‘ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়’—আইপিএলে ইমপ্যাক্ট–সাব নিয়ে রোহিত
আইপিএলে এবার চলছে রান–উৎসব। আগের মৌসুমগুলোতেও আইপিএল রান উৎসব দেখেছে, তবে এবারের মতো নয়। এবারই প্রথম আইপিএলে রান উঠেছে ওভারপ্রতি ৯–এর বেশি। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিনটি দলীয় স্কোর এসেছে এ বছর, সর্বোচ্চ পাঁচটির মধ্যে অবশ্য চারটিই এ বছর এসেছে।
কেন এমন রান উঠছে, সেই প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইপিএলের ইমপ্যাক্ট-সাব বা ইমপ্যাক্ট-বদলির নিয়ম ভালোভাবে কাজে লাগানোর ফলেই এমন রানপ্রসবা মৌসুম দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ম নিয়ে বিতর্ক আছে। ভারতের তিন সংস্করণের অধিনায়ক রোহিত শর্মাই এই নিয়মের পক্ষে নন।
‘ক্লাব প্রেইরি ফায়ার’ পডকাস্টে রোহিতের কাছে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ‘ইমপ্যাক্ট’ নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে রোহিত বলেছেন, ‘ইমপ্যাক্ট–সাব নিয়মের আমি ভক্ত নই। এটা অলরাউন্ডারদের পেছনে টেনে ধরবে, আর দিন শেষে ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়। আশপাশের মানুষের জন্য বিনোদনমূলক করার জন্য আপনি খেলা থেকে অনেক কিছু নিয়ে নিচ্ছেন।’
ইমপ্যাক্ট–সাব নিয়মের কারণে রান উঠছে, দর্শকেরা বিনোদন পাচ্ছেন। তবে অলরাউন্ডারদের ওপর এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা এই নিয়ম শুরু থেকেই। এবার আইপিএলে যেমন চেন্নাইয়ের শিবম দুবে এক ওভার বোলিংও করেননি, হায়দরাবাদে ওয়াশিংটন সুন্দর তো ম্যাচই পেয়েছেন একটি। রোহিতও এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দররা বল করছে না, যেটা আমাদের জন্য ভালো নয়। সত্যি বলতে আমি এর ভক্ত নই। তবে এটা বিনোদনমূলক।’
রোহিতের এমন মন্তব্যের পর গিলক্রিস্টও নিয়মটি প্রসঙ্গে নিজের মত দেন, ‘এটা বিনোদন যোগ করেছে। এটা মূলত দর্শকদের জন্যই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সফল কারণ, এটা ক্রিকেটের মূল বিষয়ের সঙ্গে আপস করেনি। এটা ১১ বনাম ১১ জনের খেলা, একই মাঠ, ফিল্ড রেস্ট্রিকশনও সমান, অর্থাৎ কোনো চমকের প্রয়োজন হয়নি। সম্ভবত এটা (ইমপ্যাক্ট নিয়ম) ভবিষ্যতের জন্য নয়।’
এর আগে গত পরশু দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিংও ইমপ্যাক্ট–সাব নিয়ে কথা বলেন। পন্টিং বলেন, ‘আমার মনে হয় দলগুলো যেভাবে ব্যাটিং করছে, এর পেছনে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের বড় প্রভাব আছে। গতকাল (১৫ এপ্রিল) দেখেছেন কীভাবে ট্রাভিস হেড ব্যাটিং করেছে। পরের ব্যাটসম্যানদের ওপর আত্মবিশ্বাস না থাকলে এভাবে ব্যাটিং করা যায় না।’