বাংলাদেশকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
জয়ের জন্য শেষ ওভারে যখন বাংলাদেশ দলের দরকার ১২ রান, হাতে মাত্র ১ উইকেট। যুক্তরাষ্ট্রের আলী খানের করা সেই ওভারের প্রথম দুই বলে এক বাউন্ডারিতে ৫ রান নিলেও তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড বাংলাদেশের শেষ ভরসা রিশাদ হোসেন। আর তাতেই ইতিহাস গড়ে ফেলল যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল দলটি। যেকোনো সংস্করণেই এই প্রথম তারা কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারাল।
হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে প্রথম ম্যাচে হারের পর কাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানে থামায় নাজমুল হোসেনের দল। ছোট্ট রানের লক্ষ্যেও বাংলাদেশের ব্যাটিংটা প্রত্যাশামতো হয়নি। ওপেনার সৌম্য সরকার নিজের খেলা প্রথম বলেই আউট। লিটন দাসের জায়গায় সুযোগ পাওয়া তানজিদ হাসান ১টি চার ও ছক্কায় ১৫ বলে করেছেন ১৯ রান। বাংলাদেশের ইনিংসটাকে এরপর টানার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনের ৪৮ রানের জুটি ভাঙে নাজমুলের রান আউটে। তবে তাঁর ৩৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে ছিল ফর্মে ফেরার আভাস। ২টি চার ও ১টি ছক্কা আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
পরের ওভারে হৃদয়কে ফেরান অ্যান্ডারসন। ১ ছক্কায় ২১ বলে ২৫ রান করে অ্যান্ডারসনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পে বল টেনে আনেন হৃদয়। ১৫তম ওভারে শ্যাডলি ভ্যান শালকউইকের ভেতরে আসা বলে বোল্ড মাহমুদউল্লাহ (৩)। জয়ের জন্য তখন বাংলাদেশ দলের দরকার ৩০ বলে ৩৮ রান। জাকের আলী, সাকিব আল হাসানের পর তানজিম হাসানও অসময়ে আউট হয়ে সহজ কাজটাকে কঠিন করে ফেলেন। ৫ বলে ৯ রান করা রিশাদ শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকায় যা একটু আশা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ১৩৮ রানে থামে বাংলাদেশ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ধরে খেলে কোরি অ্যান্ডারসনের জন্য মেরে খেলার মঞ্চ গড়ে দেন। স্টিভেন টেলরের ২৮ বলে ৩১ রান, অ্যারন জোন্সের ৩৪ বলে ৩৫ রানের পর অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের ৩৮ বলে ৪২ রানে যুক্তরাষ্ট্র ১৬তম ওভারে এক শ ছাড়ায়। তবে ব্যর্থ হয়েছেন কোরি অ্যান্ডারসন। শরীফুল ইসলামের ২ উইকেটের ১টি ১০ বলে ১১ রান করা এই অলরাউন্ডার। আরেক বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানও ২ উইকেট নিয়েছেন। দুজনই ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৮-এর কম। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন তো তাঁর ২ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৫.২ ইকনমি রেটে।