আলোকস্বল্পতা দুই দিনে জিততে দেয়নি ইংল্যান্ডকে

গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসে উইকেট শিকারে শীর্ষ পাঁচে উঠে এসেছেন ব্রডছবি: এএফপি

পাঁচ দিনের ম্যাচ। প্রথম দিন খেলা হলো না বৃষ্টিতে। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও কোনো খেলা হয়নি। প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জানাতেই খেলা হয়নি সেদিন। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট ম্যাচটি শুরু হলো তৃতীয় দিনে।

সেদিন ওভালে উইকেট পড়েছিল ১৭টি। উইকেট-বৃষ্টি হলো ম্যাচের চতুর্থ দিনেও। রোববার পড়েছে ১৩ উইকেট। পাঁচ থেকে তিন দিনের হয়ে যাওয়া ম্যাচটি শেষ হতো পারত দুদিনের মধ্যেই। হয়নি আলোকস্বল্পতা বাগড়া দেওয়ায়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে অলআউট করে ১৩০ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।

কোনো উইকেট না হারিয়েই ইংল্যান্ড ৯৭ রান তুলে ফেলার পর আলোকস্বল্পতায় একটু আগেভাগেই বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সিরিজ জিততে সোমবার ম্যাচের শেষ দিনে ৩৩ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিতে হবে ১০ উইকেট। তবে প্রকৃতিও জল ঢালতে পারে সব উত্তেজনায়।

অবশেষে রানের দেখা পেলেন জ্যাক ক্রলি
ছবি: এএফপি

ইংল্যান্ড চতুর্থ দিনটা শুরু করে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে। তবে মাত্র ১৬ বলের মধ্যে ৪ রান যোগ করেই অলআউট ইংলিশরা। বেন ফোকসকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসের যতি টানা মার্কো ইয়ানসেন সাত টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়ে যান। ৪ উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার কাগিসো রাবাদা।

দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালোই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সোরেল এরভইয়ার (২৬) ও ডিন এলগারের (৩৬) উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৮ রান। এরভইয়ারকে প্রথম স্লিপে জো রুটের ক্যাচ বানিয়ে জুটিটা ভাঙেন বেন স্টোকস। কিগান পিটারসেনকে (২৩) নিয়ে এলগার রানটাকে ৮৩ করে ফেলার পরই বিপর্যয়ের শুরু। ৮৩ থেকে ১৬৯—এই ৮৬ রানে শেষ ৯ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডের চার পেসার ভাগাভাগি করেছেন সব উইকেট।

স্টুয়ার্ট ব্রড ও বেন স্টোকস নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট, জেমস অ্যান্ডারসন ও ওলি রবিনসন ২টি করে। প্রথম উইকেটটি নিয়েই গ্লেন ম্যাকগ্রাকে (৫৬৩) ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসে উইকেট শিকারে শীর্ষ পাঁচে উঠে এসেছেন ব্রড (৫৬৬)। রান তাড়ায় ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রলি ফিফটি পেয়ে গেছেন। ৪৪ বলে ১০ চারে ৫৭ রানে অপরাজিত তিনি। আরেক ওপেনার অ্যালেক্স লিস অপরাজিত ৩২ রানে।