- যে স্কোরকার্ড ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ দল
- স্বাগতম
- টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
- তামিমের জায়গায় নাঈম
- অপরিবর্তিত আফগানিস্তান
- ২০২০, ২০২১, ২০২৩
- ৩ ওভারে ২ নো
- ভালো শুরু আফগানিস্তানের
- ম্যাচের প্রথম ছক্কা, আবারও নো !
- ক্যাচের সুযোগ, হলো না!
- শক্ত ভিত আফগানিস্তানের
- গুরবাজের ফিফটি, সাকিবকে চার–ছক্কায়
- গুরবাজের সুইট সিক্স!
- আফগানিস্তানের ১০০
- ছুটছে আফগানিস্তান
- চার বছর পর
- আফগানিস্তানের ১৫০
- দারুণ অবস্থানে আফগানিস্তান
- বৃথা চেষ্টা
- গুরবাজের সেঞ্চুরি
- এবার জাদরানের ফিফটি
- কত দূর যাবে আফগানিস্তান?
- আফগানিস্তানের ২০০
- রেকর্ড জুটি
- পিষ্ট ইবাদত
- নাজমুলের ওভারে ১৪
- অবশেষে থামলেন গুরবাজ
- জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না রহমত
- শত্রুতা?
- ৩ ওভারে ৩ উইকেট
- ৪০ ওভারে ২৬৭/৩
- চোট পেয়ে উঠে গেলেন ইবাদত
- মিরাজের শিকার নাজিবুল্লাহ
- ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরি
- এবং আউট
- সাকিবের বলে স্টাম্পড রশিদ
- বাউন্ডারি-খরা
- আরেকটি উইকেট
- ৩৩১ রানে থামতে হলো আফগানিস্তানকে
- বেঁচে গেলেন লিটন
- ফারুকির শিকার বাংলাদেশ অধিনায়ক
- রেকর্ড আর রেকর্ড
- মুজিবের বলে বোল্ড নাজমুল
- নাঈম বোল্ড
- রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
- দুর্দান্ত ফারুকি
- শর্ট, শর্ট
- আগুন নিয়ে খেলতে পারবেন সাকিব?
- রশিদের গুগলিতে শেষ হৃদয়
- সাকিবও নেই
- আফিফ গোল্ডেন ডাক
- বৈপরীত্য
- সেই চট্টগ্রাম, এই চট্টগ্রাম
- রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
- ছক্কা নেই
- ২৫০তম ম্যাচে মুশফিকের ৫০
- এবার কোন পথে?
- মিরাজের উইকেটে ভাঙল জুটি
- হারের দিকে আরেক ধাপ এগোল বাংলাদেশ
- বাঁচলেন মুশফিক
- ১৪২ রানে হেরে সিরিজ হারল বাংলাদেশ
যে স্কোরকার্ড ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ দল
স্বাগতম
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ডি/এল নিয়মে ১৭ রানে হেরে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের এই সিরিজের আজকের ম্যাচটি লিটন দাস–সাকিব আল হাসানদের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই।
নতুন অধিনায়ক, নতুন চ্যালেঞ্জ
প্রথম ওয়ানডেতে হারের পরদিন সংবাদ সম্মেলন ডেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর গতকাল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসর ভেঙে তামিম ফেরার ঘোষণা দিলেও মাঠে ফিরতে দেরি হবে। দেড় মাস বিশ্রামে থাকবেন। সিরিজের মাঝপথে তাই বাকি দুই ম্যাচের জন্য লিটন দাসের কাঁধে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অধিনায়ক হিসেবে আজ মাঠে নেমেই সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে লিটন দাসকে।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।
তামিমের জায়গায় নাঈম
অবসর এবং পরে অবসর ভেঙে ফিরে বিশ্রামে যাওয়া তামিম ইকবালের জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ নাঈমকে। পেস বিভাগেও আছে একটি পরিবর্তন। তাসকিন আহমেদের জায়গায় খেলছেন ইবাদত হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও ইবাদত হোসেন।
অপরিবর্তিত আফগানিস্তান
কোনো পরিবর্তন না নিয়েই সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামছে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লা জাদরান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও সেলিম সাফি।
২০২০, ২০২১, ২০২৩
২০২০ সালে ওয়ানডে অভিষেক নাঈমের। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ব্যাটিং করতে হয়নি তাঁকে। ২০২১ সালে এসে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলেছিলেন, সে ম্যাচে করেছিলেন ১ রান। এরপর আবার অপেক্ষা। নাঈম তাঁর তৃতীয় ওয়ানডেটি খেলছেন ২০২৩ সালে এসে। সেটিও নাটকীয় পরিস্থিতিতে। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের অবসর-নাটক না হলে হয়তো আজও খেলা হতো না তাঁর। তবে এবার কি সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবেন এ বাঁহাতি ওপেনার?
