ভারতে কখনোই টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। পরিসংখ্যান তুলে ধরে অনেকেই বলতে পারেন, সিরিজ জয়ের প্রশ্ন আসে কীভাবে, ভারতে তো ৩৬ টেস্ট খেলে নিউজিল্যান্ড জিতেছেই মোটে দুবার। সেই দুই জয়ের সর্বশেষটিও এসেছে ৩৬ বছর আগে ১৯৮৮ সালে।
ভারতের মাটিতে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এমন যাদের পারফরম্যান্স, সেই নিউজিল্যান্ড আগামী অক্টোবরে ভারতে যাবে তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে। দলটির অধিনায়ক টিম সাউদির আশা এবার বদলাতে পারে ভাগ্য। সাউদিকে আশা জোগাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)! কিউই অধিনায়কের আশা, নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ভারতে বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
সাউদি নিজে অবশ্য এবারের আইপিএলে নেই। তবে তাঁর ৯ সতীর্থ আছেন এবারের আইপিএলে। রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ড্যারিল মিচেল, কেইন উইলিয়ামসনরা আইপিএল অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভারতে টেস্টে সাফল্য এনে দেবেন বলেই মনে করছেন সাউদি।
আইপিএল কীভাবে বিদেশি ক্রিকেটারদের সাহায্য করছে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রামকে সেই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন সাউদি, ‘আপনারা তো দেখছেনই সারা বিশ্ব থেকেই মেধাবী ক্রিকেটাররা ভারতে আসছে। আনকোরা অনভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। বিদেশি খেলোয়াড়েরা আবার এমন অন্য সব বিদেশির সঙ্গে খেলছে আগে, যা আপনি চিন্তাও করতে পারতেন না।’
সাউদি মনে করেন, আইপিএলের জন্যই ভারতের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা, ‘আমি মনে করি, সারা বিশ্ব থেকে আসা ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলেই উপমহাদেশ বিশেষ করে ভারতের মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে নিচ্ছে। আম মনে করি, সব মিলিয়ে ক্রিকেটের জন্যই আইপিএল খুব বড় এক ব্যাপার।’
ভারতে খেলাটা কতটা কঠিন, সেটি বললেন ১০০ টেস্টে ৩৮০ উইকেট নেওয়া এই পেসার, ‘এখানে (নিউজিল্যান্ডে) পেস ও বাউন্সি উইকেটে খেলে অভ্যস্ত আমরা। আর ভারতে গেলে তো প্রথম দিন থেকেই স্পিনের চ্যালেঞ্জ। প্রথাগত সুইংয়ের চেয়ে যেখানে রিভার্স সুইং সামলাতে হয় বেশি। এ ছাড়া গরম তো আছেই। নিজেদের কন্ডিশনে ভারতই বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। তবে চ্যালেঞ্জটা নিতে ছেলেরা অপেক্ষা করে।’
আমরা এর (আইপিএল খেলার) উপযোগিতা সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেই দেখেছি। যেসব দলের একাধিক খেলোয়াড়ের আইপিএল অভিজ্ঞতা ছিল, তারা কিন্তু ভালো করেছে।
এপ্রিল-মে মাসের প্রচণ্ড গরমে ভারতের বিভিন্ন ভেন্যুতে আইপিএল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা বিদেশি ক্রিকেটারদের কতটা কাজে লাগে, সেই উদাহরণ সাউদি দিলেন গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টেনে। ৩৫ বছর বয়সী বোলার বললেন, ‘আমরা এর (আইপিএল খেলার) উপযোগিতা সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেই দেখেছি। যেসব দলের একাধিক খেলোয়াড়ের আইপিএল অভিজ্ঞতা ছিল, তারা কিন্তু ভালো করেছে।’
সাউদি আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভারতে টেস্টে ভালো করার আশা করছেন। তবে তাঁর সতীর্থরা এবারের আইপিএলে তেমন একটা সুযোগ পাচ্ছেন না। রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেল, ট্রেন্ট বোল্টরা নিয়মিত খেলছেন। চোট কাটিয়ে ফেরা কেইন উইলিয়ামসন গুজরাট টাইটানসের প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে মিচেল স্যান্টনার, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, গ্লেন ফিলিপস, ম্যাট হেনরিরা এখনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।