমি নিশাম, বেন সিয়ার্স, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও টিম সাউদি।
বাংলাদেশ একাদশ
আগের ম্যাচ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। পেসার তানজিম হাসানের জায়গায় খেলানো হচ্ছে স্পিনার তানভীর ইসলামকে। লিটন দাস নেই আজও।
রনি তালুকদার, শামীম হোসেন, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, শরীফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম।
চারের পর এলবিডব্লিউ সৌম্য
অফ স্টাম্পের একটু বাইরে থেকে কাভারের ওপর দিয়ে তুলে ইনিংসের প্রথম চারটি মেরেছেন সৌম্য সরকার, টিম সাউদির তৃতীয় বলে। তবে ঠিক পরের বলে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন সৌম্য। রিভিউ করেছিলেন। নিশ্চিতভাবেই ব্যাটে লাগেনি তাঁর। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে (বেশ খানিকটা অপেক্ষার পর), লেগ স্টাম্পে হতো আম্পায়ার্স কল। সৌম্যকে একটু অভাগাই বলতে হবে। সূক্ষ্ণ ব্যবধানে আউট তিনি।
নেমেই দারুণ এক ড্রাইভে চার মেরেছেন নাজমুল। ঘটনাবহুল ওভারশেষে ৯/১।
আক্রমণাত্মক নাজমুল
অ্যাডাম মিলনেও পাচ্ছেন মুভমেন্টের দেখা। প্রথম ওভারের প্রথম ৪ বলে একটি ওয়াইড দিয়েছিলেন শুধু তিনি। তবে তাঁর পরের ২ বলে ২ চার মেরেছেন নাজমুল—পুল করার পর ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মেরে। নাজমুল ইতিবাচক সৌম্য ফেরার পরও। ১ উইকেট হারালেও ইতিবাচক শুরু পেয়েছে বাংলাদেশও।
২ ওভারে ১৯/১।
সাউদির জায়গায় সিয়ার্স
প্রথম ওভারে সফল হলেও সাউদিকে সরিয়ে আনা হয়েছে বেন সিয়ার্সকে। প্রথম ৪ বলে তিনি দিয়েছিলেন ১ রান। এরপর পঞ্চম বলে লেগ সাইডে পায়ের ওপর পেয়ে তুলে নিজের চতুর্থ চারটি মারেন নাজমুল। এ ওভারে অবশ্য ৫ রানের বেশি আসেনি। বাংলাদেশ ৩ ওভারে ২৪/১।
রনির প্রথম চার
সাউদিকে অন্য প্রান্ত থেকে এনেছেন স্যান্টনার। রনি তালুকদারকে তৃতীয় থেকে পঞ্চম ডেলিভারিতে টানা তিনটি ডট করেছিলেন। শেষ বলে গিয়ে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে নিজের প্রথম বাউন্ডারিটি পেয়েছেন রনি। প্রথম ৬ বলে ২ রান করা রনিকে সেটি জোগাবে আত্মবিশ্বাস।
৪ ওভারে ৩০/১।
অতি-আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট নাজমুল
নাজমুল ইতিবাচক ছিলেন, আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু অতি-আক্রমণাত্মক হওয়ার মাশুল দিতে হলো তাঁকে। প্রান্ত বদল করে আসা মিলনেকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে জোরের ওপর খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন তাতে। ক্যাচ গেছে পয়েন্টে। ১৫ বলে ১৭ রান করে থেমেছেন তিনি, বাংলাদেশ হারিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, ৪.২ ওভারে ৩১ রান উঠেছে।
এবার এলবিডব্লিউ রনি, চাপে বাংলাদেশ
পাওয়ারপ্লেতে ৩ পেসারকে দিয়েই করিয়েছেন স্যান্টনার। তবে কাউকেই টানা ২ ওভার করাননি।
রনি ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিলেন পঞ্চম ওভারে—মিলনের বলে ইনসাইড-এজ হলেও বেঁচে গেছেন বোল্ড হননি বলে। তবে পরের ওভারে সিয়ার্সের ইয়র্কারে থামতে হয়েছে তাঁকে এলবিডব্লিউ হয়ে। হৃদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ না করেই হাঁটা দিয়েছেন তিনি। ১০ বলে ১০ রান তাঁর, বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে ৩ বল বাকি থাকতে ৪১ রান তুলতে হারিয়েছে ৩ উইকেট।
তবে বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন রনি। বল মিস করে যেত লেগ স্টাম্প! সৌম্য হয়েছেন লেগ স্টাম্পে আম্পায়ার্স কলে আউট, রনি আউটই হতেন না!
কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে ৪৫ রান তুলতে হারিয়েছে ৩ উইকেট।
স্যান্টনারের প্রথম ওভারে ৪
পাওয়ারপ্লের পরপরই নিজেকে এনেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। আফিফ হোসেন বা হৃদয় খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। একটি ওয়াইডসহ এসেছে ৪ রান। ৭ ওভারে ৪৯/৩।
৮ ওভারে ৫৩/৩
স্যান্টনাররের পর এসেছেন সোধি, তাঁর প্রথম ওভারেও এসেছে ৪ রান। বে ওভালে নিয়ন্ত্রণ নিউজিল্যান্ডের।
আফিফও আউট
লেগ সাইডে আলগা ডেলিভারি পেয়ে চার মেরেছিলেন আফিফ। স্যান্টনারের ওপর চাপ তৈরির সুযোগ এসেছিল। সেটি কাজে লাগানোর বদলে আউটই হয়ে গেলেন আফিফ। ক্রিজ ছেড়ে এসেছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে শট খেলা থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিলেন নিজেকে। পারেননি, ইনসাইড-এজে প্যাডে লেগে উঠেছে ক্যাচ। উইকেটকিপার টিম সাইফার্ট ছিলেন তৎপর। বাংলাদেশের চাপ বেড়েছে আরও!
৯ ওভারে ৫৯/৪।
১০ ওভারে ৬৫/৪
ইনিংসের প্রথম ভাগ নিশ্চিতভাবেই নিউজিল্যান্ডের।
পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
হৃদয়ও কি গেলেন?
স্যান্টনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্যাব করতে চেয়েছিলেন হৃদয়। আম্পায়ার অবশ্য কট বিহাইন্ড দেননি, তবে স্যান্টনার নেন রিভিউ। সফল হয়েছে সেটি।
হ্যাঁ, হৃদয়ও গেলেন! ১১তম ওভারে ৬৮ রান তুলতে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটিং যেমন
চাপ, চাপ
এদিকে বেঁচে গেছেন শামীম হোসেন। উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলেছিলেন, ডাইভ দিয়েও সেটি নিতে পারেননি সাইফার্ট। তবে বাংলাদেশের ইনিংস এখনো গতি পায়নি কোনো। ১৩ ওভারে ৭৬/৫।
শেষ করলেন সোধি
মাত্র একটি চার দিয়েছেন। উইকেট না পেলেও দারুণ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন নিউজিল্যান্ড লেগ স্পিনার।
বাংলাদেশ ১৪ ওভারে ৭৮/৫।
স্যান্টনারের তৃতীয়
স্যান্টনারের হাত থেকে বল বেরোনোর পর যেন অনন্তকাল অপেক্ষা করে থাকতে হলো মেহেদীকে। শেষ পর্যন্ত বল যখন গেল তাঁর কাছে, শুধু খোঁচাই দিতে পারলেন! নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের গতির বৈচিত্রে হার মানতে হলো প্রথম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়কে। ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে আরেকটু এলোমেলো হয়ে পড়ল বাংলাদেশ!
স্যান্টনারের চতুর্থ
১১তম ওভারের শেষ বলে উইকেট পেয়েছিলেন, এবার প্রথম বলেই। ফলে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন স্যান্টনার। সেটি পাননি। তবে ৩ বল পর ঠিকই পেয়েছে ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা! মিডল স্টাম্প থেকে বসে পড়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন শামীম। ফাইন লেগে থাকা টিম সাউদিকে পার করাতে পারেননি। বাংলাদেশ হারিয়েছে সপ্তম উইকেট!
বাংলাদেশের মিডল অর্ডার একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।
উইকেট নম্বর ৮
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বছরের শেষ দিন শেষ করতে চাচ্ছেন দ্রুত! এবার বেন সিয়ার্সের স্লোয়ারে তুলে মারতে গিয়ে কাভারে ধরা পড়েছেন শরীফুল ইসলাম। অষ্টম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ১০০ রান এখনো ১৩ রান দূরে!
১০০ হবে তো?
আপাতত বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ‘প্রাপ্তি’ হতে পারে এটিই, ওপরের রেকর্ডটির পুনরাবৃত্তি হতে না দেওয়া। ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৪/৮।
ব্রেকিং নিউজ—১০০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ
সিয়ার্সকে দারুণ এক ড্রাইভ মেরেছেন বাংলাদেশের দশ নম্বর ব্যাটসম্যান তানভীর ইসলাম। সেই চারের পর লেগ সাইডে নেওয়া সিঙ্গেলে ১০০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। যেভাবেই হোক, সিয়ার্সের শেষ ওভারে এসেছে ৯ রান। ইনিংসে যেটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ!
