পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি দলে বাবরের জায়গা দেখেন না আমির–ইমাদ
৯৮ ইনিংসে ৪১.৪৮ গড়, ৩ শতক, অর্ধশতক ৩০টি, স্ট্রাইক রেট ১২৮.৪০। এটা টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজমের পারফরম্যান্স। বাবরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সামান্যই।
তবু পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলে বাবরের জায়গা দেখছেন না পেসার মোহাম্মদ আমির ও স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম। পাকিস্তানের টেলিভিশন জিও নিউজের ‘হার না মানা হ্যায়’ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন আমির ও ইমাদ।
গতকাল তিন সংস্করণ থেকেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছেড়েছেন বাবর। নতুন অধিনায়ককে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে তিন সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান বাবর। তবে আমির ও ইমাদ মনে করেন, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান দলে বাবরের জায়গা হয় না। তাঁরা অবশ্য এই মতামত দিয়েছিলেন বাবর অধিনায়কত্ব ছাড়ার আগে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তাবিশ হাশমি আমিরের কাছে জানতে চান, বাবরের তিন সংস্করণেই দলে জায়গা আছে কি না? আমিরের উত্তর, ‘টি-টোয়েন্টিতে বাবরের জায়গা নেই।’ এরপর হাশমি প্রশ্ন করেন ইমাদের প্রতি। তাঁর কাছে জানতে চান, আমিরের মতের সঙ্গে তিনি একমত কি না? ইমাদ এর জবাবে জানান, ‘কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টিতে নেই।’
চলতি বিশ্বকাপটা পাকিস্তানের জন্য ভালো কাটেনি। তারা বিশ্বকাপ শেষ করেছে ৫ নম্বরে থেকে। হেরেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। বাবরের নেতৃত্বাধীন এই দলের সমালোচনা হয়েছে পুরো বিশ্বকাপেই। ইমাদ এবং আমিরও পুরো বিশ্বকাপেই সরব ছিলেন, পাকিস্তান দলের নিয়মিত সমালোচনা করেছেন, বিশেষ করে বাবরের। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর যখন অনেকেই পাকিস্তানের পুরো সিস্টেমকে দায় দিচ্ছিলেন, তখনও বাবরকে কাঠগড়ায় তুলেছেন আমির।
জিও নিউজের একই অনুষ্ঠানে আমির বলেছিলেন, ‘আমরা বলছি, সিস্টেম ঠিক করতে হবে, সিস্টেমকে বদলাতে হবে, অধিনায়ক বদলালে হবে না। উদাহরণ দেওয়া যাক—১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, এই সিস্টেমই কিন্তু ছিল। ১৯৯৯ সালে আমরা ফাইনালে খেলেছি, তখনো একই সিস্টেম ছিল। এরপর আমরা ২০০৯ সালে একই সিস্টেম নিয়ে বিশ্বকাপ জিতলাম। একইভাবে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও জিতেছি। এতে কী প্রমাণিত হয়? একই সিস্টেম অনেক দিন ধরে চলে আসছে। তাই অধিনায়কই হচ্ছে আসল ব্যাপার। অধিনায়ককে সিস্টেম থেকে আলাদা করবেন না। এই অধিনায়কই চার বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে–ই নিজের মনমতো এই দল তৈরি করেছে।’