সাইফউদ্দিন কেন নেই বিশ্বকাপের দলে
গত ৩০ এপ্রিল আইসিসির কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে রেখেই সে দলটা সাজিয়েছিলেন নির্বাচকেরা। কিন্তু আজ ঘোষিত বিশ্বকাপের ১৫ জনের দল বা দুজনের স্ট্যান্ডবাই তালিকায়ও নেই সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ৪ ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট নিলেও তাঁকে বিশ্বকাপের জন্য বিবেচনা করা হয়নি।
সাইফউদ্দিনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার তানজিম হাসান। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ২ ম্যাচ খেলে তানজিম উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১টি। সর্বশেষ বিপিএলে ১১ উইকেট নিয়েছেন তানজিম, যেখানে সাইফউদ্দিনের শিকার ১৫ উইকেট। তারপরও কেন বিশ্বকাপের দলে তানজিম? কেন সুযোগ পেলেন না সাইফউদ্দিন।
মিরপুরে দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন বেশি হলো এই প্রসঙ্গেই। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনও দিয়েছেন দুজনের মধ্যে তানজিমকে বেছে নেওয়ার ব্যাখ্যা, ‘সবাই খুব কাছাকাছি লড়াই করেছে। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ তারিখে, সেটা আমরা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে দুটো চিন্তা ছিল। আমরা চেয়েছি বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করা। আর একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা, যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে, তা দেখা। আমাদের যে আস্থার জায়গাটা, সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল। এ জন্য ওকে আমরা দলে রেখেছি।’
ডেথ ওভারের বোলিং সামর্থ্যই যে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিমকে এগিয়ে রেখেছে, সে আভাসও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সাকিবকে (তানজিম হাসান) শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার চেষ্টা তাকে সাইফউদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে। আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল, তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম, সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে।’
এ নিয়ে অন্য এক প্রশ্নে গাজী আশরাফ বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কে কখন উইকেট পাচ্ছে, তা দেখতে হবে। সাইফউদ্দিনকে যে জায়গায় দরকার হতো, সেটা পরখ করে দেখেছি। শেষ দুটি ম্যাচে দুজন পেসার নিয়ে খেলেছি। সেখানে সাইফউদ্দিন কিছু কিছু জায়গায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি।’
প্রধান নির্বাচক অবশ্য বলেছেন, জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে খুব বেশি নেতিবাচক কিছু তিনি বলতে রাজি নন। তাঁর আশা, সাইফউদ্দিনের মতো যাঁরা বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি, ভবিষ্যতে নিজেদের প্রমাণ করে তাঁরা আবার জাতীয় দলে ফিরবেন।