পাকিস্তানের ‘অনলাইন কোচ’ কী, বুঝতে পারছেন না আফ্রিদি
দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থারের সঙ্গে এক অদ্ভুত চুক্তি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তিনি নাকি ‘অনলাইনে’ পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে অনুশীলন করাবেন। ক্রিকেট দুনিয়ায় মিকি আর্থারই খুব সম্ভবত প্রথম ‘অনলাইন কোচ’ হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি এই ‘অনলাইন কোচ’ বস্তুটার কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না।
পিসিবির সঙ্গে আর্থারের চুক্তিটা আসলেই অদ্ভুত। তিনি একই সঙ্গে কাউন্টি ক্রিকেট দল ডার্বিশায়ারের কোচের দায়িত্বও পালন করবেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে একই সঙ্গে তিনি অনলাইনে কোচিং করাবেন। পাকিস্তান দলে থাকবেন তাঁর একজন সহযোগী। বছরের শেষ দিকে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তিনি পাকিস্তান দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
আফ্রিদি বুঝতেই পারছেন না অনলাইন কোচিংটা আসলে কীভাবে হবে, ‘আসলে আমি ঠিক জানি না, এই অনলাইন কোচিং বস্তুটা কি! বিদেশি কাউকে দিয়ে অনলাইনে জাতীয় ক্রিকেট দলকে কোচিং করানোর ধারণাটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।’
বিদেশি কাউকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটিও মেনে নিতে পারছেন না আফ্রিদি, ‘আমি বুঝি না জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে কেন বিদেশি কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে। কেন বিদেশি কোচদের নিয়ে ভাবা হবে। পাকিস্তানে ভালো ভালো কোচ আছেন। তাদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। আমি জানি, পিসিবিও একজনের ব্যাপারে ভেবেছিল, কিন্তু সেটি হয়নি। কারণ, সেই ব্যক্তি এখন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে আমি মনে করি, রাজনীতি আর ক্রিকেটকে আলাদা করে দেখে আমাদের এমন একজনকে খুঁজে বের করতে হবে, যিনি কঠোর হতে পারবেন এবং পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে দারুণ একটি দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। ’
রমিজ রাজাকে সরিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই নাজাম শেঠি একজন বিদেশি কোচের কথা বলছিলেন। এ ব্যাপারে তাঁর পছন্দের শীর্ষে ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে তিন বছর আগেই কাজ করা মিকি আর্থার। তবে আর্থার নিজে ডার্বিশায়ারের তাঁর বর্তমান চাকরি ছেড়ে পাকিস্তানের কোচ হওয়ার ব্যাপারে ঠিক ভরসা পাচ্ছিলেন না।
পিসিবির অনিশ্চিত ব্যাপারগুলোই তাঁকে ভাবাচ্ছিল। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল, আর্থার হয়তো আসছেন না। কিন্তু নাজাম শেঠি জানান, আর্থারের ফেরাটা মোটামুটি নিশ্চিতই। কিন্তু কাল দেখা গেল আর্থারের সঙ্গে এক অদ্ভুত চুক্তি করতে যাচ্ছে পিসিবি। এই ‘অনলাইন কোচ’ নিয়ে পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেদার ট্রল শুরু হয়েছে।