শোয়েব মালিকের ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন’ সানিয়া মির্জা
২০১০ সালে শুরু হয়েছিল ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার যৌথ পথচলা। সেই পথচলা শুরুর সময়েই একটা ধাক্কা খেয়েছিল এই জুটির যাত্রা। ভারতের হায়দরাবাদের এক তরুণী আয়েশা সিদ্দিকী সেই সময় দাবি করেছিলেন—শোয়েব মালিক অনেক আগেই তাঁকে বিয়ে করেছেন! পরে জানা গেছে আয়েশার দাবি সত্য ছিল।
টেনিস কোর্টে অনেকবারই হোঁচট খেয়েছেন, আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। জীবনে চলার পথে বিয়ের সময় খাওয়া সেই ধাক্কাও হজম করে নিয়েছিলেন সানিয়া। মালিকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে এগিয়ে চলছিলেন জীবনের পথ। সেই চলার পথেই ২০১৮ সালে দুজনের ঘর আলো করে পৃথিবীর আলো দেখে ছেলে ইজহান মির্জা মালিক।
কিন্তু হঠাৎই গুঞ্জন ওঠে, শোয়েব-সানিয়ার সংসার ঠিক নেই। কেউ বলছিলেন, ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে দুজনের। কেউ আবার বলছিলেন, ছাড়াছাড়ি ঠিক হয়নি, তবে দুজন আলাদা থাকছেন। এসব গুঞ্জনের মধ্যেই শোয়েব মালিককে বেশ কয়েকবার দেখা যায় পাকিস্তানের টিভি অভিনেত্রী আয়শা ওমরের সঙ্গে। গুঞ্জন তখন ডালপালা মেলে ওঠে চরমে। তবে শোয়েব ও আয়শা দুজনেই বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তবে গতকাল শোয়েবের পোস্টের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, আয়শা নন, শোয়েবের সম্পর্ক সানা জাভেদের সঙ্গে। কাল বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের হয়ে ম্যাচ খেলতে নামার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সানার সঙ্গে বিয়ের সাজের একটি ছবি দেন তিনি। ছবিটি দিয়ে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, নিশ্চয়ই তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে।’ এতেই সবাই বুঝে নেয়, ৪১ বছর বয়সী পাকিস্তানি ক্রিকেটার জীবনের ইনিংসে নতুন জুটি গড়েছেন।
মালিকের এই পোস্টের পর সবার মনেই প্রশ্ন জাগে, সানিয়ার সঙ্গে কি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটারের? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সানিয়ার পরিবারের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করে সংবাদমাধ্যম। সেখান থেকে শুধু বেরিয়ে আসে, একতরফাভাবে ডিভোর্সের অধিকার বিয়ের সময়ই দেওয়া হয়েছিল সানিয়াকে! তবে আজ বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে সানিয়ার ছোট বোন আনাম মির্জা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি পোস্ট করেন।
সানিয়ার পরিবার ও সানিয়া টিমের নামের প্রচার করা সেই বিবৃতিতে লেখা ছিল, ‘সানিয়া সব সময়ই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন জনসাধারণের আড়ালে রেখেছেন। যা–ই হোক, আজ এটা জানানোর প্রয়োজন হয়েছে যে শোয়েব আর তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ কয়েক মাস আগেই হয়ে গিয়েছে। সে শোয়েবের নতুন যাত্রার জন্য শুভকামনা জানিয়েছে।’ এরপর সানিয়ার ভক্ত-সমর্থকদের কাছে তাঁর গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের পত্রিকা ‘দ্য পাকিস্তান ডেইলি’ সানা জাভেদের সঙ্গে মালিকের বিয়ে নিয়ে একটি খবর ছাপে। সেখানে তারা জানিয়েছে, এ বিয়েতে মালিকের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সানিয়ার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের একটি কারণও সেখানে বলা হয়েছে মালিকের বোনের বরাত দিয়ে। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘ডিভোর্সি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিয়েতে তাঁর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।’
এরপর তারা লিখেছে, ‘টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নিয়ে মালিকের বোনেরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বলা হচ্ছে, মালিকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সানিয়া হাঁপিয়ে উঠেছিলেন।’