ব্যাগি গ্রিন পথের পাশে ফেলে রাখবে বদমাশ চোর—আশা ওয়ার্নারের বাবার
সিডনিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলছেন ডেভিড ওয়ার্নার। আজ শুরু সেই টেস্টে প্রিয় পুরোনো ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটা মাথায় দিয়ে মাঠে নামতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। রোদে ঝলসানো টুপিটা যে চুরি হয়ে গেছে।
তবু ওয়ার্নার হয়তো আশা করেছিলেন, দয়াপরাবশ হয়ে ব্যাগি গ্রিনটা ফেরত দেবে চোর। ইনস্টাগ্রামে টুপিটা ফেরতে পেতেও মিনতি করেছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।
ছেলের প্রিয় ব্যাগি গ্রিন চুরি হওয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ওয়ার্নারের বাবা হাওয়ার্ড ওয়ার্নারও। অস্ট্রেলিয়ার এসইএন রেডিওতে আজ আশা প্রকাশ করেছেন ব্যাগি গ্রিনটি ফিরে পাওয়ার, ‘যে বদমাশ এটা নিয়েছে তাকে খুব তাড়াতাড়ি এটা ফেলে দিতে হবে। তারা (পুলিশ) এটাকে পরিত্যক্ত অবস্থায় খুঁজে পাবে। আমি জানি ও খুবই আবেগপ্রবণ। ব্যাগি গ্রিন পরেই ও (ওয়ার্নার) মাঠে নামতে চায়, যদি ও তা না পারে, পারল না। আপনি কী করতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়ার সবাই ব্যাগি গ্রিন সম্পর্কে জানেন।’
এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজিও। তিনি বলেন, ‘ডেভিড ওয়ার্নার টেস্টে ১০০ বারের বেশি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এই ব্যাগি গ্রিন তাঁরই। এটা তাঁর অর্জন এবং এটা ফেরত দেওয়া উচিত।’
ম্যাচের আগে ফক্স ক্রিকেটে ওয়ার্নার জানিয়েছেন, ক্যাপের খোঁজ তিনি এখনো পাননি। এর বদলে সিডনি টেস্টের প্রথম দিনে অন্য একটি ব্যাগি গ্রিন ব্যবহার করতে হয়েছে ওয়ার্নারকে। কোনো কারণে ব্যাগি গ্রিন নষ্ট হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নতুন ক্যাপই দেয়। তবে নব্বই দশক থেকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের মধ্যে এটাও একটা রেওয়াজ চলে আসছে, তাঁরা ব্যাগি গ্রিন বদলাতে পছন্দ করেন না।
ওয়ার্নারের বক্তব্য অনুযায়ী, মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট খেলে সিডনিতে যাওয়ার সময় লাগেজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যাকপ্যাক। ওই ব্যাকপ্যাকের ভেতরেই ছিল তাঁর ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ। ওয়ার্নার ইনস্টাগ্রামে গতকাল বলেছিলেন, ‘আমার ব্যাকপ্যাকটি লাগেজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যেখানে ব্যাগি গ্রিনগুলো রাখা ছিল। কিছুদিন আগে কোয়ান্টাসের ফ্লাইটে এটি মেলবোর্ন বিমানবন্দর থেকে সিডনিতে এসেছে। কোয়ান্টাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা নিজেদের সব ক্যামেরার ভিডিও দেখেছে, কিন্তু কাউকে ব্যাগ খুলতে দেখা যায়নি।’