রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দুই দিনের শুরুটা হয়েছে দুরকম। বৃষ্টিভেজা প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের পেসারদের দাপটে ১৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপরের গল্পটা পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের।
আজ দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই চলছে ব্যাটসম্যানদের দাপট। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান সৌদি শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৪২ রানের জুটিতে আজ প্রথম সেশন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৫৬ রান।
স্বাগতিকেরা দিন শুরু করে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে। অর্থাৎ, প্রথম সেশনে ৯৮ রান তুললেও কোনো উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। ৮৬ রানে অপরাজিত আছেন শাকিল, রিজওয়ান অপরাজিত ৮৯ রানে।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার যেকোনো দলের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালের পর থেকে পাকিস্তানের ব্যাটিংক্রমে ৫ থেকে ৮ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যানদের গড় ৪৭ রানের চেয়েও বেশি, যা এই সময়ে সর্বোচ্চ। এই হুমকির কোনো জবাব দিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম দিনের শুরুতে ব্যাটসম্যানদের দিকে প্রশ্ন ছোড়া শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদও ছিলেন নিষ্প্রভ। অন্য বোলাররাও বিশেষ কিছু করে দলকে উইকেট এনে দিতে পারেননি।
এর সুযোগ নিয়ে প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে থাকা শাকিল এদিন আরেকটি নতুন রেকর্ড গড়েছেন। গতকালই টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে যৌথভাবে দ্রুততম ১০০০ রানের রেকর্ড গড়েন শাকিল। ছুঁয়ে ফেলেন ১৯৫৯ সালে করা সাঈদ আহমেদের রেকর্ড। আজ সাঈদকে ছাড়িয়ে ২০ ইনিংস পর টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন শাকিল। ২০ ইনিংস শেষে শাকিলের রান এখন ১০৫২।
এর আগে ২০ ইনিংস পর সর্বোচ্চ ছিল সাঈদ আহমেদের ১০৩৩ রান। ঘরের মাঠে শাকিল অবশ্য অনেকটা অপ্রতিরোধ্য। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলেছেন শাকিল। প্রতি ম্যাচে কমপক্ষে একটি করে ফিফটির দেখা পেয়েছেন।
ক্যারিয়ারে ১২তম ফিফটি পাওয়া রিজওয়ান এদিন খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে। গতকাল রিজওয়ান যখন ক্রিজে আসেন, তখন শাকিলের রান ছিল ৪৬। আজ রান তোলার কাজটা নিজের কাঁধে নেন উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান রিজওয়ান। নাহিদ রানার উঠে আসা বল আপার কাট করে চার মেরে ৬৪ বলে ফিফটি তুলে নেন। এখন ১৩১ বলে অপরাজিত আছেন ৮৯ রানে।
ম্যাচে ফিরতে হলে দ্রুতই শাকিল-রিজওয়ানের ১৪২ রানের জুটি ভাঙতে হবে বাংলাদেশকে। নয়তো রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং–সহায়ক উইকেটের দ্বিতীয় দিনে রানের পাহাড়ে চাপা পড়তে হবে নাজমুল–সাকিব–মুশফিকদের।