সিলেটের উইকেট দেখতে না পেরে হতাশ নিউজিল্যান্ড
টেস্ট ম্যাচের আগের দিন ক্রিকেটারদের উইকেট দেখা সাধারণ ব্যাপার। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড দলের ক্রিকেটারদের এই সাধারণ কাজটাই করতে দেওয়া হয়নি। বেশ কয়েকবার বলার পরও উইকেট দেখতে দেওয়া হয়নি সাউদি-উইলিয়ামসনদের। এ নিয়ে নিউজিল্যান্ড দলের খেলোয়াড়েরা অসন্তুষ্ট।
আজ সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলন শেষে নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক টিম সাউদিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমি জানি না কেন দেখতে দেওয়া হয়নি। আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন।’ সিলেট স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জয়দীপ দাস এ নিয়ে বলেছেন, ‘এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। উইকেট–সম্পর্কিত বিষয় কিউরেটরের দায়িত্ব।’
অস্ট্রেলিয়ার টনি হেমিং আপাতত সিলেট স্টেডিয়ামের কিউরেটরের দায়িত্বে। এর আগে ভারতীয় কিউরেটর সঞ্জীব আগারওয়াল চাকরিচ্যুত হওয়ার পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সহকারী কিউরেটর কবির হোসেন সিলেট স্টেডিয়ামের দায়িত্বে ছিলেন। এবার নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য সিলেটে ডাকা হয়েছে হেমিংকে।
সিলেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে অনুশীলনের সুযোগ না পেয়েও হতাশ কিউইরা। আগামীকাল খেলা, কিন্তু এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড দল মাত্র একবার মূল মাঠে ফিল্ডিং অনুশীলন করতে পেরেছে। তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছেন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে। আজ মূল মাঠ হয়ে দুই নম্বর মাঠে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের অনুশীলন করতে দেখে কিউইরা। মূল মাঠে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের নেট সেশন করতে দেখে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার উইল ইয়াং বেশ অবাক হয়েই বলছিলেন, ‘দেখো, ওরা কোথায় অনুশীলন করছে!’
নিউজিল্যান্ড দলের খেলোয়াড়েরা উইকেট দেখতে না পারলেও বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা রীতিমতো উইকেট নিয়ে গবেষণা করেছেন। আজ সকালে মাঠে ঢুকেই সবার আগে উইকেট দেখতে যান তাইজুল ইসলাম। একনজর চোখ বুলিয়ে যান বোলিং অনুশীলনে।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে আসেন নাজমুল হোসেন। হাঁটু গেড়ে বসে তিনি খুঁটিয়ে দেখলেন উইকেট। সঙ্গে ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দুজন মিলে প্রায় ২৫ মিনিট উইকেট নিয়ে আলোচনা করলেন। নাজমুল সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশারের সঙ্গেও দীর্ঘ আলোচনা করেন হাথুরুসিংহে।
দুপুরে দুই দলের অনুশীলন শেষে অবশ্য কিছুক্ষণের জন্য উইকেটের চেহারা দেখার সুযোগ হয়েছে দুই কিউই ক্রিকেটার উইল ইয়াং ও ডেভন কনওয়ের। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে উইকেটের কাভারের নিচে মাথা ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ উইকেটের মাঝখানটা দেখার চেষ্টা করেছেন দুজন। তাতে উইকেট–রহস্য কতটা উদ্ঘাটিত হলো, কে জানে!