৩ ওভারে ২ নো
৩ ওভারে ১১/০
মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে হাসান মাহমুদকে দিয়ে শুরু করিয়েছেন লিটন দাস। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা মোস্তাফিজের হাফ ভলিতে ড্রাইভ করে প্রথম ওভারে একটি চার মেরেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। হাসান মাহমুদের পরের ওভারে এসেছে ৩ রান, তবে তার মধ্যে আবার আছে একটি নো বল। হাসানের দেওয়া ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরান। তৃতীয় ওভার মোস্তাফিজ শুরুই করেছেন নো দিয়ে, এবার ফ্রি হিটে গুরবাজ তো ক্যাচই তুলেছিলেন। শেষ বলে লেগ সাইডের বাইরে করেও বেঁচে গেছেন মোস্তাফিজ, গুরবাজ তাতে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি।
ভালো শুরু আফগানিস্তানের
৬ ওভারে ৩৩/০।
মোস্তাফিজের জায়গায় ইবাদত, পরে হাসান মাহমুদের জায়গায় আনা হয়েছে মোস্তাফিজকে। মানে প্রান্ত বদল করে এসেছেন মোস্তাফিজ।
ইবাদতের প্রথম ওভারটি অবশ্য ভালো যায়নি। পায়ের ওপর থেকে ক্লিপ করে প্রথম বলেই চার মারেন জাদরান, পরে কাট করে আরেকটি মারেন গুরবাজ। পরের ওভারে মোস্তাফিজ অবশ্য আবার আঁটসাঁট বোলিং করেছেন। তবে প্রথম ৬ ওভারে সেভাবে অস্বস্তিতে পড়েননি দুই আফগান ওপেনার।
ম্যাচের প্রথম ছক্কা, আবারও নো !
৮ম ওভারে প্রথম বলে মোস্তাফিজুর রহমানকে স্ট্রেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। মোস্তাফিজ দাগ পেরিয়ে যাওয়ায় বলটি ‘নো’ ছিল। সোজা ব্যাটে সুন্দর তুলে মারা শট। ওভারের শেষ বলে আরেকটি ছক্কা, এবার স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে। খাটো লেংথে বাজে ডেলিভারি। এই ওভারে ১৫ রান দিলেন মোস্তাফিজ।
ক্যাচের সুযোগ, হলো না!
৯ম ওভারে সাকিবের প্রথম বলেই লং অনে তুলে মেরেছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। তাওহিদ হৃদয় দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি নেওয়ার চেষ্টা করলেও হাতে নিতে পারেননি। দুটি চার হজম করে সাকিবও এই ওভারে খরুচে। ৯ রান দিয়েছেন।
শক্ত ভিত আফগানিস্তানের
১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলেছে আফগানিস্তান। গুরবাজ ৩৮ বলে ৩১ ও জাদরান ২৫ বলে ২০ রানে অপরাজিত। ইবাদত এই ওভারে ৫ রান দেন।
গুরবাজের ফিফটি, সাকিবকে চার–ছক্কায়
১৩ ওভারে ৮৯/০
১৩তম ওভারে সাকিবকে দ্বিতীয় বলে সুইপ করে চার এবং পরের বলে টেনে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে ফিফটি তুলে নিলেন গুরবাজ। ৪৯ বলে ৫০ রানে ব্যাট করছেন এই ওপেনার।
বোলিং ভালো হচ্ছে না বাংলাদেশের। আগের ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হজম করেছেন ইবাদত।
গুরবাজের সুইট সিক্স!
১৪ ওভারে ৯৮/০
১৪তম ওভারে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে এগিয়ে এসে স্ট্রেট দিয়ে বিশাল ছক্কা গুরবাজের। দুর্দান্ত শট!
