নাথান এলিসকে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে চান পেইন

নাথান এলিসকে এবারের বিশ্বকাপে দলের মূল পেসারদের একজন হিসেবে দেখতে চান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক টিম পেইনপ্রথম আলো

গতি নয়, নাথান এলিসের পরিচিতি তাঁর স্লোয়ার বলের জন্য। বিগ ব্যাশ থেকে অস্ট্রেলিয়া দল, এমনকি আইপিএলেও তিনি জায়গা করে নিয়েছেন গতির বৈচিত্র্য দিয়ে। সঙ্গে ব্যাটিং–দক্ষতা তো আছেই। কিন্তু বোলিংয়ের ধরনের কারণেই অস্ট্রেলিয়া দলে তিনি নিয়মিত নন। কন্ডিশন পক্ষে থাকলেই অস্ট্রেলিয়া দলের একাদশে ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের নাম খুঁজে পাবেন। আর উইকেটটা হতে হবে মন্থর, নিচু বাউন্সের। দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ ম্যাচের একটিই এলিস অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে খেলেছেন।

ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রাভেলিং রিজার্ভ ছিলেন এলিস, ২০২২ সালে বিশ্বকাপ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে দলে রাখা হয়নি। এবার খেলা যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তাই মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলউডের সঙ্গে চতুর্থ পেসার হিসেবে রাখা হয়েছে এলিসকে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক টিম পেইন অবশ্য এলিসকে চতুর্থ পেসার হিসেবে দেখতে চান না। তিনি এলিসকে অস্ট্রেলিয়ার পেস–আক্রমণের সামনের সারির একজন হিসেবেই দেখেন।

আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার টিম পেইন
এএফপি

ক্রিকইনফোকে তিনি এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ভালো করার দারুণ সম্ভাবনা আছে। আমি আশা করি, ওরা বিশ্বকাপে সুযোগটা কাজে লাগাবে এবং নাথান এলিসকে দলে নেবে। তাকে আমি তৃতীয় পেসার হিসেবে দেখছি। আমি মনে করি, সে অন্যদের কাজটা সহজ করে দেবে। তার ভিন্ন দক্ষতা আছে, ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বোলিং করে। সে বোলিং–আক্রমণে বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে। আর বিশ্বকাপ জিততে হলে আপনার বোলিং–আক্রমণে বৈচিত্র্য দরকার।’

এলিসকে জায়গা দিতে হলে তিন তারকা পেসারের একজনকে একাদশের বাইরে রাখতে হবে। বাঁহাতি পেসার হিসেবে স্টার্ক একাদশে জায়গা করে নেবেন সহজেই। বাকি রইল কামিন্স ও হ্যাজলউড। পেইন দুজনের মধ্যে একজনকে একাদশে রেখে এলিসকে সুযোগ দিতে চান, ‘আমি মিচেল স্টার্ককে দলে নেব। সে আমার ১ নম্বর বোলার। আমি অবশ্যই লেগ স্পিনে অ্যাডাম জাম্পাকে দলে রাখব। কামিন্স ও হ্যাজলউডের মধ্যে একজনকে বেছে নেব।’

আরও পড়ুন

এলিসকে বেছে নেওয়ার যুক্তিও দিয়েছেন পেইন। তাঁর কথা, ‘নাথান এলিসের অলরাউন্ড দক্ষতা ব্যবহার করতে চাইব। পাওয়ারপ্লেতে বল করা, স্লোয়ার বলের ব্যবহার আর তার বোলিং–চাতুর্য দলের জন্য কার্যকর হতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সে খুব বেশি সুযোগ পায়নি। কিন্তু অল্প সুযোগেই সে দারুণ করেছে। আর মনে করি, এটাই তাঁকে সুযোগ দেওয়ার সঠিক সময়। তবে এটা ঠিক, কামিন্স ও হ্যাজলউডই দেশের সেরা দুই পেসার। কিন্তু এলিস পুরো বোলিং–আক্রমণে বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে।’

আরও পড়ুন