স্বাগত
দিনের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি তাই এখন কার্যত নকআউট। যে দল জিতবে, সেমিফাইনালে ভারতের সঙ্গী হবে তারা। প্রথম আলোর লাইভ আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন
তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বাদ পড়েছেন শরীফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী ও হাসান মাহমুদ। দলে এসেছেন সৌম্য সরকার, নাসুম আহমেদ ও ইবাদত হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও ইবাদত হোসেন।
অপরিবর্তিত পাকিস্তান
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জেতার ম্যাচের দলই খেলাচ্ছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়াজ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।
সেমিফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ?
প্রথম ওভারে ৬
মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। চতুর্থ বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়েছেন নাজমুল, তবে পয়েন্ট দিয়ে হয়েছে চার। পরের বলে আবার আউটসাইড-এজ হয়ে উঠেছিল বল, তবে ফিল্ডারের নাগালের বাইরে ছিল তা। শেষ বলে ফুললেংথে পেয়ে ড্রাইভ করেছিলেন, তবে ডাইভ দেওয়া আফ্রিদিকে পরাস্ত করতে পারেনি সে শট।
প্রথম ওভারে উঠেছে ৬ রান।
বলছেন হার্শা
তিন দিন আগেও ভাবা হচ্ছিল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্ভাবনা শুধু টিকে আছে খাতা-কলমেই। সে সম্ভাবনা এখন এসে ঠেকেছে সহজ একটি সমীকরণে—এ ম্যাচ জিতলেই নিশ্চিত সেমিফাইনাল!। হার্শা ভোগলে বলছেন, ধৈর্যের ফল এমনই হয়! এবং, এ বিশ্বকাপ চমক দেখাচ্ছে পদে পদে!
ছক্কার পর আউট লিটন
শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট বল। ক্রিজ ছেড়ে একটু বাড়িয়ে লিটনের দুর্দান্ত টাইমিংয়ের পুল। মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা। ওভারের দ্বিতীয় বলে সেটি মেরেছিলেন লিটন। তবে পঞ্চম বলে গিয়ে কাট করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন লিটন। সরাসরি ক্যাচ গেছে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের হাতে। লিটন ফিরে গেছেন ৮ বলে ১০ রান করে, ২১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
জীবন পেলেন নাজমুল
ইন অ্যান্ড আউট! জীবন পেলেন নাজমুল হোসেন। চতুর্থ ওভার করতে আসা মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে পাঞ্চ করেছিলেন নাজমুল। শর্ট এক্সট্রা কাভারে সামনে ঝুঁকে বলের নাগাল পেয়েছিলেন শাদাব খান। তবে পাকিস্তানের সেরা ফিল্ডারের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে বল। নাজমুল বেঁচে গেছেন ১১ রানে। ১ বল পর স্ল্যাশ করে মেরেছেন চার। মানে জীবন পেয়েও চড়াও হওয়া থামাবেন না—ইঙ্গিত এমন।
শেষ বলে পুল করে ছক্কা মেরেছেন সৌম্য। ব্যাটের আওয়াজই বলে দিচ্ছিল, এ বলে ছক্কা ছাড়া অন্য কিছু হওয়ার কথা নয়!
বাংলাদেশ ৩৪/০।
পাওয়ারপ্লেতে ৪০/১
লিটনের উইকেট, নাজমুলের জীবন, সৌম্যর টাইমিংয়ের আভাস—পাওয়ারপ্লের হাইলাইটস। নাজমুল টিকে আছেন ২০ বলে ২১ রান করে। পাওয়ারপ্লেতে বোলিং করেছেন পাকিস্তানের চার পেসারই। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ
শাদাবের পর ইফতিখার
ক্রিজে দুই বাঁহাতি, এসেছেন অফ স্পিনার ইফতিখার আহমেদ। কাট করে একটি চার মেরেছেন নাজমুল, ইফতিখারের প্রথম ওভারে এসেছে ৭ রান।
৮ ওভারে বাংলাদেশ ৫৬/১।
সৌম্যকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন শাদাব
দুই বাঁহাতির বিপক্ষে টানা তৃতীয় ওভার করতে এসে সফল হলেন শাদাব খান। তাঁকে রিভার্স সুইপের অপশন বেছে নিয়েছিলেন সৌম্য, পয়েন্টে থাকা শান মাসুদের হাতে ধরা পড়েছেন। ৫২ রানের জুটি ভেঙেছে তাতে, সৌম্য ফিরেছেন ১৭ বলে ২০ রান করে।
আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফিরতে হলো সাকিবকে
সামনে এসে খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। শাদাবের ফুললেংথের বলে বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবিডব্লু দিয়েছেন আড্রিয়ান হোল্ডস্টক। সেটিও বেশ খানিকটা সময় নিয়ে। সাকিব রিভিউ করেছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই।
সাকিবের বুটে বল লাগার আগে আল্ট্রা এজে স্পাইক ছিল। তবে টেলিভিশন আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে বলেছেন, সে স্পাইক ব্যাট মাটিতে লাগার কারণে। যে ফ্রেমে স্পাইক প্রথম দেখা গেছে, বল তখনো ব্যাটের পাশে যায়নি বলে সিদ্ধান্ত তাঁর। ইমপ্যাক্টও ছিল ৩ মিটারের বাইরে।
ফিরতে গিয়ে আবার আম্পায়ারের কাছে ফিরে আলোচনা করেছেন সাকিব। তবে ফিরতেই হয়েছে তাঁকে। পরপর ২ বলে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফিফ এসে অবশ্য হ্যাটট্রিক হতে দেননি।
নাজমুলের ফিফটি
জিম্বাবুয়ের পর এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি পেলেন নাজমুল। শাদাবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে মাইলফলকে গেছেন বাংলাদেশ ওপেনার। ৪ ওভার শেষ করেছেন শাদাব, ৩০ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
নাজমুল ব ইফতিখার
ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন নাজমুল, তবে ইফতিখারের লেংথ ছিল শর্ট। বলের নাগাল না পেয়ে বোল্ড হয়েছেন নাজমুল। ১৮ রানের মধ্যে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল ফিরেছেন ৪৮ বলে ৫৪ রান করে।
মানতে পারছিলেন না সাকিব
বেঁচে গেলেন আফিফ, বাংলাদেশের ১০০
নন স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউটের হাত থেকে বেঁচে গেলেন আফিফ। ওয়াসিম স্টাম্প ভেঙেছিলেন, তবে এর আগেই হাত থেকে বেরিয়ে গেছে বল।
১৬তম ওভারের প্রথম বলে নাসিমকে চার মেরেছেন আফিফ, বাংলাদেশের ১০০ পূর্ণ হয়েছে তাতে।
মোসাদ্দেক বোল্ড
আফ্রিদির রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা ফুললেংথের বল। মোসাদ্দেকের কাছে কোনো জবাবই ছিল না সেটির। ১০ বলে ৫ রান করে ফিরেছেন মোসাদ্দেক, বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে, ১০৭ রানে।
ফিরলেন নুরুলও
তুলে মারতে গিয়েছিলেন নুরুল, তবে লেংথ ছিল না অমন। কাভারে ধরা পড়েছেন কোনো রান না করেই। ওভারে আফ্রিদির দ্বিতীয় আঘাত, পথ হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
আফ্রিদি ৪/২২
১৯তম ওভারে তাসকিনকে ফিরিয়েছেন আফ্রিদি। তাঁর শেষ বলে চার মেরেছেন আফিফ। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার।
১৯তম ওভার শেষে বাংলাদেশ ১১৬/৭।
১২৭ রানে আটকে গেল বাংলাদেশ
১০.৩ ওভার, ৭৩ রান, ১ উইকেট। এক সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল এমন। সেটিই ২০ ওভার শেষে গিয়ে দাঁড়াল ৮ উইকেটে ১২৭ রানে।
লিটন শুরুতে ফিরলেও নাজমুল ও সৌম্যর জুটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ভালো একটা ভিতই। শাদাব খানকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এরপর ক্যাচ দেন সৌম্য, ঠিক পরের বলেই আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফিরতে হয় সাকিবকে।
অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ পথ হারায় এরপর। শেষ ৯.৩ ওভারে ৫৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাদাবের পর বাংলাদেশের বড় ক্ষতিটা করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, ২২ রানে ৪ উইকেট নেন এ পেসার।
