পাকিস্তানের হারের দায় নিচ্ছেন দুটি ক্যাচ ছাড়া শাদাব
এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান থেমেছে ১৪৭ রানে। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কের ঘরে রান তুলতে পেরেছেন মোটে তিনজন। তার আগে যে ছয়জন বোলিং করেন, ১ ওভার করা মোহাম্মদ নওয়াজ ছাড়া বাকি সবাই ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭-এর বেশি করে।
এশিয়া কাপ ফাইনালের মতো মঞ্চে ব্যাটিং, বোলিং—দুই বিভাগেই পাকিস্তান সেভাবে ভালো করতে না পারলেও দায় নিচ্ছেন একজন—শাদাব খান!
প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা যে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে ফেলে, তার মূল কারিগর ভানুকা রাজাপক্ষে। ৫৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ষষ্ঠ উইকেটে ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা আর সপ্তম উইকেটে চামিকা করুনারত্নেকে নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি জুটি গড়েন রাজাপক্ষে।
দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়া জুটি গড়ার পথে নিজে খেলেন ৪৫ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস, যে ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ফাইনাল-সেরার পুরস্কারও উঠেছে ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের হাতে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে যিনি জয়ের নায়ক, সেই রাজাপক্ষেকে দুবার আউট করার সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। প্রথমবার যখন তাঁর রান ৪৬। হারিস রউফের স্লোয়ার মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছেন রাজাপক্ষে। লং অন থেকে ছুটে এলেও ঠিকঠাক বলের নিচে যেতে পারেননি শাদাব খান, একটু বেশি দৌড়ে ফেলেছিলেন। ফেলে দেন রাজাপক্ষের ক্যাচ।
পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয় শাদাবকে। সেই তিনিই কিছুক্ষণ পর আবারও রাজাপক্ষের ক্যাচ ছাড়েন। ওভারটি ছিল মোহাম্মদ হাসনাইনের। রাজাপক্ষের রান তখন ৫১। তুলে মেরেছিলেন রাজাপক্ষে। লং অন থেকে ছুটে এসেছিলেন আসিফ আলী, ডিপ মিডউইকেট থেকে ডান দিকে শাদাব।
ক্যাচটি ছিল আসিফেরই, কিন্তু শাদাব ছুটে এসে সংঘর্ষ বাধান আসিফের সঙ্গে। আসিফের হাতে ধাক্কা লাগে শাদাবের মাথা। আসিফের হাতে লেগে বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। যা ছিল ক্যাচ, তা হয়ে যায় ছক্কা।
ফাইনালে হারের পর এ দুই ক্যাচ ছাড়া নিয়ে অনুতাপে পুড়ছেন শাদাব।
টুইটারে এসে ক্ষমাও চেয়েছেন সমর্থকদের কাছে, ‘ক্যাচ ম্যাচ জেতায়। দুঃখিত। এই হারের দায় নিচ্ছি আমি। আমিই দলকে ডুবিয়ে দিয়েছি।’ পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার অবশ্য শাদাবের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।
‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ লিখেছেন, ‘সে আমাদের সেরা ফিল্ডার। শাদাবের একটা বাজে দিন গেল, এ–ই যা!’ শোয়েব যা-ই বলুন, দলের বাকিরা যত হালকা করেই দেখুক, এশিয়া কাপের শিরোপা হাতছাড়া করা দুই ক্যাচের দুঃখ শাদাব কি সহজে ভুলতে পারবেন?