আফগানিস্তানের ১০০
হাসান মাহমুদকে পুল করে চার গুরবাজের, তাতেই ১০০ পেরিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ১৫তম ওভারে তিন অঙ্কে গেল আফগানরা।
ছুটছে আফগানিস্তান
১৬ ওভারে ১১৭/০
তিন পেসারের পর দুই স্পিনার—ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাই করেছেন। সাফল্য পাননি কেউ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সময় পার করছে আফগানিস্তান। ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে গুরবাজের একারই অবদান ৬৬ বলে ৭২ রান। প্রথম ম্যাচে কম রান তাড়ায় দুই আফগান ওপেনার ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন, তবে তাঁরা খেলতে পেরেছিলেন ঝুঁকিমুক্ত ক্রিকেট। আজ সতর্ক শুরুর পর আক্রমণে গেছেন তাঁরা। এখন পর্যন্ত সেভাবে চাপ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
চার বছর পর
সে বছর বিশ্বকাপে এজবাস্টনে প্রথম উইকেটেই ১৮০ রান তুলেছিলেন ভারতের লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন হলো ১১ বছর পর। ২০১২ সালে পাকিস্তানের নাসির জমশেদ ও মোহাম্মদ হাফিজ তুলেছিলেন ১৩৫ রান।
আফগানিস্তানের এটি পঞ্চম শতরানের ওপেনিং জুটি। তাদের সর্বশেষ ১০০ রানের ওপেনিং জুটি এসেছিল ২০২১ সালে, সেবার আবুধাবিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গুরবাজের সঙ্গী ছিলেন জাভেদ আহমাদি।
আফগানিস্তানের ১৫০
২২তম ওভারে ১৫০ হয়ে গেল আফগানিস্তানের। এবং ওপেনিং জুটি এখনো অবিচ্ছিন্ন। চট্টগ্রামে সময়টা উপভোগ করছেন দুই আফগান ওপেনার, বিশেষ করে গুরবাজ। তিনি এগোচ্ছেন সেঞ্চুরির দিকে, অপরাজিত ৮৬ রানে।
তাদের উপভোগের সময়
দারুণ অবস্থানে আফগানিস্তান
২৫ ওভারে ১৬২/০
সর্বশেষ ২০ বলে কোনো বাউন্ডারি আসেনি। এ সময়ে উঠেছে ১৩ রান। আফগানিস্তানকে ঠিক চেপে ধরেছে বলা না গেলেও তাদের গতি একটু কমিয়ে আনতে পেরেছে বাংলাদেশ।
বৃথা চেষ্টা
শর্ট লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে মিস করেন জাদরান, আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি। খোলা চোখে বলের উচ্চতা বেশি বলেই মনে হচ্ছিল। লিটন তবুও রিভিউ নেন। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, উইকেট মিস না করলেও হতো আম্পায়ার্স কল। রিভিউ না হারালেও কাজে আসেনি সেটি।
গুরবাজের সেঞ্চুরি
আফগানিস্তান ২৮ ওভারে ১৭৪/০
আগের ওভারে সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙেছিল স্টাম্প, তাতে অপেক্ষা বাড়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজের। মনোযোগ অবশ্য নড়েনি আফগান ওপেনারের। সাকিব আল হাসানের বলে লেগ সাইডে খেলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন তিনি। এরপর তার উল্লাস ছিল দেখার মতো। ওপেনিং সঙ্গী জাদরানও যোগ দিয়েছেন তাতে।
২০তম ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেলেন গুরবাজ। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন তিনি ও ইব্রাহিম জাদরান। মোস্তাফিজের প্রথম ওভারে ড্রাইভ করে চার মেরেছিলেন গুরবাজ, এরপর পেছন ফিরে তাকাননি। শুরুতে একটু সতর্ক থাকলেও স্ট্রোকপ্লের দারুণ প্রদর্শনী দেখিয়ে চলেছেন তরুণ ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরি করতে তাঁর লেগেছে ১০০ বল। এখন পর্যন্ত ৮টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মেরেছেন এ ডানহাতি।
এবার জাদরানের ফিফটি
একটু আগে তাঁর ওপেনিং সঙ্গী সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন, এবার মোস্তাফিজের বলে মিড অনে সিঙ্গেল চুরি করে ফিফটি করলেন জাদরান। ফিফটিতে যেতে তাঁর লেগেছে ৭৫ বল। দুজনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ধীরগতির তিনি। তবে তিনি সতর্ক থেকে, উইকেট আগলে রেখে সুযোগ করে দিয়েছেন গুরবাজকে—এটি বলাই যায়। গুরবাজের মতো তিনিও তেমন সুযোগ অবশ্য দেননি বাংলাদেশকে।
কত দূর যাবে আফগানিস্তান?
