লাবুশেনের কীর্তির পর ব্রাফেটের সেঞ্চুরি
পার্থ টেস্টে ৩ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিলেন মারনাস লাবুশেন। আজ চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি! ১০৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর অবশ্য বেশি দূর এগোতে পারেননি লাবুশেন। ২ উইকেটে ১৮২ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ৪৯৮ রানের লক্ষ্য পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে এত রান তাড়া করে জয়ের নজির না থাকলেও চতুর্থ দিনের খেলা শেষে মোটামুটি ভালো অবস্থানেই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কার্লোস ব্রাফেটের সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ১৯২ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অধিনায়ক ব্রাফেট তাঁর স্বভাবসুলভ ব্যাটিং থেকে বেরিয়ে এসে খানিকটা হাত খুলেছেন। ১১ চারে ১৬৬ বলে ১০১ রানে অপরাজিত এই ওপেনার। ০ রানে অপরাজিত থেকে অপর প্রান্তে তাঁর সঙ্গী কাইল মেয়ার্স।
অভিষেক টেস্টে প্রথম ইনিংসে ফিফটি তুলে নেওয়া তেজনারায়ণ চন্দরপল নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৬ বল খেলে ভালোই দৃঢ়তার পরিচয় দিচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৫ রানে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তেজনারায়ণ।
ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে তেজনারায়ণের সঙ্গে ব্রাফেটের ১১৬ রানের ওপেনিং জুটিতে লড়াইয়ে ভালো ভিত পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৬২ বলে ২৪ রান করে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। শামার ব্রুকসের (১১) পাশাপাশি তাঁকেও তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার লায়ন। এই টেস্ট ড্র করতে হলে শেষ ইনিংসে অন্তত ১৫২ ওভার ব্যাট করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
এর আগে মধ্যাহ্নভোজে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা লাবুশেন দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করে দারুণ এক তালিকায় জায়গা করে নেন। গ্রেগ চ্যাপেল, ডগ ওয়াল্টার্সের পর তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার নজির গড়েন লাবুশেন। আর টেস্ট ইতিহাসে এ তালিকায় তিনি অষ্টম।
২০১৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩০৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রান করেছিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা। তাঁর সেই কীর্তির স্মৃতি ৮ বছর পর ফিরিয়ে আনলেন লাবুশেন। তবে সাঙ্গাকারার মতো ‘ট্রিপল’ সেঞ্চুরি তিনি পাননি।