টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: কোনো ম্যাচ না জিতলেও ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা নিয়ে ফিরবে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ না জিতলেও বড় অঙ্কের অর্থ পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলপ্রথম আলো

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি আজ ঘোষণা করেছে আইসিসি। এই টুর্নামেন্টে মোট প্রাইজমানি ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। টুর্নামেন্টের ১৭ বছরের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ প্রাইজমানি।

চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে চ্যাম্পিয়ন দল এবারই সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি পাবে। এবার টুর্নামেন্টটিও হচ্ছে ২০ দল নিয়ে, ২৮ দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোট ৯টি ভেন্যুতে—যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আসর।

রানার্সআপ দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলোর প্রত্যেকে পাবে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার করে। সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দলের প্রত্যেকে প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার করে।

আরও পড়ুন

মোট ২০টি দল চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে। প্রতিটি গ্রুপে রয়েছে ৫টি করে দল এবং প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে সুপার এইটে। অর্থাৎ, ২০ দলের মধ্যে সেরা ৮টি দল সুপার এইটে ওঠার পর বাকি থাকে আরও ১২টি দল। সুপার এইটে ওঠা ৮টি দলের পর পারফরম্যান্স অনুযায়ী নির্ধারিত হবে ৯ম থেকে ২০তম দল। এর মধ্যে ৯ম, ১০ম, ১১তম ও ১২তম দলের প্রত্যেকে পাবে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার করে।১৩তম থেকে ২০তম দলগুলোর প্রত্যেকে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার করে পাবে।

টুর্নামেন্টে কোনো কোনো দল কোনো ম্যাচ না-ই জিততে পারে। তবু শুধু অংশ নেওয়ার জন্য প্রাইজমানি হিসেবে সেই দলগুলো পাবে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা)। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সমর্থকেরা এমন শঙ্কায় পড়তেই পারেন। কারণ, অতীত ইতিহাস ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স।

এই ট্রফির সঙ্গে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার পাবে চ্যাম্পিয়ন দল
আইসিসি

২০০৯, ২০১০ ও ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই সংস্করণে সিরিজ হার এবং প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে প্রায় নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের কারণে সমর্থকেরা আবারও বাংলাদেশের জয়হীন আরেকটি বিশ্বকাপ দেখার শঙ্কায় থাকতে পারেন।

প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার করে পাবে দলগুলো। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল জয় এখানে বিবেচিত হবে না। মোট ৫৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এবার গ্রুপ পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ৪০টি ম্যাচ।

আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস বলেছেন, ‘অনেক দিক ধরেই এটি ঐতিহাসিক ইভেন্ট। খেলোয়াড়দের প্রাইজমানিতেই ব্যাপারটি প্রতিফলিত হয় এবং সেটি মানানসইও। দুনিয়াজুড়ে লাখো সমর্থক খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে বিনোদিত হবেন, যেটা আমরা আশা করছি অবিশ্বাস্য এক টুর্নামেন্টই হবে।’