আফগানিস্তানের ২০০
চট্টগ্রামে এখনো উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি পেরিয়ে গেছে ২০০ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির তালিকায় এখন চার নম্বরে এটি। যেভাবে তারা এগোচ্ছেন, তাতে দ্রুতই তালিকার ওপরে উঠবেন বলেই মনে হচ্ছে।
রেকর্ড জুটি
ইবাদত হোসেনকে টানা দুই চার মারলেন গুরবাজ। বাংলাদেশের ওপর নির্মম আক্রমণ চালাচ্ছেন তিনি ও জাদরান। দুজন মিলে ভাঙছেন রেকর্ড। আফগানিস্তানের ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ জুটি এখন তাঁদের। আগের সর্বোচ্চ ছিল করিম সাদিক ও মোহাম্মদ শাহজাদের। ২০১০ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে তাঁদের জুটি ছিল অবিচ্ছিন্ন ২১৮ রানের।
পিষ্ট ইবাদত
৩৫ ওভার শেষে ২৪২/০। ১৩২ রানে অপরাজিত গুরবাজ, জাদরান ব্যাটিং করছেন ৭৮ রানে। জুটি ভাঙতে মরিয়া লিটন এনেছেন নাজমুল হোসেনকে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু দিয়েছিলেন তিনি।
নাজমুলের ওভারে ১৪
ব্রেকথ্রু পেতে নাজমুলের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লিটন। সেই নাজমুলের প্রথম ওভারে এল ১৪ রান। আপাতত চট্টগ্রামে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না বাংলাদেশের। আর একের পর এক রেকর্ড ভেঙে, গড়ে চলেছেন গুরবাজ ও জাদরান। ৩৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ২৫৬ রান।
অবশেষে থামলেন গুরবাজ
সাকিবকে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলার ভুলটা করলেন গুরবাজ। আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে গিয়েছিলেন আফগান ওপেনার। আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন। গুরবাজ শেষ পর্যন্ত রিভিউ নেন, তবে বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সাকিবের বলটি ছুঁয়ে যেত লেগ স্টাম্প। গুরবাজ ১৫০ রানের আগেই থেমেছেন। তবে ১২৫ বলে ১৪৫ রানের ইনিংসটি এক কথায় দুর্দান্ত। ১৩টি চারের সঙ্গে গুরবাজ মেরেছেন ৮টি ছক্কা। কোনো আফগানিস্তান ওপেনারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এটি।
৩৭তম ওভারের প্রথম বলে গিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না রহমত
৩৭.১ ওভারে ২৫৯/২
গুরবাজ ফেরার ঠিক পরের বলেই রানআউটের সুযোগ এসেছিল। জাদরানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল রহমত শাহর। শর্ট মিডউইকেট থেকে সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন রহমত। তাওহিদ হৃদয়ের থ্রো ছিল উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে, সেটি ধরে স্টাম্প ভাঙেন বাংলাদেশ উইকেটকিপার। কিন্তু, থ্রো সংগ্রহ করার আগেই মুশফিকের গায়ে লেগে ভেঙেছিল স্টাম্প।
রহমত অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি। পরের ওভারে ইবাদতকে পুল করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে শুধু ব্যাট ঘুরিয়েছিলেন রহমত। পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
শত্রুতা?
লিটনের সঙ্গে কি শত্রুতা আফগান ওপেনার গুরবাজের?
