প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখতে নিয়মিত উইকেট নেওয়ার বিকল্প নেই। এ ম্যাচে সেটিই করেছে বাংলাদেশ বোলাররা। তিনজন পেসারকে সাধারণত একসঙ্গে এভাবে কার্যকর হতে দেখি না। সঙ্গে স্পিনাররা ভালো করলে তো কথাই নেই। থিতু ব্যাটাররা একটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে বাংলাদেশের সুযোগ ছিল খেলাটাকে কঠিন না করে জেতার। তবে দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সব প্রতিরোধ ভেঙে রিশাদের এ অভাবনীয় ইনিংসে অর্জিত জয় বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সিরিজ জয়ের গৌরব এনে দিয়েছে, এটিই আনন্দের।
শরীফুল ইসলাম ৬/১০
উইকেট না পেলেও ভালো বোলিং করেছে। একটা সফল বোলিং জুটিতে অনেক সময় এক প্রান্ত থেকে রক্ষণাত্মক বোলিংও জরুরি হয়ে পড়ে।
তাসকিন আহমেদ ৭.৫/১০
শরীরী ভাষা ও হাস্যোজ্জ্বল মুখই বলে দেয়, তাসকিন নিজের বোলিং কতটা উপভোগ করেছে। শুরুতেই তার ২ উইকেট খেলার সুরটা ধরিয়ে দিয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান ৭/১০
ব্যাটারদের একেবারেই হাত খুলে খেলতে জায়গা দেয়নি, বিশেষ করে অফসাইডে। ভালো বোলিংয়ে ২ উইকেট পাওয়া এবং ব্যাটারদের ওপর পুরোটা সময়জুড়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা—সব মিলিয়ে দারুণ একটা দিন গেছে মোস্তাফিজের।
সৌম্য সরকার ৪/১০
দুঃখজনকভাবে আঘাত পেয়ে বাইরে চলে যেতে হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরবে। মাত্র ২ ওভার বোলিং করলেও ম্যাচের প্রেক্ষাপটে ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৭.৫/১০
উইকেটে খুব একটা সহায়তা না থাকলেও মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। ২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি চাপ বজায় রেখেছে। ব্যাটিংয়ে মুশফিকের সঙ্গে ৪৮ রানের ইনিংসটিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রিশাদ হোসেন ৯/১০
বোলিং সন্তোষজনক। তবে নিজের প্রথম বলে উইকেট পাওয়ার পরও তখনকার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কিছুটা রক্ষণাত্মক মনে হয়েছে। কিন্তু ১৮ বলে ৪৮ রান করে রিশাদ দেখিয়ে দিয়েছে ব্যাট হাতে তার সামর্থ্যটা।
এনামুল হক ৪.৫/১০
শুরু থেকে এতটা রক্ষণাত্মক না হলে হয়তো এতটা চাপে পড়তে হতো না। তারপরও তানজিদের সঙ্গে ৫০ রানের জুটিটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তানজিদ হাসান ৮.৫/১০
কনকাশন নিয়মের সুবাদে সুযোগ পেয়ে ভালো কাজে লাগাল। ইতিবাচক মানসিকতা খুবই ভালো, তবে সেটিকে গুছিয়ে ব্যবহার করাও জরুরি।
নাজমুল হোসেন ৫/১০
বডিলাইনে শর্ট পিচ বোলিংয়ের বিপক্ষে অস্বস্তি থাকলে সামগ্রিকভাবে তা ফুটওয়ার্কে ব্যাঘাত ঘটায়, বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার মানসিক সক্ষমতা থাকলেও তার প্রয়োগ আজ দেখিনি। তবে দলকে উজ্জীবিত রাখা, বোলারদের ব্যবহার এবং দল পরিচালনা ছিল যথার্থ।
তাওহিদ হৃদয় ৬/১০
দুর্ভাগ্যজনকভাবে টপ এজড হয়ে আউট হয়েছে। কিন্তু ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ যথাযথ।
মাহমুদউল্লাহ ২/১০
ভালো একটি বলে আউট হয়েছে।
মুশফিকুর রহিম ৭/১০
অত্যন্ত দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছে। উইকেটকিপিংও প্রশংসনীয়।