ওয়ার্নারের জায়গায় টেস্টে ওপেন করতে আগ্রহী স্মিথও
মিচেল মার্শ, ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস হ্যারিস, ক্যামেরন ব্যানক্রফট, ম্যাথু রেনশ এদের সঙ্গে এবার নতুন আরেকটি নাম যোগ করুন। সেটাও যেনতেন কোনো নাম নয়। এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। ডেভিড ওয়ার্নারের জায়গায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে ওপেন করতে আগ্রহী তিনিও, যে আগ্রহের কথা বলেছেন নিজেই।
সিডনি টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলছেন ওয়ার্নার। এরপর ওপেনিংয়ে উসমান খাজার সঙ্গী কে হবেন, এই প্রশ্ন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। যে কয়টি নাম ঘুরেফিরে আসছে তাঁর মধ্যে হ্যারিস, ব্যানক্রফট, রেনশ প্রথাগত ওপেনার। গ্রিন ও মার্শ মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
তাঁদের ওপরে আনার কথা ভাবা হচ্ছে দলের সমন্বয়ের কথা ভেবে। কারণ, তাঁদের কেউ ওপেনিংয়ে এলে দলের বোলিং বিকল্প বেড়ে যাবে। এখন স্মিথ ওপরে গেলেও মার্শ ও গ্রিন দুজনকেই একাদশে সুযোগ দিতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। তাতেও অস্ট্রেলিয়ার বোলিং বিকল্প বাড়বে আরও।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে এবিসি রেডিওকে স্মিথ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আসলে আমিও ওপরে যেতে পারলে খুশিই হব। আমি খুবই আগ্রহী, এটাই যদি তারা করতে চায়। আমি নিশ্চিত, নির্বাচকেরা ও রন (অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড) এবং প্যাটি (কামিন্স) এই ম্যাচের পর এই প্রসঙ্গে আলোচনা করবে। তবে হ্যাঁ, আমি নিশ্চিতভাবেই আগ্রহী।’
গত কিছুদিন ওয়ার্নারের জায়গায় অনেকেরই নাম শোনা গেছে। মারনাস লাবুশেনকে তিন নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসা হতে পারে, এমন আলোচনাও ছিল। তবে স্মিথ যে ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে নতুন এমন চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন, সেটা অনেকেরই ধারণা ছিল না।
স্মিথ সবচেয়ে ওপরে ব্যাট করেছেন তিন নম্বরে। এই পজিশনে ১৭ টেস্ট খেলে ৮ সেঞ্চুরি তার, ব্যাটিং গড় ৬৭.০৭। চার নম্বরে ৬৭ টেস্টে সেঞ্চুরি তার ১৯টি, গড় ৬১.৪৬। পাঁচ নম্বরে ১৯ টেস্ট খেলে সেঞ্চুরি ৪টি, ব্যাটিং গড় ৫৭.১৮।
তিন নম্বরে সফল হওয়ার পরও তবে দলীয় সমন্বয়ের কারণে ২০১৭ সালে ভারত সফর ও বাংলাদেশ সফরের পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। সেই দুই সফরেও তিন নম্বরে নেমে কঠিন স্পিনিং কন্ডিশনে ৯ ইনিংসে ৩টি শতক পেয়েছিলেন। তবে এরপরও স্মিথ তিনে আর সুযোগ পাননি। বরং তাঁর আগে তিন নম্বরের জন্য অস্ট্রেলিয়া বিবেচনা করেছিল খাজাকে। তখন ঘুরেফিরে ওপেন করেছেন ব্যানক্রফট-রেনশ-বার্নসরা। ২০১৯ সাল থেকে তিন নম্বর জায়গাটা নিজের করে নিয়েছেন লাবুশেন।
চলতি বছরটা স্মিথের ভালো যায়নি। ২৪ ইনিংসে স্মিথের রান ৯২৯। গড় ৪২.২২। শতক ৩টি, অর্ধশতক ৩টি। এমন একটা ম্যাড়মেড়ে বছর কাটানোর পর নতুন চ্যালেঞ্জ স্মিথের ক্যারিয়ারে আরও নতুন ধাপ যোগ করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনও এমনটাই মনে করেন।
গতকাল প্রথমবার মূলত তিনিই বলেছিলেন স্মিথকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসার কথা, ‘ওপেন করার কৌশল স্মিথের আছে, যে চ্যালেঞ্জটা দরকার সেটাও আছে। আমার উদ্বেগের জায়গা হলো স্মিথকে যদি নতুন চ্যালেঞ্জ দেওয়া না হয়, ও হয়তো সময়ের আগেই কিছু জিনিস ছেড়ে দেবে।’