বছরে ষষ্ঠ অধিনায়ক পেতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, তবে অধিনায়কের এই রেকর্ডটা বাংলাদেশের
বেন স্টোকস, জস বাটলার, ওলি পোপ, ফিল সল্ট, হ্যারি ব্রুক…।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়কদের নাম। এ তালিকায় এবার যোগ হতে যাচ্ছে লিয়াম লিভিংস্টোনের নামও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজটা ইংল্যান্ড খেলবে এই অলরাউন্ডারের নেতৃত্বেই। পায়ের পেশির চোট থেকে সাদা বলের মূল অধিনায়ক জস বাটলার পুরোপুরি সেরে না ওঠাতেই লিভিংস্টোনকে অধিনায়ক করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে ইসিবি নভেম্বরের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাটলারকেই অধিনায়ক রেখেছে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা শুরু হবে ৩১ অক্টোবর।
এক বছরে এক দলের ছয় অধিনায়ক! এমন কিছু কি আগে দেখেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট?
ইংল্যান্ডই দেখেছে। ২০১১ সালে দলটির খেলা ৪৫ ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন ৬ জন। ইংল্যান্ডের রেকর্ড এটাই। এক পঞ্জিকাবর্ষে ৬ অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলার উদাহরণ আছে আরও তিনটি। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ে, ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ২০২৩ সালে ভারত খেলেছে ৬ অধিনায়কের নেতৃত্বে।
তবে এটা বিশ্ব রেকর্ড নয়। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৭ অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলার উদাহরণও আছে। আর সেই রেকর্ডটা আরও দুটি দলের সঙ্গে যৌথভাবে ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশও।
বাংলাদেশ ৭ অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলেছে ২০২২ সালে। মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন ও লিটন দাস—সে বছর বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন এই সাতজন।
তাঁদের মধ্যে মুমিনুল শুধু টেস্টে, তামিম ও লিটন ওয়ানডেতে এবং মাহমুদউল্লাহ, নুরুল ও মোসাদ্দেক শুধু টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন। সাকিব টস করেছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে।
জিম্বাবুয়ের সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মূল অধিনায়ক নুরুল হাসান আঙুলের চোটে ছিটকে যাওয়ার পর শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলে মোসাদ্দেকের নেতৃত্বে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওই একটি ম্যাচেই অধিনায়ক ছিলেন মোসাদ্দেক।
ওই বছরই ভারতও খেলেছে সাত অধিনায়কের নেতৃত্বে। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছাড়াও ২০২২ সালে ভারত খেলে যশপ্রীত বুমরা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্ত ও লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে। বছরে খেলা সাত টেস্টেই ভারতের অধিনায়ক ছিলেন চারজন।
বাংলাদেশ ও ভারত ছুঁয়েছিল শ্রীলঙ্কার রেকর্ড। ২০১৭ সালে ৭ অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলে লঙ্কানরা। ওই বছর শ্রীলঙ্কা খেলেছে দিনেশ চান্ডিমাল, রঙ্গনা হেরাথ, চামারা কাপুগেদারা, লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, থিসারা পেরেরা ও উপুল থারাঙ্গার নেতৃত্বে।