৩ ওভারে ৩ উইকেট
৩৯ ওভারে ২৬৬/৩
২৫৬ রানের ওপেনিং জুটি। ৫০ ওভারের ম্যাচে ৩৭তম ওভারে যখন প্রথম উইকেট পড়ে, এটি হতে পারে একটি ফাঁদ। ওভার বাকি, উইকেটও বাকি—এমন ভেবে নেমেই আক্রমণের পথে যাওয়ার দিকে ঝুঁকতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। হয়তো এখানে একটি ভারসাম্য দরকার। রহমত শাহর পর হাশমতউল্লাহ শহীদি অবশ্য আক্রমণের দিকেই গেলেন, মাশুলও দিলেন। এবার মিরাজের ফুললেংথ বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন অধিনায়ক শহীদি। দ্রুত ৩ উইকেট পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। যদিও আফগানিস্তানের লাইন-আপে আসতে বাকি কয়েকজন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান—নাজিবুল্লাহ জাদরান, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি। ইব্রাহিম জাদরান তো অপরাজিতই এখনো।
৪০ ওভারে ২৬৭/৩
চোট পেয়ে উঠে গেলেন ইবাদত
বোলিং স্ট্রাইডে যাওয়ার আগে লাফ দিতে গিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেলের কাঁধে বাড়ি খেল ইবাদত হোসেনের হাত। তাতে ধাক্কা খেলেন একটা। তবে রানআপ থামাতে পারেননি ঠিকঠাক। এরপর পেছন ঘুরে পড়ে যান। তাতেই আঘাত পান পায়ে। ফিজিওর দ্বারস্থ হলেন মাঠে, উঠেও দাঁড়ালেন। কিন্তু এরপর মাঠ ছেড়ে যেতে হলো এ ম্যাচেই দলে ফেরা ইবাদতকে। যাওয়ার পথে খোঁড়াতে দেখা গেছে তাঁকে। এক পর্যায়ে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডও মাঠে নেমে এসেছিলেন।
ইবাদত অবশ্য করছিলেন তাঁর শেষ ওভার। বাকি ৪টি বল করতে এসে উইকেটও পেয়ে যেতে ধরেছিলেন নাজমুল। তবে নাজিবুল্লা জাদরানের দেওয়া ফিরতি ক্যাচটি রাখতে পারেননি তিনি।
মিরাজের শিকার নাজিবুল্লাহ
৪৪ ওভারে ২৯২/৪
লং হপ ছিল, তবে মিরাজের সেই বলেই আউট হলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। লং অনে লিটনের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি ১৫ বলে ১০ রান করে।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ফেরার পর একটু এলোমেলো আফগানিস্তান। ৩০ রান তুলতেই তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট। সর্বশেষ ৮ ওভারে উঠেছে ৩৬ রান।
ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরি
ঠিক গুরবাজের গতিতে এগোননি তিনি। তবে ইব্রাহিম জাদরান দারুণভাবে গড়েছেন তাঁর ইনিংস। ৭৫ বলে ফিফটি করার পর এবার ১১৮ বলেই সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন এ ওপেনার। ১৩তম ম্যাচে এসে চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেলেন জাদরান।
এবং আউট
সেঞ্চুরির ঠিক পরই ফিরলেন জাদরান। মোস্তাফিজুর রহমানের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তান এরপর পেরিয়েছে ৩০০। ৪ ওভার বাকি থাকতে তাদের সংগ্রহ ৩০৪ রান।
সাকিবের বলে স্টাম্পড রশিদ
আরেকটি উইকেট। রশিদকে এগিয়ে আসতে দেখে লেংথ কমিয়ে ফেলেছিলেন সাকিব। সে বলের আর নাগাল পাননি তিনি। বাকি কাজটুকু সেরেছেন মুশফিকুর রহিম। আফগানিস্তান হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট। ৫০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারাল তারা।
বাউন্ডারি-খরা
আরেকটি উইকেট
মোস্তাফিজের স্লোয়ার মাঠের বাইরে পাঠাতে হলে বেশ ভালো পাওয়ার লাগবে আপনার, টাইমিংয়ের সঙ্গে। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের তা ছিল না। কাভারে থেকে পেছনে গিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ১ ওভার বাকি, আফগানিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩১৯ রান। সাকিব, মিরাজের পর মোস্তাফিজও নিলেন ২ উইকেট।
৩৩১ রানে থামতে হলো আফগানিস্তানকে
৩৬ ওভার শেষে ২৫৬/০।
৫০ ওভার শেষে ৩৩১/৯।
