কানপুর হারাতে পারে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ

কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামবিসিসিআই

সারা দিনে বৃষ্টি হয়নি এক ফোঁটাও। তবু গতকাল ম্যাচ শুরু করা যায়নি কানপুরে। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের মতো তৃতীয় দিনও বাংলাদেশ, ভারত দুই দলই কাটিয়েছে গল্প, আড্ডা আর বিশ্রামে। কিন্তু বৃষ্টিবিহীন দিনেও টেস্ট ম্যাচ চালিয়ে নিতে না পারায় বড় দুর্ভোগই অপেক্ষা করছে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের জন্য।

ভবিষ্যতে উত্তর প্রদেশের এই মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ না–ও দিতে পারে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। বোর্ডের একটি সূত্র আইএএনএসকে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কানপুরে ম্যাচ না রেখে লক্ষ্ণৌর একানা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হতে পারে। আইপিএলের দল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মাঠটি এরই মধ্যে টেস্ট আয়োজনের জন্য সক্ষমতার প্রমাণও দিয়েছে।

কানপুর টেস্টে প্রথম তিন দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৩৫ ওভার, সেটিও প্রথম দিনের দুপুরের মধ্যে। এরপর বৃষ্টির কারণে সেদিনের খেলা আগেভাগে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর একই কারণে হয়নি দ্বিতীয় দিনের খেলাও। তবে তৃতীয় দিন সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও খেলা চালাতে না পারায় কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে মাঠে। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো ও দুই আম্পায়ার মিলে মোট তিনবার মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন।

তৃতীয় দিনে বৃষ্টি না হলেও মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত নয় মনে হয়েছে ম্যাচ রেফারির
এএফপি

উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ইউপিসিএ) পিচ কিউরেটর শিব কুমার আইএএনএসকে বলেন, ‘তারা আমাদের মাঠ পর্যবেক্ষণের জন্য তিনটি ভিন্ন সময় দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা কোথায় সেটা বলেননি। মাঠের কোন জায়গায় ভেজা বা অন্য কোনো সমস্যা কি না, বলেননি। আমি বলেছি চাইলে ম্যাচ শুরু করতে পারেন। কোনো সমস্যা থাকলে সেটাও বলেন।’

আরও পড়ুন

পিচ কিউরেটর সংবাদমাধ্যমে সমস্যার কথা জানতে পারেননি বললেও বাংলাদেশ দলকে ভেজা আউটফিল্ডের কথাই বলেছেন ম্যাচ রেফারি। কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা আছে আগে থেকেই। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় কড়া সমালোচনাও করেছেন। গতকাল প্রেসবক্সে বিসিসিআইয়ের স্কোরার জানান, খেলা বন্ধ আলোকস্বল্পতার কারণে।

লক্ষ্ণৌর একানা স্টেডিয়ামে নিয়মিত আইপিএলের ম্যাচ হয়
বিসিসিআই

তবে মোটের ওপর গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে বিসিসিআই–ই অসন্তুষ্ট। বোর্ডের একটি সূত্র আইএএনএসকে বলেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ হারাতে পারে গ্রিন পার্ক। কারণ, এর এক শ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই আছে সব সুযোগ–সুবিধাসংবলিত আধুনিক অবকাঠামোর একানা স্টেডিয়াম।

২০১৯ সালের নভেম্বরে এ মাঠে আফগানিস্তান তাদের হোম ম্যাচ খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এ মাঠেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত–ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকাসহ মোট ৫ ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে। আর লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তাদের আইপিএলের ম্যাচও খেলে এখানে। আগামী ১ অক্টোবর একানা স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন ও রেস্ট অব ইন্ডিয়া দলের ইরানি কাপের ম্যাচ।

আরও পড়ুন