২৭৪ রানই যথেষ্ট মনে হচ্ছে আগা সালমানের

সংবাদ সম্মেলনে আগা সালমানএক্স/পিসিবি

প্রথম টেস্টে ৪৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। অথচ পঞ্চম দিন বিকেলে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নেয় ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এবার রাওয়ালপিন্ডির একই মাঠে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে তিন শ রানের নিচে। সিরিজ বাঁচানো যখন মূল লক্ষ্য, তখন প্রথম ইনিংসের ২৭৪ রান কি যথেষ্ট?

আগা সালমানের মনে হচ্ছে পাকিস্তানের রান একেবারে কম হয়নি। বরং ২৭৪ রানও যথেষ্ট, যদি বোলাররা উইকেট কাজে লাগাতে পারেন। সাতে নেমে ৫৬ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ম্যাচের উইকেটে বোলারদের জন্য সুবিধা আছে।

বৃষ্টিতে প্রথম দিনের খেলা পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর আজ দ্বিতীয় দিনে ৮৭.১ ওভারের খেলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রানে থেমে গেছে পাকিস্তানের ইনিংস। এক সাংবাদিক সালমানকে প্রশ্ন করেন, রাওয়ালপিন্ডিতে ওয়ানডেতে যে রান ওঠে সেটাও তো তুলতে পারেননি। এই রান নিয়ে কি ম্যাচ জেতার আশা করা যায়?

টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম ম্যাচ খেলতে নামা সালমান একটু হেসে নিয়ে বলেন, ‘দেখুন, টেস্টে ১২০-১২৫ রানও কিন্তু হয়। আমার তো মনে হয়েছে এই পিচে বোলারদের জন্য কিছু আছে। আর ২৭৪ রান যথেষ্ট কি না সেটা এক ইনিংসের পর বলা যায় না। দুই ইনিংস গেলে তবে বোঝা যায় কত রান এখানে সঠিক। তবে আমার মতে রান যথেষ্টই হয়েছে।’

অন্য একটি প্রশ্নের জবাবেও উইকেটে বোলিং-বান্ধব উপাদান থাকার কথা জানান সালমান, ‘প্রথম টেস্টের তুলনায় এবারের উইকেটে ঘাস আছে। আমার তো মনে হয় যথেষ্ট রান আমরা করতে পেরেছি। এখন বোলাররা যদি সঠিক জায়গায় বল রাখতে পারেন, তারা সহায়তা পাবেন।’

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইনিংসে সালমান ছাড়াও ফিফটি করেছেন ওপেনার সাইম আইয়ুব ও অধিনায়ক শান মাসুদ। বাবর আজম শুরুটা ভালো করলেও ৩১ রানে আটকে গেছেন। এ নিয়ে টেস্টে সর্বশেষ ১৪ ইনিংসেই কোনো ফিফটি নেই সাবেক পাকিস্তান অধিনায়কের। বাবরের অফ ফর্ম নিয়ে জিজ্ঞেস করলে সালমান বলেন, ‘বাবর বিশ্বমানের খেলোয়াড়। ১০-১২ বার ব্যর্থ হলে এমন কী হলো? ৫ বছর তো ধারাবাহিকভাবে কত রান করেছে। ব্যাটসম্যানদের ক্যারিয়ারে এমন সময় আসেই। আমরা বাকি ১০ জন তো আছি। আশা করি শিগগিরই তিনি রানে ফিরবেন এবং বড় ইনিংস খেলবেন।’

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। সালমান জানালেন, পাকিস্তানের লক্ষ্য বাংলাদেশকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করে ম্যাচের ফল বের করা, যাতে সিরিজ ড্র করা যায়।

আরও পড়ুন