শেষ ১৪ ওভারে ৭৫ রান তুলতে তাই ৯ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। এ সময়ের ৫টি চারের সঙ্গে এসেছে মাত্র ১টি ছক্কা। আফগানিস্তান ইনিংসের পরিবর্তনটা নাটকীয়। শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে সব আফগান ব্যাটসম্যান আক্রমণাত্মক শট খেলার চেষ্টা করেছেন। ঠিক সফল হননি সেভাবে। ব্যতিক্রম বলতে মোহাম্মদ নবিই। অভিজ্ঞ এ অলরাউন্ডার খেলেছেন ১৫ বলে ২৫ রানের ক্যামিও।
বাংলাদেশ বোলাররাও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ভালোভাবে। সাকিব-মিরাজরা লেংথ খুঁজে পেয়েছেন, আফগানদের আক্রমণাত্মক মানসিকতার সুযোগ নিয়েছেন। মোস্তাফিজ-হাসানরা স্লোয়ার ব্যবহার করেছেন ভালোভাবে। তবে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরি নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তানের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং-সহায়ক। কিন্তু জিততে গেলে বাংলাদেশকে রেকর্ডই গড়তে হবে। এর আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, সেবার লক্ষ্য ছিল ৩২২ রান। এ মাঠে সর্বোচ্চ ২৮৭ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের।
বেঁচে গেলেন লিটন
২ ওভারে ৮/০
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার দিন প্রথম ওভারটি মেডেন দিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম, বোলার ছিলেন ফজলহক ফারুকি।
পরের ওভারে এসেছেন মুজিব উর রহমান, লিটন দাস চড়াও হন তাঁর ওপর। টানা দুটি চার মেরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু এরপর ব্যাকফুটে গিয়ে ভুল করেন। আম্পায়ার গাজী সোহেল দেন এলবিডব্লিউ, লিটন সঙ্গে সঙ্গে সেটি রিভিউ করেননি। সময় নেন। তেমন আত্মবিশ্বাসীও মনে হচ্ছিল না তাঁকে।
আল্ট্রা-এজে অবশ্য দেখা গেছে স্পাইক, টেলিভিশন আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টকের মতে, সে স্পাইক এসেছে ব্যাট থেকে। ব্যাট ও প্যাডের মধ্যে ফাঁক ছিল অবশ্য বেশ কম। ব্যাট অতিক্রম করে যাওয়ার পর বলটি স্পাইক তৈরি করেছে কি না, সেটি একটা প্রশ্ন। তবে অন-ফিল্ডের আউটের সিদ্ধান্ত বদলানোতে বলেন হোল্ডস্টক। আফগানিস্তান খেলোয়াড়েরা এরপর বিস্ময় লুকাননি।
অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে গিয়ে সোহেলের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক অক্ষতই আছেন।
ফারুকির শিকার বাংলাদেশ অধিনায়ক
এবার আর সংশয় নেই কোনো!
ফারুকির শর্ট লেংথের বলে তুলে মারতে গিয়েছিলেন লিটন, তবে টাইমিং করতে পারেননি মোটেও। শর্ট মিডউইকেটে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আগের ম্যাচে তামিম, এবার লিটন—বাংলাদেশ অধিনায়কেরা ফারুকিরই শিকার।
পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশ হারাল প্রথম উইকেট। মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, আফগানিস্তান প্রথম উইকেট হারিয়েছিল ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে গিয়ে।
রেকর্ড আর রেকর্ড
প্রথম ইনিংসে দেখা গেছে অনেক অ-নে-ক রেকর্ড। জিততে গেলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকেও।
মুজিবের বলে বোল্ড নাজমুল
লিটন গেছেন। এবার তাঁকে অনুসরণ করলেন নাজমুল হোসেনও। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা মুজিবের বলটা টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। লাইন পুরোই মিস করে গেছেন নাজমুল। হারিয়েছেন স্টাম্প। ২০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে শুরুতেই এলোমেলো বাংলাদেশ।
নাঈম বোল্ড
ফজলহক ফারুকির শর্ট লেংথের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন লিটন। আফগান এ পেসারের শর্ট লেংথের বলে বোল্ড হলেন নাঈম। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে কাটের মতো কিছু করতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন দুই বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁহাতি ওপেনার।
নবম ওভারে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট, সেটিও মাত্র ২৫ রান তুলতেই। চট্টগ্রাম উড়ছে আফগানিস্তান!
রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
মুজিবকে সান্ত্বনা দিয়ে গেলেন এক সতীর্থ। কিছুক্ষণ ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকলেন আফগান স্পিনার। যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না।
তাওহিদ হৃদয়ের বিপক্ষে তাঁর এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার গাজী সোহেল। মুজিব নিজেই রিভিউয়ের সঙ্কেত দিচ্ছিলেন, এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। বল ট্র্যাকিং অবশ্য দেখিয়েছে, সেটি মিস করে যেত লেগ স্টাম্প। ফলে রিভিউ হারিয়েছে আফগানিস্তান।
দুর্দান্ত ফারুকি
দুর্দান্ত এক স্পেল শেষ করলেন ফজলহক ফারুকি। এ স্পেলে দুই বাংলাদেশ ওপেনারকে ফিরিয়েছেন তিনি।
শর্ট, শর্ট
১৩ ওভারে ৪২/৩
প্রথমে সাকিব, পরে হৃদয়—সর্বশেষ দুই ওভারে পেয়েছেন দুটি বাউন্ডারি। তবে দুটিই এসেছে টপ-এজে, সাফির শর্ট বলে। ফারুকি তাঁর প্রথম স্পেলে ৬৭ শতাংশ বল করেছেন শর্ট লেংথে। একই পথ অনুসরণ করছেন সাফিও। হৃদয় প্রতি-আক্রমণের চেষ্টা করছেন, তবে সফল হননি, প্রথম ২৫ বলে করতে পেরেছেন মাত্র ৮ রান। লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে নিশ্চিতভাবেই বড় জুটি প্রয়োজন বাংলাদেশের।
আগুন নিয়ে খেলতে পারবেন সাকিব?
সেলিম সাফির শর্ট বলে পুল করে চার মেরেছেন সাকিব। পরের বলে একটু সামনে করেছিলেন, এবার কাভার দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন সাকিব। আফগানিস্তানের আগুন নিয়ে খেলতে পারবেন সাকিব? হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর জুটি এখন ৩১ রানে অবিচ্ছিন্ন। ৩৫ ওভারে এখনো প্রয়োজন ২৭৬ রান, ওভারপ্রতি তুলতে হবে ৭.৮৮ করে রান। হৃদয় অবশ্য এখনো ঠিক থিতু হতে পারেননি।
রশিদের গুগলিতে শেষ হৃদয়
হৃদয় নড়বড়ে ছিলেন। রশিদের দারুণ গুগলির জবাবও দিতে পারলেন না। আগের বলটি প্রায় একই জায়গায় পড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। পরেরটি ঢুকল ভেতরের দিকে। সেটি পুরো মিস করে গেছেন হৃদয়, আগের ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল ব্যাটসম্যান থেমেছেন ৩৪ বলে ১৬ রান করেই। নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেট নিলেন আফগানিস্তানের প্রিমিয়াম স্পিনার। ইনিংসের ১৭তম ওভারে চতুর্থ উইকেট পড়ল। স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান।
সাকিবও নেই
১৮ ওভারে ৭১/৫
আগের ওভারে হৃদয়, পরের ওভারে সাকিব। একটু থিতু দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপ আরও বাড়ল বাংলাদেশের। নবির রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলটিতে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিস করে যান সাকিব। আত্মবিশ্বাসী না হলেও রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি বাঁচাতে পারেনি তাঁকে। উইকেটে হয়েছে আম্পায়ার্স কল। এখন পর্যন্ত সাকিবই যা একটু জবাব দিতে পারছিলেন আফগানদের, ইনিংস বড় করতে পারলেন না তিনিও। ১০০ রানের বেশ আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ!