রইল বাকি এক
চার বা ছক্কা ছাড়া কিছু মাথায় যেন ছিল না তানভীরের। তিনি অবশ্য সাউদিকে লেগ সাইডে বড় শট খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ডে ক্যাচ দিয়ে থামলেন। বাংলাদেশের বাকি আর ১ উইকেট, ইনিংসে বাকি ১০ বল।
১১০ রানেই থামল বাংলাদেশ
মিলনের বলে বোল্ড রিশাদ। ১১০ রানেই শেষ বাংলাদেশ।
সর্বোচ্চ জুটিটি ২৭ রানের। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৭ রানের। এরপর যা হওয়ার, হয়েছে সেটিই। মাউন্ট মঙ্গানুইতে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ থেমেছে ১১০ রানে। সেটিও ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে।
পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর মাঝের ওভারে মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে পড়ে আরও এলোমেলো হয়ে পড়ে তারা। সঙ্গে ছিল ইশ সোধির আঁটসাঁট বোলিং। স্যান্টনার একাই নেন ৪ উইকেট। তিনি ও সোধি মিলে ৮ ওভারে দেন মাত্র ৩২ রান।
সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। আপাতত সেটি স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
প্রথম ওভারে ১২
প্রথম ওভার করতে এসে ফিন অ্যালেনকে দুটি ‘লং হপ’ উপহার দিয়েছেন তানভীর। প্রথমটি অল্পর জন্য ছক্কা হয়নি, পরেরটি অল্পর জন্য হয়েছে। প্রথম ওভারে উঠেছে ১২ রান। যা নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্যের প্রায় ১১ শতাংশ!
প্রথম উইকেট
রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বেসামাল হয়ে ক্রিজের বাইরে চলে গিয়েছিলেন টিম সাইফার্ট। সে সুযোগ নিয়েছেন উইকেটকিপার রনি তালুকদার। ১ রানে স্টাম্পিং হয়েছেন সাইফার্ট। মেহেদী হাসান সফল প্রথম ওভারে।
২ ওভারে ১৬/১।
শরীফুলের প্রথম ওভারে ৮
ইনিংসে প্রথম পেসার হিসেবে তৃতীয় ওভার করতে এসেছিলেন শরীফুল, তাঁর ওভারে এসেছে ৮ রান। ৩ ওভারে ২৪ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড।
মেহেদীর দ্বিতীয়
আগের ম্যাচে মিচেল ঠিক স্বছন্দ্য ছিলেন না, তবে বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি পুরোটা। এবারও সংক্ষিপ্ত ইনিংসে ঠিক স্বচ্ছন্দ্য মনে হয়নি তাঁকে। মেহেদী হাসান তাঁকে ফেরালেন এ সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো। ফুললেংথ থেকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়েছেন মিচেল। মেহেদী পেয়েছেন দ্বিতীয় উইকেট, বাংলাদেশ পেয়েছে দ্বিতীয় উইকেট!
দুর্দান্ত শরীফুল!
গ্লেন ফিলিপস বোল্ড! সিমে পড়ে একটু ভেতরে ঢুকেছে বল। ফিলিপস মিস করে গেছেন সেটি। পঞ্চম ওভারে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। যে ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট হিসেবে রান তাড়া শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড, এখন তারাই চাপে! ৫ ওভারে ৩০/৩।
পাওয়ারপ্লে শেষে
পাওয়ারপ্লেতে ৪৫ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ৩৫ রান তুলতেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের আকাশে মেঘ, দ্রুতই নামতে পারে বৃষ্টি। সেক্ষেত্রে ডিএলএস পদ্ধতি কাজে আসবে। আপাতত ১ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড
মার্ক চ্যাপম্যান রানআউট!
ক্রিজের মাঝে দুই ব্যাটসম্যানের সংঘর্ষ! রানআউট ফিন অ্যালেন! ‘ইটস অল হ্যাপেনিং’!
