২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘ভারতকে হারিয়ে সবাই মজা পায়, মজা নিতে দিন’

সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আজ চেন্নাইয়েবিসিসিআই

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জয় এখনো অধরা বাংলাদেশের। ১৩ টেস্ট খেলে ১১ টিতেই হার। এর মধ্যে পাঁচটিতে হার ইনিংস ব্যবধানে। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ও ২০১৫ সালে ফতুল্লায় যে দুটি টেস্ট ড্র করেছে, তাতে ছিল বৃষ্টির আশীর্বাদ।

কিন্তু কখনো হারাতে পারেনি বলে যে এবারও পারবে না বাংলাদেশ, এমন তো কোনো কথা নেই। মাসখানেক আগে টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষেও বাংলাদেশের পরিসংখ্যান এমনই ছিল। ১৩ টেস্ট খেলে ১২টিতে হার, একটি ড্র। সেই বাংলাদেশ সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে সিরিজ জিতেছে দাপটের সঙ্গে, পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে ২-০ ব্যবধানে।

ভারতের বিপক্ষেও কি তাহলে এবার নতুন কিছু দেখা যাবে? উত্তরটা সময়ই দেবে। তবে এই বাংলাদেশকে যে আগের মতো হালকাভাবে নেওয়া যাবে না, তা এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার।

আরও পড়ুন

এই বাংলাদেশের অন্য রকম কিছু করার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলেও। এবার বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে কান পাতলেও শোনা যাবে এক বাড়তি আত্মবিশ্বাসের সুর।

চেন্নাইয়ে ব্যাটিং অনুশীলনে রোহিত শর্মা
ইনস্টাগ্রাম

গাভাস্কারদের সতর্কবার্তা, বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও অনেক লেখালেখি হচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আজ চেন্নাইয়ে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার সংবাদ সম্মেলনেও প্রসঙ্গটা এসেছে। বাংলাদেশ দল ভারতকে এবার হারিয়ে দিতে পারে, এটা কতটুকু বাস্তব?

রোহিত অবশ্য উত্তরটা দিয়েছেন হালকা চালেই, তবে এর মধ্যেও আছে এক প্রচ্ছন্ন হুমকি, ‘সবাই ভারতকে হারাতে চায়। ভারতকে হারিয়ে সবাই মজা পায়। ঠিক আছে, ওদের মজা নিতে দিন। ইংল্যান্ডও তো আমাদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে অনেক কথা বলেছিল। কিন্তু আমাদের কাজ মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে জবাব দেওয়া। যখন ইংল্যান্ড এসেছিল, সংবাদ সম্মেলনে অনেক কথা হচ্ছিল। কিন্তু আমরা কথা শুনে মনোযোগ হারাইনি, নিজেদের খেলায় মনোযোগ দিয়েছিলাম। এবারও আমাদের একই লক্ষ্য—ভালো ক্রিকেট খেলা এবং ম্যাচ জেতা।’

আরও পড়ুন
ফিল্ডিং অনুশীলনে মনোযোগী রোহিত শর্মা
ইনস্টাগ্রাম

শুধু এসব কথাবার্তার জবাব দেওয়ার জন্যই নয়, রোহিতের কাছে এই সিরিজ জেতাটার আরও বড় গুরুত্ব আছে, ‘এই সিরিজের পর আমাদের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট এবং তারপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ; কারণ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল পৌঁছানোর জন্য আমাদের সব ম্যাচেই জিততে হবে।’

আরও পড়ুন