আফিফ গোল্ডেন ডাক
হৃদয়, সাকিবের পর আফিফ। রশিদের আরেকটি গুগলি। এবার সেটির শিকার আফিফ। প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে বাংলাদেশ।
বৈপরীত্য
সেই চট্টগ্রাম, এই চট্টগ্রাম
২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রাম। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন গড়েন ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তবে সেবার লক্ষ্য ছিল ‘মাত্র’ ২১৬ রান।
এবার একই ভেন্যুতে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে রান তাড়ায় ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে এখন মুশফিকের সঙ্গী সেই মিরাজ। কিন্তু এবার লক্ষ্য ৩৩২ রান। ২৭ ওভারে এখনো প্রয়োজন ২৩৯ রান, ওভারপ্রতি তুলতে হবে ৮.৮৫ করে রান।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে গেলে কাজটা এবার আরও কঠিন, অনেক কঠিন।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
৩০ ওভারে ১২২/৬
তেমন আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি রিভিউ নেওয়ার সময়, কিন্তু মিরাজকে বাঁচিয়ে দিল সেটিই। মুজিব উর রহমানের বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন তিনি। খোলা চোখে বেশ ক্লোজ মনে হলেও বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, লেগ স্টাম্প মিস করে যেত সেটি।
এরপর মুশফিকের সঙ্গে মিরাজের জুটি ৫০ রান ছুঁয়েছে, লেগেছে ৬৬ বল। যদিও খাদের কিনার থেকে টেনে তুলতে আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে তাদের। এবং সেটি করার জন্য খুব বেশি বলও নেই। শেষ ২০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ২১০ রান।
ছক্কা নেই
৩৩ ওভারে ১৪১/৬
রহমানউল্লাহ গুরবাজ একাই মেরেছিলেন ৮টি ছক্কা। আফগানিস্তান ইনিংসে ছিল ১০টি ছক্কা। বাংলাদেশ ইনিংসে এখন পর্যন্ত চারই এসেছে ১৪টি।
২৫০তম ম্যাচে মুশফিকের ৫০
রশিদ খানের বলে কাভারে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ওয়ানডে ফিফটি পূর্ণ করলেন মুশফিক। মাইলফলকে যেতে তাঁর লেগেছে ৬২ বল। ক্যারিয়ারে মুশফিক আজ খেলছেন ২৫০তম ওয়ানডে।
এবার কোন পথে?
৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৪/৬। এ পর্যায়ে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ২৫৬/০।
পরের ওভারর ঠিক প্রথম বলে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল আফগানরা। এরপর ৭৫ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়েছিল তারা। বাংলাদেশের এখন থেকে করতে হবে আরও ১৭৮ রান, বাকি ৪ উইকেট।
মিরাজের উইকেটে ভাঙল জুটি
৩৭তম ওভারে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান, বাংলাদেশ হারাল সপ্তম উইকেট। যে অসম্ভবের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন তিনি ও মুশফিক, সম্ভবত শেষ সেটিও। মুজিবের নবম ওভারে স্লগ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিরাজ, ৪৮ বলে ২৫ রান করে। মুশফিকের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৮৭ রান।
হারের দিকে আরেক ধাপ এগোল বাংলাদেশ
নিজের শেষ বলে এসে তৃতীয় উইকেটটি পেলেন মুজিব। হাসান মাহমুদ হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ১১ ওভার বাকি থাকতে অষ্টম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। জিততে গেলে প্রয়োজন…. থাক, না-ই বা শুনলেন সেটি!
বাঁচলেন মুশফিক
মুশফিকুর রহিম আরেকটু হলে হয়তো নিজে থেকেই উঠে যেতেন। নিতে হবে বলেই রিভিউটা নিয়েছিলেন, বেঁচে গেলেন তাতেই! রশিদের বলে প্লাম্ব মনে হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু প্যাডে লাগার আগে বল ছুঁয়ে গিয়েছিল তাঁর ব্যাট! মুশফিক অক্ষত তাই এখনো।
১৪২ রানে হেরে সিরিজ হারল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে অপেক্ষায় রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর আউটেই শেষ হলো সে অপেক্ষা। ৬৯ রান করে ফজলহক ফারুকির শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। বোলিংয়ের সময় চোট পেয়ে উঠে যাওয়া ইবাদত হোসেন নামবেন না বলে ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে সেখানেই। বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৮৯ রানেই। ১৪২ রানের হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের রানের হিসাবে এটি সবচেয়ে বড় হার। আফগানদের কাছে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ।
সিরিজে সমতা ফেরাতে রেকর্ড গড়তে হতো বাংলাদেশকে। সেটির ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা। রান তাড়ায় আদতে কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি, ম্যাচটি জিততে পারে বাংলাদেশ। ৯ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারানোর চাপ থেকে বেরোতে পারেনি আর তারা। সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের পর মুশফিকের সঙ্গে মিরাজের জুটি আফগানিস্তানের জয় একটু বিলম্বিতই করতে পেরেছে শুধু।
টসে জিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। তবে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরি, ২৫৬ রানের রেকর্ড জুটিতে আফগানিস্তান তোলে ৩৩১ রান। সেটিও শেষ দিকের নাটকীয় ধস পেরিয়ে। তবে বোলাররা শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়ালেও ব্যাটসম্যানরা লড়াই করতে পারেননি।
চট্টগ্রামে আজ তাই শুধু টসটিই জিতেছে স্বাগতিকেরা।