রিচার্ড হ্যাডলি ও মার্টিন ক্রো অস্ট্রেলিয়ার, আইসিসির হল অব ফেমে এ কেমন ভুল

আইসিসির হল অব ফেমের ওয়েবসাইটে হ্যাডলি–ক্রো–হকলিরদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলীয় হিসেবেস্ক্রিনশট/আইসিসি ওয়েবসাইট

রিচার্ড হ্যাডলি ও মার্টিন ক্রো—ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা দুই খেলোয়াড়। একটা সময় টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার হ্যাডলির। প্রয়াত কিউই অধিনায়ক ক্রো তো দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। আর যাঁরা নারী ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের কাছে ডেবি হকলির নামটাও অপরিচিত নয়। হ্যাডলি ও ক্রোর মতো হকলিও জায়গা পেয়েছেন আইসিসির হল অব ফেমে।

কিন্তু আইসিসির হল অব ফেমের ওয়েবসাইটে ঢুকে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় হ্যাডলি-ক্রো-হকলিরদের পরিচয় দেখে! তিনজনকেই যে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে। তিনজনের প্রোফাইলেই দেশের নাম অস্ট্রেলিয়া এবং নামের পাশে অস্ট্রেলিয়ার পতাকা!

একটা সময়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন স্যার রিচার্ড হ্যাডলি
টুইটার

আইসিসির এই ভুল দেখে খেপেছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো। তারা এটাকে ট্রান্স-তাসমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাসে নতুন অবিচার হিসেবেই দেখছে। নিউজিল্যান্ড সংবাদমাধ্যম স্টাফের ওয়েবসাইটে আইসিসির এই ভুলকে ১৯৮১ সালের ট্রেভর চ্যাপেলের সেই কুখ্যাত ‘আন্ডারআর্ম বোলিং’ বিতর্কের সঙ্গে তুলনা করেছে।

আরও পড়ুন
আমরা নিউজিল্যান্ডের মানুষ, শুধু এটুকুই আশা করতে পারি, কেউ ভুলটা ঠিক করবে। এই বিষয়ে আমি আর কী বলব।
স্যার রিচার্ড হ্যাডলি

২০০৯ সালে আইসিসির হল অব ফেমে অভিষিক্ত স্যার রিচার্ড হ্যাডলি নিউজিল্যান্ডের আরএনজেড রেডিওকে বলেছেন, এই ভুলের কথা তাঁর জানা নেই। তবে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার মনে করছেন, আইসিসি ভুল শোধরানোর ব্যবস্থা নেবে, ‘আমরা নিউজিল্যান্ডের মানুষ, শুধু এটুকুই আশা করতে পারি, কেউ ভুলটা ঠিক করবে। এই বিষয়ে আমি আর কী বলব। এই ধরনের বিষয়ে নিজেকে জড়ানোর মতো বয়স আমার আর নেই। মানুষ তো জানেই মার্টিন, ডেবি ও আমি নিউজিল্যান্ডের, তাই এটা আমার কাছে কোনো ব্যাপার নয়।’

হ্যাডলির আশা পূরণ হয়েছে। আইসিসি ভুল শুধরিয়েছে আজ। হ্যাডলি–ক্রো–হকলিদের দেশের নাম এখন নিউজিল্যান্ডই লেখা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হকলি ২০১৪ সালে ও ক্রো ২০১৫ সালে জায়গা পান হল অব ফেমে।

আরও পড়ুন