২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

প্রথম ১৩ বলে ৫ উইকেট, বিপিএলে আবু হায়দারের রেকর্ড

১২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন রংপুর রাইডার্সের আবু হায়দারশামসুল হক

‘সাকিব বনাম তামিম’—চট্টগ্রামে আজ রংপুর রাইডার্স-ফরচুন বরিশাল ম্যাচের ট্যাগ লাইন ছিল এটিই। কিন্তু সাকিব-তামিমের দ্বৈরথ ছাপিয়ে সেই ম্যাচের প্রথম অংশটা নিজের করে নিয়েছেন আবু হায়দার।

লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে থাকা বাঁহাতি পেসার দুর্দান্ত এক স্পেলে ৪ ওভারে ১২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন হায়দার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) বাংলাদেশের কোনো বোলারের এটিই সেরা বোলিং। হায়দার পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানকে। ২০১৭-১৮ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের সাকিব। সব মিলিয়ে বিপিএলের চতুর্থ সেরা বোলিং এটি।

আরও পড়ুন

রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান আবু হায়দারকে আক্রমণে আনেন ১৩তম ওভারে। ততক্ষণে ১২ ওভারে ২ উইকেটে ১১৫ রান তুলে ফেলেছে বরিশাল। প্রথম ওভারেই ৩ উইকেট তুলে নেন আবু হায়দার। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ১৩টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি ওয়ানডে খেলা আবু হায়দার প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন মুশফিকুর রহিমকে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ তোলেন মুশফিক। ২ বল পর সৌম্য সরকারকে বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেট পাওয়া আবু হায়দার পঞ্চম বলে পেয়ে কাইল মায়ার্সের উইকেট। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন রনি নামেই বেশি পরিচিত আবু হায়দারকে।

সৌম্য সরকারকে বোল্ড করার পর আবু হায়দার
প্রথম আলো

প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া আবু হায়দার নিজের দ্বিতীয় ওভারে পেয়ে যান মাহমুদউল্লার উইকেট। টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিডউইকেটে শামীমের হাতে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ। হায়দার পঞ্চম উইকেট পেয়ে যান পরের ওভারের প্রথম বলেই। মেহেদী হাসান মিরাজ লাইনের আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটকিপার নুরুলকে।

২.১-০-৫-৫, আবু হায়দার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির সেরা বোলিংয়ের তালিকা বের করতে বাধ্য করেছিলেন সবাইকে। এরপর করা ১১ বলে অবশ্য আর উইকেট পাননি ১৩ বলের মধ্যে ৫ উইকেট নেওয়া আবু হায়দার।

আরও পড়ুন

এই বাঁহাতির দুর্দান্ত স্পেলেই ১১৫/২ থেকে ১২৮/৭ হয়ে যায় ফরচুন বরিশাল। দলটি শেষ পর্যন্ত করেছে ৯ উইকেটে ১৫১ রান। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৪৬ রান মায়ার্সের। মায়ার্স উইকেটে আসেন তামিম ইকবালের বিদায়ের পর।

৫ উইকেট নেওয়ার পর আবু হায়দার
প্রথম আলো

পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে দলকে ৩৮ রানে বিদায় নেন ৩৩ রান করা তামিম। প্রথম ১৯ বলে ৩৩ রান করা তামিম সাকিবের প্রথম বলেই আউট হয়েছেন। সাকিবের ভেতরে ঢোকা নিরীহ এক বলকে অফ সাইডে খেলতে গিয়ে একস্ট্রা কাভার থেকে দৌড়ে সামনে আসা মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন তামিম।

তামিমের বিদায়ের পর আরেক টম ব্যান্টন (২৪ বলে ২৬) মায়ার্সকে নিয়ে যোগ করেন ৭২ রান। নিশাম ব্যান্টমকে ফেরাতেই ধসের সূচনা। ১ উইকেটে ১১০ থেকে ৭ উইকেটে ১২৮ হতে সময় লাগেনি।  

আরও পড়ুন