এবার তামিমের ৯১, ব্যর্থ নাজমুল

৯১ রানের ইনিংস খেলার পথে চট্টগ্রাম বিভাগের ওপেনার তামিম ইকবাল। আজ সিলেটে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষেছবি: বিসিবি

প্রথম ২০ বলে করেছিলেন ২১ রান। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে ছক্কাটি না মারলে স্ট্রাইক রেট ১০০-এর নিচেই থাকত। তবে এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন তামিম ইকবাল।

ফিফটি ছুঁয়েছেন ৩৭ বলে। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে। ৫৪ বলে ৯১ রানের ইনিংসে সাজিয়েছেন ৭ চার ও ৬ ছক্কায়। গিয়ার বদলে শেষ ৩৪ বলে ৭০ রান নিয়েছেন তামিম। তাঁর দারুণ ব্যাটিংয়েই জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে বরিশাল বিভাগকে ১৮৩ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

সোহাগ গাজী-ফজলে রাব্বি-আবদুল মজিদদের বরিশাল মাত্রই রান তাড়া করতে নেমেছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের দিনে তাঁর দল চট্টগ্রাম জিতবে কি না, তা ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে জানা যাবে।

তবে একই মাঠে নাজমুল হোসেনের দিনটা ভালো কাটেনি। ‘উত্তরবঙ্গ ডার্বি’তে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুলের দল রাজশাহী বিভাগকে ৭ উইকেটে হারিয়ে রংপুর বিভাগ।

কুঁচকির চোট কাটিয়ে ফেরা নাজমুল গতকাল বরিশালের বিপক্ষে ৮০ রান করলেও আজ রংপুরের বিপক্ষে করতে পেরেছেন ৬ রান। তাঁর আউট হওয়ার মুহূর্তটাও ছিল দৃষ্টিকটু। মুকিদুল ইসলামের লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুটা নিচু হয়ে আসা বলে তো ব্যাট ছোঁয়াতেই পারেননি, বোল্ড হওয়ার পর ভারসাম্য হারিয়ে ক্রিজে পড়েও গেছেন!

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করেছিল রাজশাহী। রংপুর এই রানকেও মামুলি বানিয়ে ফেলেছে ওপেনার তানভীর হায়দার (৪৫ বলে ৭১) ও অধিনায়ক আকবর আলীর (২৯ বলে অপরাজিত ৬৮) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের বিভাগ ১৯০ রানের লক্ষ্য টপকে গেছে ৭ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখে।

রংপুর বিভাগকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক আকবর আলী
ছবি: বিসিবি

২০২০ সালে বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো আকবরের এটাই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটি। সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে হওয়া দিনের অন্য ম্যাচে ঢাকা বিভাগকে ১৯ রানে হারিয়েছে ঢাকা মহানগর।

এনসিএল টি২০ দিয়েই সাত মাসের বেশি সময় পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন তামিম। গত বুধবার রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করেন ১০ বলে ১৩ রান। এনামুল হকের বলে বোল্ড হওয়ার পর ‘ভুড়িয়াল’ তামিমের একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ট্রল হয়।

তবে বৃহস্পতিবার সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রামের পরের ম্যাচেই তামিম দেখিয়ে দেন, কেন তাঁকে দেশসেরা ওপেনার বলা হয়। সেই ম্যাচে তাঁর ৩৩ বলে ৬৫ রানের সুবাদে সিলেটকে হারিয়ে দেয় চট্টগ্রাম।

থিতু হওয়ার পর হাত খুলে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল
ছবি: বিসিবি

গতকাল অবশ্য তামিমের বড় ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল না। ফাহাদ হোসেন-মাহমুদুল হাসানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চট্টগ্রামকে মাত্র ৬৫ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ঢাকা বিভাগ। ১০ উইকেটের জয়ে তামিম অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে।