আবারও সেই ব্যাটিং বিপর্যয়। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিং এবং প্রায় শেষ পর্যন্ত এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যাপারটি ছিল প্রশংসনীয়। তবে দ্রুত রান তাড়া করার সময় ডানহাতি–বাঁহাতি করতে গিয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটারদের কেন বসিয়ে রাখা হলো, তা বোঝা গেল না।
তানজিম হাসান ৩.৫/১০
বোলিং খারাপ করেছে, তা নয়। তবে ইনিংসের শেষ ওভারটা করতে গিয়ে মুদ্রার অন্য পিঠটাও দেখতে হলো। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে।
তাসকিন আহমেদ ৭.৫/১০
স্পেলের শেষ বলে ছক্কা খাওয়ার পরও ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান। অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ও মিতব্যয়ী বোলিং, যা আফগান ব্যাটারদের পুরোটা সময় চাপে রেখেছিল।
সাকিব আল হাসান ৪.৫/১০
পাওয়ারপ্লে ও মিডল ওভারের পুরোটা সময় ভালো বল করেছে। তবে ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ।
মোস্তাফিজুর রহমান ৭/১০
এ ম্যাচেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিয়ন্ত্রিত ও মিতব্যয়ী বোলিং করেছে এবং আফগান ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলতে দেয়নি।
রিশাদ হোসেন ৮/১০
৩ উইকেট নিয়ে দিনের সফলতম বোলার। আফগান দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো নিয়ে ম্যাচের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখায় মূল ভূমিকা রেখেছে। ব্যাটিংয়ে একটু যত্নবান হতে পারত।
তানজিদ হাসান ২/১০
আজও ব্যর্থ। এত সুযোগ পেয়েও অবদান রাখতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক।
লিটন দাস ৮.৫/১০
এক প্রান্ত ধরে রেখেছে। তবে শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ওপর এতটা নির্ভর না করে ইনিংসের মাঝপথ থেকে সুযোগমতো আরও কিছুটা আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে পারত।
নাজমুল হোসেন ২/১০
এ ম্যাচে দ্রুত রান তোলার প্রয়োজন ছিল। তাই প্রতি বলে বড় শট খেলার চেষ্টা না করে একটু সিলেক্টিভ হলে হয়তো ভালো হতো।
সৌম্য সরকার ৩.৫/১০
স্পিনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বলে মনে হয় না। আজ সুযোগ ছিল দলের জন্য ভূমিকা রাখার। অবশ্য ফিল্ডিংয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
তাওহিদ হৃদয় ৪/১০
ওকে আরও আগেই ব্যাটিংয়ের হাল ধরার সুযোগ করে দেওয়া উচিত ছিল। তবে ঘুরেফিরে একই শট খেলার প্রবণতা বদলানো প্রয়োজন।
মাহমুদউল্লাহ ২/১০
দারুণ সুযোগ ছিল নিজের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার।