চলে গেলেন অভিষেকে সেঞ্চুরি করা প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বিলি ইবাদুল্লাহইনস্টাগ্রাম/পিসিবি

৮৮ বছর বয়সে চলে গেলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বিলি ইবাদুল্লাহ। পাকিস্তানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে চারটি টেস্ট খেলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ম্যানেজারও।

পাকিস্তান ক্রিকেটের বাইরে ইবাদুল্লাহর বড় সংশ্লিষ্টতা ছিল নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটে। দীর্ঘ সময় ডুনেডিনে কাটানো ইবাদুল্লাহ ছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ব্যক্তিগত ব্যাটিং কোচ। কেইন রাদারফোর্ড, ক্রিস কেয়ার্নসদের উঠে আসার পেছনেও অন্যতম ভূমিকা ছিল তাঁর।

১৯৬৪ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান–অস্ট্রেলিয়ার করাচি টেস্টে অভিষেক হয় ইবাদুল্লাহর। সে ম্যাচে তাঁর সঙ্গে ব্যাটিং ওপেন করেন আরেক অভিষিক্ত আবদুল কাদির। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে তোলা ২৪৯ রান সে সময় পাকিস্তানের হয়ে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রান, ৬০ বছর পর এখনো যা টেস্ট ক্রিকেটে দুই অভিষিক্তের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

অভিষেক টেস্ট ইনিংসে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলা ইবাদুল্লাহ পরে আরও তিন ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি। অফ স্পিন বোলিংয়ে চার টেস্টে উইকেট ১টি। নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফের তথ্য অনুসারে, ১৯৭৬ সালে ডুনেডিনে থিতু হন ইবাদুল্লাহ। সেখানে একটি প্রাইভেট ক্রিকেট কোচিং ক্লিনিকে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেন। তাঁর হাতে ক্রিকেট শেখা কিশোর–তরুণদের অনেকে কিউই ক্রিকেটের বড় নাম হয়ে ওঠেন। এর মধ্যে ছিলেন গ্লেন টার্নার, রাদারফোর্ড, কেয়ার্নস ও ম্যাককালাম।

বর্তমানে ইংল্যান্ডের টেস্ট কোচের দায়িত্বে থাকা ম্যাককালামের ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক ধরন গড়ার কাজটিও তাঁরই করা। ২০১৬ সালে ম্যাককালাম যখন ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের ১০১তম টেস্ট খেলছিলেন, তখন বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইবাদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘আমি ওকে ক্রিকেট ইতিহাসের বিরুদ্ধস্রোতে চলা ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখতে চেয়েছি। সেটাই হয়েছে।’

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট এবং ক্রিকেটপোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো খবরে ইবাদুল্লাহ শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেছেন লেখা হলেও কোথায় মৃত্যুবরণ করেছেন, এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।