টানা ২ জয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

শামার জোসেফ নেন ৩১ রানে ৩ উইকেটএএফপি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে ৫ ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৬৭। মাত্র ১৫ বলে ৪২ রান নিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিচ্ছিলেন রিজা হেনড্রিকস। কিন্তু পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে হেনড্রিকসের স্টাম্প ভেঙে দিলেন রোমারিও শেফার্ড। ম্যাচের ফলটাও হয়তো লেখা হয়ে গেল তখনই।

শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রানে আটকে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ হেরেছে ৩০ রানে। ৪ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট তুলে ম্যাচসেরা ওই শেফার্ডই। এ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন টি–টোয়েন্টির সিরিজ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ছিল হেনড্রিকসের আউট পর্যন্তই। ওপেনার রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে ২৮ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়া হেনড্রিকস করেন ১৮ বলে ৪৪ রান। এরপর যাঁরা ব্যাট করতে নেমেছেন, সর্বোচ্চ ২৮ রান এসেছে ট্রিস্টান স্টাবসের ব্যাট থেকে। শেফার্ডের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে অধিনায়ক এইডেন মার্করাম করেন ৯ বলে ১৯ রান।

৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা রোমারিও শেফার্ড
এএফপি

শেষ দিকেও অবশ্য কিছুটা আশা ছিল প্রোটিয়াদের। সর্বশেষ ৪ ওভারে দরকার ছিল ৪২ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। কিন্তু যে দলের শেষ ছয় ব্যাটসম্যানই এক অঙ্কে আটকে থাকেন, তাঁদের আর এমন সমীকরণ মেলানোর সুযোগ কই?

আরও পড়ুন

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের সংগ্রহ বড় করে শেষ দিকেই। ১৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১১১ থেকে শেষ ছয় ওভারে আরও ৬৮ রান যোগ করে দলটি। যে রান তোলায় বড় অবদান অধিনায়ক রোভমান পাওয়েল (২২ বলে ৩৫) এবং শারফেন রাদারফোর্ডের (১৮ বলে ২৯)। শেষ দিকে নেমে ৬ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শেফার্ড।

সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচ বুধবার।

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় ক্যারিবীয়দের
এএফপি

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৭৯/৬ (হোপ ৪১, পাওয়েল ৩৫, রাদারফোর্ড ২৯, অ্যাথানেজ ২৮; উইলিয়ামস ৩/৩৬, ক্রুগার ২/২৯)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ (হেনড্রিকস ৪৪, স্টাবস ২৮, রিকেলটন ২০; শেফার্ড ৩/১৫, জোসেফ ৩/৩১)।

ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ:  রোমারিও শেফার্ড।

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২–০ তে এগিয়ে।

আরও পড়ুন