শারজার ‘ছোট’ ব্যাটিং স্বর্গে জাকিরের আশা
ছোট্ট বাউন্ডারি, দারুণ ব্যাটিং উইকেট। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিয়ে বললে এই দুটি কথা বলতেই হবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাঠেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে আজ বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান জাকির হাসানও মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটাই।
বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনের সামনে সাংবাদিকদের জাকির বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ অবশ্যই আছে। কিন্তু আমার মনে হয় খুব ভালো একটা সিরিজ হবে। আমি যতটুকু জানি, শারজার উইকেট খুব ভালো হয়। আশা করি, ভালো একটা সিরিজ হবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো সিরিজের শুরুতে দলটির বোলিং আক্রমণ নিয়েই বেশি আলোচনা হয়। শারজায় আফগানিস্তানের রেকর্ডও ভালো। এ বছর সেখানে খেলা ৫টি ওয়ানডের মধ্যে ৪টিই জিতেছে আফগানরা।
জাকিরও আফগান বোলিংয়ের প্রশংসা করলেন, ‘ওরা বোলিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে। বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে ওদের কী শক্তি আছে, ওটা নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে আমাদের শক্তির জায়গা কোনটা, তা নিয়ে ভাবা ভালো।’
আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দল দীর্ঘ আট মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে। অন্য দুই সংস্করণের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক যা অবস্থা, তাতে টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার উপায় নেই।
সেই টপ অর্ডারের প্রতিনিধি জাকির ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বলেছেন, ‘এটা সত্যি যে আমরা ভালো শুরু দিতে পারছি না। টেস্টে যেমন কয়েকটি ম্যাচেই আমরা ওপেনাররা ভালো করতে পারিনি। এ জন্য আমরা ভুগেছি।’
তবে অতীতের ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে থাকতে চাচ্ছেন না জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান, ‘আমাদের ওটা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। যেহেতু খুব দ্রুত সিরিজগুলো আসছে, পরের সিরিজেই আমরা সবাই চেষ্টা করছি আগের সিরিজের ভুলগুলো কোথায় তা খুঁজে বের করতে। সেগুলো কাটিয়ে উঠে সব সিরিজেই ওপেনিং বা টপ অর্ডার থেকে ভালো জুটি গড়ার চেষ্টা থাকবে, যেন মিডল অর্ডারের কাজটা আরও সহজ হয়।’
বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের একটি বহর গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে। প্রধান কোচ ফিল সিমন্সসহ আরও কয়েকজন গেছেন আজ। ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানার যাওয়ার কথা আগামীকাল।