উমরান ও হারিসের পার্থক্য বোঝাতে যখন কোহলি ‘উদাহরণ’
এ সময়ের ক্রিকেটে গতির জন্য আলাদাভাবে উচ্চারিত হয় পাকিস্তানের হারিস রউফ ও ভারতের উমরান মালিকের নাম। সাম্প্রতিক সময়ে দুই পেসারই ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশের গতিতে বল করছেন। পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ অবশ্য দুজনের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য দেখেন।
ভারতের পেসার উমরান ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারে করলেও ধারাবাহিক নন। মানে শুরুটা ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে করলেও নিজের সপ্তম কিংবা অষ্টম ওভারে তাঁর গতি নেমে আসছে ঘণ্টায় ১৩৮ কিলোমিটারের আশপাশে। হারিসের ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয় বলেই মনে করেন আকিব জাভেদ।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘণ্টায় ১৫৯ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ। ২৩ বছর বয়সী উমরানকে ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগামী পেসার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইপিএলে ঘণ্টায় ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতি তুলেছেন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৬ কিলোমিটার।
পাকিস্তানের হয়ে ২২ টেস্ট ও ১৬৩ ওয়ানডে খেলা সাবেক পেসার আকিব জাভেদও এক সময় গতিতে ত্রাস ছড়াতেন। ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের ছায়ায় ঢাকা পড়া আকিবের টেস্ট অভিষেক মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ওয়ানডেতে ১৮২ ও টেস্টে ৫৪ উইকেট নেওয়া আকিব পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়েও ভূমিকা রেখেছেন। চোটে পড়া ওয়াকার ইউনিসের জায়গায় খেলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপে। খেলা ছেড়ে কোচিংয়ে নামা আকিব উমরান ও হারিস রউফকে নিয়ে কথা বলেছেন ‘ইভেন্ট অ্যান্ড হ্যাপেনিংস স্পোর্টস’–এর ইউটিউব চ্যানেলে।
দুই পেসারের মধ্যে তুলনা টেনে আকিব বলেছেন, ‘উমরান মালিক হারিস রউফের মতো অতটা ফিট ও ট্রেনিং পায়নি। ওয়ানডেতে যদি তাকে (উমরান) দেখেন, প্রথম স্পেলে সে হয়তো ঠিকই ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে বল করছে, কিন্তু সপ্তম কিংব অষ্টম ওভারে সেটাই নেমে আসছে ঘণ্টায় ১৩৮ কিলোমিটারে।’
আকিব এরপর উমরান ও হারিসের তুলনায় বিরাট কোহলির উদাহরণ দেন। কোহলি বর্তমানে অন্য ব্যাটসম্যানদের তুলনায় ধারাবাহিকতায় অনেক এগিয়ে, এটা বুঝিয়ে আকিব বলেছেন, ‘কোহলি ও বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যে পার্থক্য, তাদের মধ্যেও পার্থক্যটা ঠিক তেমনই। হারিস ফিটনেস ও খাবার নিয়ে খুব সচেতন। তার মতো খাবার নিয়ে সচেতন পেসার পাকিস্তানে আর একজনও নেই। এত পরিচ্ছন্ন জীবনও কারও নেই।’
৫০ বছর বয়সী সাবেক এই পেসারের কাছে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। গতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই আকিবের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করা আমার কাছে অত গুরুত্বপূর্ণ নয়। গোটা ম্যাচে একই গতিতে বল করা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’