বাংলাদেশ–ভারত প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ২,৫০০ পুলিশ মোতায়েন
গোয়ালিয়রে আগামীকাল বাংলাদেশ–ভারত টি–টোয়েন্টি ম্যাচ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ার প্রতিবাদে হিন্দু মহাসভাসহ কয়েকটি সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে এমন অবস্থান গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এর আগে ম্যাচটিকে ঘিরে গোয়ালিয়রে আগামী সোমবার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
এবার জানা গেল, এই ম্যাচে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হবে ২ হাজার ৫০০’র বেশি পুলিশ। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত–পরবর্তী ঘটনায় হিন্দুদের ওপর হামলা–নির্যাতনের অভিযোগ এনে রোববারের ম্যাচটি বাতিলের দাবি তোলে ভারতের কট্টরপন্থী কিছু সংগঠন। এমনকি ম্যাচ আয়োজন বন্ধ করতে হিন্দু মহাসভা ‘গোয়ালিয়র বন্ধ্’–এর ডাকও দিয়েছিল।
কট্টরপন্থী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এমন কড়া বার্তা সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এর আগে নিরাপত্তা নিয়ে গোয়ালিয়র পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমরা গাছের একটা পাতও নড়তে দেব না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।’
এই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী পর্যায়ে আসে নিষেধাজ্ঞা। আর এবার জানা গেল নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করার কথা। পাশাপাশি যে দুটি হোটেলে খেলোয়াড়েরা বুধবার থেকে অবস্থান করছেন, সেগুলোকেও ঢেকে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার নিশ্চিদ্র চাদরে।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের দিন পুলিশ সদস্যরা বেলা ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চোখ রাখছি।’
গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিতে এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এ মাঠের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার। তিন ম্যাচ সিরিজের পরের দুটি টি–টোয়েন্টি হবে দিল্লি ও হায়দরাবাদে।