স্বপ্নের ট্রফি ছুঁয়ে দেখলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা
ক্রিকেটাররা এলেন একটু আগেভাগেই। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এক পাশে সাজানো মঞ্চটায় সবাই এসে দাঁড়ালেন। এবার অপেক্ষা বিশ্বকাপ ট্রফির। সোনালি সেই ট্রফিটা নিয়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ছবি তুলবেন। সে জন্য মিরপুর স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই সংবাদকর্মীদের ভিড়।
কিছুক্ষণ পর হাস্যোজ্জ্বল মুশফিকুর রহিম বেরিয়ে এলেন ড্রেসিংরুম থেকে, হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি। মিরপুরের মেঘলা দিনেও যার সোনালি দ্যুতি ছড়িয়েছে চারদিকে। আইসিসির কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সে দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন। সংবাদকর্মীদের ক্যামেরাও ছিল সেদিকে। মঞ্চ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ট্রফি বয়ে আনলেন মুশফিকই।
এরপর জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তুললেন। ছবি তোলার পর ক্রিকেটারদের অনেকেই অনুশীলনে যোগ দিলেন। তবে তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শামীম হোসেন, তানজিদ হাসান ও রিশাদ হোসেন মঞ্চেই রয়ে গেলেন।
তাসকিন ট্রফিটা খুঁটিয়ে দেখছিলেন। তানজিম ওদিকে সতীর্থদের ছবি তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিজের মুঠোফোনে শামীমের ছবি তুললেন। ছবি তোলার সময় শামীম ট্রফিতে চুমুও খেলেন। তানজিদ ও রিশাদেরও ছবি তুললেন তানজিম। এরপর তানজিম নিজেই ট্রফির সঙ্গে ছবি তুললেন।
এরপর মঞ্চে মুশফিক, তাসকিন ও স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ পালা করে আইসিসির কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশে নেন। মুশফিক বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞতার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলকে বিশ্বকাপে এগিয়ে রাখবে বলে তাঁর বিশ্বাস। তাসকিন বাংলাদেশ দলের পেস বিভাগের প্রশংসা করেছেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার তিনটি কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি দলীয় চেষ্টা, আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করেন।
কিছুক্ষণ পর বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঝমাঠে। সেখানে ফটোসেশন শেষে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন মাঠকর্মীরা। ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পায় বিকেএসপির ক্রিকেট বিভাগের ছাত্ররাও। তাদের জন্য মিডিয়া প্লাজায় আলাদা করে মঞ্চ সাজানো হয়। বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটাররাও ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছেন।
সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে নির্বাচক হাবিবুল বাশারও এসেছেন ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে। সেখানে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ট্রফিটা ছুঁতে পেরে খুব ভালো লাগছে, একটা স্বপ্ন তো থাকেই। যদি খোলা ট্রফিটা ধরতে পারতাম জেতার পর, তাহলে আরও ভালো লাগবে। একটু রোমাঞ্চ অনুভব করছি, আমাদের জন্য বিশ্বকাপ মনে হচ্ছে আজকে শুরু হয়ে গেল।’
আর সে যাত্রায় বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশাবাদী মনে হলো হাবিবুলকে, ‘প্রতিটা বিশ্বকাপ আসে আশা নিয়ে, দিন দিন আশা বাড়ছে। আশা প্রতিবারই পরিবর্তন হচ্ছে, আর এবারের আশাটা শুধু আমার নয়, সবারই একটু বেশি। কারণ, দুই বছর ধরে খুব ভালো খেলছি আমরা ৫০ ওভারের সংস্করণে।’
বিশ্বকাপ ট্রফি বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রফি উন্মুক্ত থাকবে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে। সেখানে জনসাধারণের দেখার ব্যবস্থা থাকবে।