ভারতকে ফাইনাল সম্পর্কে বলার ‘অধিকার নেই’ সৌরভের
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত খেলেও বিশ্বকাপ জেতা হয়নি ভারতের। ফাইনালে রোহিত শর্মার দল হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এর ঠিক ২০ বছর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপেও ফাইনালে হেরেছিল ভারত। সেই বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তাই ফাইনাল হারের অনুভূতি কেমন, সেটা ভালোই জানেন সৌরভ।
বিশ্বকাপ ফাইনাল হারার পর অনেকেই ভারতকে ফাইনাল খেলার নানা কৌশল বাতলে দিচ্ছেন। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ সেই দলে নেই। তাঁর দাবি, কীভাবে ফাইনাল জিততে হয়, সেটা বলার অধিকার তাঁর নেই।
অধিনায়ক হিসেবে তিনবার ফাইনাল খেলেছেন সৌরভ। তাঁর অধীনেই ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলেছিল ভারত। তবে সেই ফাইনালে তারা হেরেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর ২০০০ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ফাইনালে উঠেছিল ভারত। তবে বৃষ্টির কারণে সেই টুর্নামেন্টে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত-শ্রীলঙ্কা।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে সৌরভের ভারত। মূলত অধিনায়ক হিসেবে ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো নয় বলেই ফাইনাল জেতার কৌশল সম্পর্কে বলতে চাইছেন না ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।
কলকাতায় সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি তিনটি ফাইনাল খেলেছি, হেরেছি দুই ম্যাচে—২০০৩ বিশ্বকাপ ও ২০০১ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (আসলে ২০০০ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি)। ফাইনাল কীভাবে জিততে হয়, সেটা বলার অধিকার আমার নেই। আমি শুধু এক ফাইনালেই জিতেছি, সেটাও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে। অন্তত তারা টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়ে ফাইনাল খেলেছে। আশা করছি, একদিন জিতবে, ভারতের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।’
সৌরভ বিসিসিআইয়ের সভাপতি থাকার সময়েই ভারতের প্রধান কোচ হন রাহুল দ্রাবিড়। সৌরভ এখন আর বোর্ডের দায়িত্বে না থাকলেও দ্রাবিড় এখনো ভারতের প্রধান কোচ। সম্প্রতি দ্রাবিড়ের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদও বাড়িয়েছে বোর্ড।
দ্রাবিড়ের সঙ্গে বোর্ড চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোয় খুশি তাঁর সাবেক সতীর্থ সৌরভ, ‘দ্রাবিড়ের ওপর বোর্ড ভরসা রেখেছে, এতে আমি বিস্মিত নই। আমি সভাপতি থাকার সময়েই দ্রাবিড়কে কোচ হাওয়ার জন্য রাজি করিয়েছিলাম। এটা দেখে ভালো লাগছে, তার মেয়াদ বাড়ছে। জুনে আসছে বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছা। এবারই বিশ্বকাপ জয়ের খুব কাছে ছিল। তারা ফাইনাল জেতেনি ঠিক আছে, তবে যেভাবে ভারত খেলেছে, বিশ্বকাপে সম্ভবত তারাই সেরা দল ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপের আগে আরও সাত মাস সে হাতে পাচ্ছে। আশা করছি, ওই বিশ্বকাপে সে আর রানার্সআপ নয়, চ্যাম্পিয়ন থাকবে।’