নিজের মতো খেলেই সফল ফিলিপস
নিউজিল্যান্ডের রান ১৮০, এর মধ্যে ৮৭ রান গ্লেন ফিলিপসের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের যে উইকেটে অন্যদের ব্যাটে-বলেই ঠিকমতো হচ্ছে না, সেখানে ফিলিপসের স্ট্রাইক রেট ১২০.৮৩! তাঁর দারুণ ইনিংসেই মিরপুর টেস্টে এখনো টিকে আছে নিউজিল্যান্ড। না হলে তৃতীয় দিন শেষে গল্পটা অন্য রকম হতে পারত।
এই উইকেটে এমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের রহস্যটা কী? দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা ফিলিপসের উত্তর, ‘আমি ব্যাট দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব। ওরা ভালো বল করবেই। আমাকে সেই বলগুলো সামলাতে হতো। এই উইকেটে টার্ন ও বাউন্স থাকবেই। এসব মেনে নিয়েই খেলতে হবে।’
নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনাটা ফিলিপস ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘আমি খুব বেশি বল ছেড়ে খেলতে চাইনি। প্রত্যেকেরই খেলার ধরন ভিন্ন। কেউ স্পিন সামনে গিয়ে খেলে, কেউ পেছনে এসে। আমিও নিজের মতো খেলার চেষ্টা করেছি। লেগ সাইডের দিকে দাঁড়িয়েছি, যতটা সম্ভব ব্যাট ব্যবহার করে খেলার চেষ্টা করেছি।’
চেষ্টায় সফলও হয়েছেন। আরও কয়েক ওভার ব্যাটিং করলে হয়তো টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতকও পেয়ে যেতেন। সে জন্যই কি না, শরীফুল ইসলামের বলে ব্যাট ছুঁয়ে কট বিহাইন্ড হওয়া ফিলিপসকে বেশ হতাশই মনে হচ্ছিল। আউট হওয়ার পর আম্পায়ারকেও কিছু একটা বলতে দেখা গেছে ফিলিপসকে।
দিন শেষে অবশ্য সেই ঘটনার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফিলিপস, ‘শরীফুল যখন দৌড়ানো শুরু করে, কেউ একজন সাইটস্ক্রিনের পাশ থেকে হাঁটা শুরু করে। আমি বলটা না খেলতে পারতাম। আমার মাথায় সেটা এসেছিল। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। আমি বলটা ঠিকমতো দেখিনি, সরেও যাইনি। কিছুই করিনি। উল্টো বলে ব্যাট ছুঁইয়েছি।’
ফিলিপসের ইনিংসের প্রসঙ্গ উঠেছে নাঈম হাসানের সংবাদ সম্মেলনেও। তাঁর ইনিংসটা দেখে কী মনে হয়েছে, এমন প্রশ্নে নাঈম বলেছেন, ‘একেকজনের খেলার ধরন একেক রকম। অনেকে লম্বা সময় ধরে কষ্ট করে রান করে। অনেকে মেরে রান করে। একেকজনের গেম প্ল্যান একেক রকম। আজ হয়তো ও সফল হয়েছে, কালও যে হবে, নিশ্চয়তা নেই।’