মোস্তাফিজের বলে কাভারে খেলেছিলেন ফিন অ্যালেন। ডাবলস হয়ে যেত সহজেই। তবে দ্বিতীয় রানটি নিতে গিয়ে দুজনেরই দৃষ্টি ছিল বলের দিকে। তাতে হয়ে গেছে সংঘর্ষ। কেউই আর অন্য প্রান্তে যেতে পারেননি। ননস্ট্রাইক প্রান্তে ফিরতে গিয়েও পারেননি চ্যাপম্যান। সে সংঘর্ষে আঘাত পেয়েছেন অ্যালেন, আর আউট হয়ে গেছেন চ্যাপম্যান। বে ওভালে হুট করেই ফেবারিট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ!
৭ ওভারে ৩৮/৪
এ মুহূর্তে ডিএলএসে ৭ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
রিশাদের ওভারে ৯
লেগ সাইডে ক্রিজের মাঝামাঝি পড়া বল—অ্যালেন মিস করেননি রিশাদের উপহার। মেরেছেন ছক্কা। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করলেও রিশাদ প্রথম ওভারে এসে চাপ আলগা করে দিলেন একটু। তাঁর প্রথম ওভারে এসেছে ৯ রান।
ডিএলএসে দুই দলই সমান এখন।
শরীফুলের ছয়ে ছয়
ফিন অ্যালেনকে ষষ্ঠ বারের মতো আউট করলেন শরীফুল! ম্যাচ আপ শরীফুলের পক্ষে, নাজমুল এনেছেন তাঁকে। সফলও হয়েছেন শরীফুল। লেংথ বলে লাইন মিস করে বোল্ড ৩১ বলে ২৮ রান করা অ্যালেন, ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ছিল অনেকটা ফাঁক। বাংলাদেশ পেয়ে গেছে পঞ্চম উইকেটের দেখা। ৮.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৪৯ রান। এ উইকেটের পর ডিএলএসে বাংলাদেশ এগিয়ে ৭ রানে।
বোলিংয়ে নাজমুল, ওভারে ১৪
ক্রিজে দুজন বাঁহাতি। তবে একমাত্র অফ স্পিনার মেহেদীর বাকি মাত্র ১ ওভার। নাজমুল হোসেন নিজেই তাই এসেছেন বোলিংয়ে। তবে তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন জিমি নিশাম। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে ছক্কা মেরেছেন। এরপর রিভার্স সুইপে মেরেছেন চার। নাজমুলের ওভারে এসেছে ১৪ রান। তাঁর জুয়া কাজে লাগেনি। ১০ ওভারশেষে ৫ উইকেটে ৬৩ রান নিউজিল্যান্ডের, যারা এগিয়ে গেছে ডিএলএসে।
১০ ওভারশেষে ৬৫ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
শেষ করলেন মেহেদী
উইকেটের খোঁজে মেহেদীকে এনেছেন নাজমুল। এ অফ স্পিনারের শেষ ওভারে একটি চার মেরেছেন স্যান্টনার। ৭ রান দিয়েছেন তিনি। তবে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে নিজের কাজটি করে রাখলেন মেহেদী। এবার বাকি বোলারদের পালা। আপাতত স্যান্টনার ও নিশাম জুটি গড়ছেন, এগোচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ৪৮ বলে তাদের দরকার ৩৬ রান।
ছিটকে যাচ্ছে বাংলাদেশ
মোস্তাফিজের ওভারে ৭ রানের পর রিশাদের ওভারে ৯ রান। নিউজিল্যান্ডকে এখন অনেকটাই স্বস্তি এনে দিয়েছেন নিশাম। নিউজিল্যান্ডের দরকার আর ২০ রান। বাকি ৩৬ বল। ডিএলএসেও অনেকটা এগিয়ে তারা।
এবং বৃষ্টি
অনেক্ষণ ধরেই আসি আসি করছিল বৃষ্টি। অবশেষে নামল সেটি। আম্পায়াররা বন্ধ করে দিয়েছেন খেলা। ১৪.৪ ওভারে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ৯৫ রান। ডিএলএস পদ্ধতিতে ১৭ রানে এগিয়ে তারা।
এখনকার যে চিত্র, তাতে এ ম্যাচ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই খুব একটা।
১৭ রানে জিতল নিউজিল্যান্ড
এসেছে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত। আর খেলা হবে না মাউন্ট মঙ্গানুইতে। তৃতীয় ম্যাচ ডিএলএস পদ্ধতিতে ১৭ রানে জিতে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করল নিউজিল্যান্ড।
সিরিজসেরা শরীফুল
যে ভুল দেখছেন নাজমুল (সবারই দেখার কথা সেটি)
বোলাররা দারুণ কাজ করেছে। টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের ব্যাটসম্যানরা শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেনি। এ ভুলই করেছি আমরা।নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ অধিনায়ক