হারিস রউফের করা শেষ ওভারে আফিফের পর চার মেরেছেন নাসুম আহমেদ। তবে পঞ্চম বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েছেন নাসুম।
রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়লেন নুরুল
পাকিস্তানের ইনিংসের তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলেছিলেন পাকিস্তান ওপেনার রিজওয়ান। ক্যাচটি ফেলে দেন বাংলাদেশের উইকেটককিপার নুরুল হাসান। দুর্ভাগা বোলারের নাম তাসকিন আহমেদ। পরের বলেই ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন রিজওয়ান।
বলছেন আকাশ চোপড়া
পাওয়ারপ্লেতে ৩৫/০
রিজওয়ানকে শুরুতেই আউট করার সুযোগ পেলেও হারিয়েছে বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে অবিচ্ছিন্ন আছে বাবর-রিজওয়ান জুটি। প্রথম ৬ ওভারে পাকিস্তান তুলেছে ৩৫ রান। তাসকিন ও মোস্তাফিজের সঙ্গে বল করেছেন দুই বাঁহাতি স্পিনার—সাকিব ও নাসুম। তবে ব্রেকথ্রুর দেখা পাননি কেউ।
বিশ্বকাপে ইবাদতের প্রথম ওভার
আজ বিশ্বকাপ অভিষেক হয়েছে ইবাদত হোসেনের। ইনিংসের নবম ওভারে নিজের প্রথমটি করতে এসেছেন এ পেসার। অফ স্টাম্পের বাইরের চ্যানেলে লেংথে করেছিলেন প্রথম চারটি। পঞ্চম বলটি ছিল একটু সামনে। শেষ বলটিও তাই। প্রথম ৩ বলে ১ রান দেওয়ার পর ইবাদত পরের ৩ বলে দিয়েছেন ৫ রান।
পাকিস্তান ৯ ওভারে ৪৮/০।
প্রথম ২৯ বলে ১৯ রান বাবরের
বাবরকে ফিরিয়ে নাসুমের ব্রেকথ্রু
১১তম ওভারে জুটি ভাঙলেন নাসুম। অফ স্টাম্পের বাইরে সরে গিয়ে স্লগ করতে গিয়েছিলেন বাবর, তবে লিডিং এজে ক্যাচ গেছে শর্ট থার্ডে। সেখানে ভুল করেননি মোস্তাফিজুর রহমান।
বাবর আজমের বাজে ফর্ম চলছেই। পাকিস্তান অধিনায়ক আজ ফিরেছেন ৩৩ বলে ২৫ রান করে। তিনে এসেছেন বাঁহাতি মোহাম্মদ নেওয়াজ।
মোমেন্টাম নিজেদের পক্ষে আনতে পারবে বাংলাদেশ?
রিভিউ কাজে এলো না
সুইপ করতে গিয়ে মিস করেছিলেন নেওয়াজ। আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টোকের নট আউটের সিদ্ধান্ত প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ করেন সাকিব, তবে ইমপ্যাক্ট ছিল বাইরে।
১১ ওভারে ৬১/১।
এবার ইবাদতের আঘাত
অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁড়েছিলেন রিজওয়ান, পয়েন্টে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল। ৫ বলের মধ্যে ২ উইকেট পেল বাংলাদেশ। রিজওয়ান ফিরেছেন ৩২ বলে সমান রান করে।
রানআউটের সুযোগ হাতছাড়ার কাটা ঘায়ে ওভারথ্রোর (ও নো বলের) নুনের ছিটা
ইবাদতের বলে নেওয়াজের বিপক্ষে হয়েছিল এলবিডব্লুর আবেদন। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান এসে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিজের মধ্যে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে করা নাজমুলের থ্রো স্টাম্প ভাঙলে রানআউট হতেন নেওয়াজ। তবে ব্যাকআপ ছিলেন না কেউ, সেটিতে এসেছে চার রান। সাকিবের হতাশা ছিল স্পষ্ট।
আম্পায়ারের সঙ্গে এরপর সাকিবকে (প্রায়) উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গেছে। রিপ্লে দেখিয়েছে, একেবারে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন সাকিব। অবশ্য সময় পেরিয়ে গিয়েছিল তার আগেই।
ইবাদত আবার শেষ বলটি করেছেন নো বল। যদিও ফ্রি হিটে কোনো রান আসেনি। ঘটনাবহুল ওভারে এসেছে ৮ রান, সঙ্গে রিজওয়ানের উইকেট।
ইটস অল হ্যাপেনিং অ্যাট দ্য অ্যাডিলেড ওভাল!
মোস্তাফিজের শর্ট বলে হেলমেটে লেগেছিল মোহাম্মদ হারিসের। এরপর ব্যাটের পিঠে লেগে উঠেছিল ক্যাচ। তবে সেটি গেছে নুরুলের নাগালের বাইরে দিয়ে। আপাতত কনকাশনের প্রাথমিক পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হবে হারিসকে।
ইটস অল হ্যাপেনিং অ্যাট অ্যাডিলেড ওভাল!
নাসুম ১/১৪
৪ ওভার, ১৪ রান, ১ উইকেট।
এবারের বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই এমন বোলিং ফিগার নাসুম, যাঁর স্পেল শেষ হয়েছে ১১তম ওভারেই।
আপাতত ১৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২ উইকেটে ৭৬ রান। শেষ ৪২ বলে প্রয়োজন ৫২ রান।
আরেকটি সুযোগ
প্রথমে ফুললেংথের বলে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন হারিস। এরপর শর্ট বলে হুক করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন। ডিপ স্কয়ার লেগে লাফিয়ে উঠে সেটি নিয়েছিলেন আফিফ। তবে ভারসাম্য রাখতে পারেননি। বল হাত থেকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর পা এর আগেই স্পর্শ করেছে বাউন্ডারি কুশন।
ইবাদতের ওভারে এসেছে ১৩ রান।
বুলসআই!
এবার সরাসরি থ্রো, এবার আউট। সাকিবের বলে এক্সট্রা কাভারের দিকে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন নেওয়াজ। লিটন দাসের সরাসরি থ্রো স্টাম্পে আঘাত করার সময় ক্রিজের বাইরেই ছিলেন তিনি। রানআউটে শুধু উইকেট নয়, ২ রানও বাঁচাল বাংলাদেশ, ওভাথ্রোয়ে আরেকটি রান নিয়েছিলেন নেওয়াজ।
৩২ বলে দরকার ৩৬ রান।
তাসকিনের ওভারে ১৬
ফর্মে থাকা ইফতিখারের বদলে পাকিস্তান পাঠিয়েছে বাঁহাতি শান মাসুদকে। তাসকিনের করা ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ তুলেছিলেন মাসুদ, তবে মিড অন থেকে ছুটতে থাকা সাকিবের নাগালের বাইরে দিয়েই গেছে সেটি।
তৃতীয় বলটা আবার তাসকিন করেছেন নো বল। ফ্রি হিটে জায়গা বানিয়ে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন হারিস। আবারও চাপ আলগা হয়ে গেছে তাতে।
তাসকিনের করা ১৬তম ওভারে এসেছে ১৬ রান। শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন ১৮ রান।
হারিস আউট
সাকিবের বলে লেগ স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে জায়গা বানানোর পর চার মেরেছেন শান মাসুদ। এরপর ফুললেংথের বলে টেনে মেরেছেন আরেকটি। পঞ্চম বলে সামনে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন হারিস, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে নাসুমের হাতে।
হারিস ফিরেছেন ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে। হারিসের ইনিংস নাকি উইকেট—কোনটি ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো?
হার্শেল গিবস বলছেন, এটিই সেরা বিশ্বকাপ। একমত?
আরেকটি উইকেট
মোস্তাফিজের বলে তুলে মেরেছিলেন ইফতিখার। যেদিকে চেয়েছিলেন, পারেননি। খাড়া ওপরে উঠেছিল বল, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল।
৫ উইকেটে হেরে বাংলাদেশের বিদায়, সেমিফাইনালে পাকিস্তান
দুই দল যখন টিম হোটেল থেকে মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা হয়, হয়তো তখনো জানত না এ ম্যাচের তাৎপর্যটা।
নেদারল্যান্ডস এরপর জন্ম দিল বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম বড় অঘটন। ডাচদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হারে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে পড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচটিই কার্যত পরিণত হলো কোয়ার্টার ফাইনালে—জিতলেই নিশ্চিত সেমিফাইনাল। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। তবে গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার মতো ইনিংসের পরের ভাগে পথ হারিয়েছে তারা।
এরপরও ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারত বাংলাদেশের জন্য। এর আগে ব্যাটিংয়ে নাগালের মধ্যে থাকা ১৫-২০ রান বেশি হলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারত। সেটি হলো না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ইশারা দিয়েই চলে গেল বাংলাদেশের কাছ থেকে।
বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটিতে ৫৭ রান উঠলেও দুজন মিলে খেলেছিলেন ৬৩ রান। বাংলাদেশকে ছিটকে দিয়েছেন মূলত মোহাম্মদ হারিস। ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলার পথে নেওয়াজের সঙ্গে ২০ বলে ৩১ রানের পর শান মাসুদের সঙ্গে ১৪ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন হারিস।
পাকিস্তান জয় পেয়েছে ১১ বল বাকি থাকতে, ৫ উইকেটে।
এ হারে নেদারল্যান্ডসের নিচে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অঘটনের জন্ম দিতে পারলে অবশ্য জিম্বাবুয়ে টপকে যাবে এ দুই দলকেই।
১৫-২০ রানের আক্ষেপ সাকিবের
১৪৫-১৫০ রানের মতো করতে চেয়েছিলাম। এ পিচে সেটি ভালো একটি স্কোর হতো। জানতাম, নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হবে। ফলে থিতু ব্যাটসম্যানদের কাউকে আরও থাকতে হতো। সেটি হয়নি।