ট্রেন্ট ব্রিজের প্যাভিলিয়ন এন্ডের নাম এখন স্টুয়ার্ট ব্রড এন্ড
স্টুয়ার্ট ব্রড নামটা ট্রেন্ট ব্রিজে চিরস্থায়ীই হতে যাচ্ছে। তাঁর ঘরের মাঠ ট্রেন্ট ব্রিজের প্যাভিলিয়ন এন্ডের নাম বদলে ব্রডের নামে রাখা হচ্ছে। একে তো ঘরের মাঠ, সঙ্গে টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংটা ২০১৫ সালের অ্যাশেজে এই ট্রেন্ট ব্রিজেই করেছেন এই কিংবদন্তি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৫ রানে ৮ উইকেট। ১৯৫৬ সালের পর যেটি অ্যাশেজে সেরা বোলিং। এই মাঠেই ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ব্রড। যেটি টেস্ট ট্রেন্ট ব্রিজের একমাত্র হ্যাটট্রিক। সর্বশেষ অ্যাশেজ শেষে অবসর নেওয়া এই পেসারকে তাই স্বীকৃতি দিচ্ছে টেন্ট ব্রিজ।
ঘরের মাঠে এমন স্বীকৃতি, স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ব্রড, ‘নটিংহ্যাম্পশায়ার ও ইংল্যান্ডের জার্সি পরার স্বপ্ন নিয়ে শৈশবে যখন প্রথমবার ট্রেন্ট ব্রিজে যাই, স্বপ্নেও ভাবিনি ক্রিকেটে এত স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত কাটানোর মতো ভাগ্যবান আমি হব। ভেবেই অবিশ্বাস্য লাগছে, মাঠের যে অংশের প্রেমে আমি পড়েছিলাম, সেখানেই আমার নাম থাকবে। এমন একজন মানুষ যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নটিংহ্যামে, এটা সত্যিই আমি আর আমার পরিবারের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’
সর্বশেষ অ্যাশেজ শেষে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ব্রড। পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ বলে উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। ক্যারিয়ার শেষ করেছেন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৪ নম্বরে থেকে। টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ব্রড। উইকেট নিয়েছেন ৬০৪টি। অ্যাশেজে স্টুয়ার্ট ব্রডের উইকেট ১৫৩টি, যা ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ও সব মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৪৪ ম্যাচ খেলেছেন ব্রড। উইকেট নিয়েছেন ৮৪৭টি—টেস্টে ৬০৪, ওয়ানডেতে ১৭৮ আর টি-টোয়েন্টিতে ৬৫টি। দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন। টেস্টে ১৩টি ফিফটি ও একটি সেঞ্চুরি আছে তাঁর। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দিনে জোনাথান ট্রটের সঙ্গে ৩৩২ রানের মহাকাব্যিক জুটি গড়েছিলেন, যা টেস্ট ইতিহাসে অষ্টম উইকেটে সর্বোচ্চ।