পাকিস্তানে আফ্রিদির মতো খেলোয়াড় কোথায় গেল—জিজ্ঞাসা সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারের
পাকিস্তান কি মাঠের ক্রিকেটে শহীদ আফ্রিদিকে মিস করে?
হয়তো করে, হয়তো করে না। সময়ের সঙ্গে সবাইকেই বিদায় নিতে হয়। আফ্রিদিও বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মতো কাউকে কি পাকিস্তানের ক্রিকেট পেয়েছে? ভারতের সাবেক ক্রিকেটার নভোজিত সিং সিধুকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, বলবেন পায়নি। এ নিয়ে বরং আক্ষেপই আছে সিধুর। নিউইয়র্কে আফ্রিদির সঙ্গে দেখা হওয়ায় সিধু বলেছেন, তাঁর মতো ক্রিকেটার পাকিস্তান আর পাচ্ছে না কেন?
১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা আফ্রিদি সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। আর ভারতের হয়ে ১৩৬টি ওয়ানডে ও ৫১ টেস্ট খেলা সিধুর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ১৯৯৯ সালে। দুজনের একসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ছিল বছর তিন–চারেকেরই। তবে মাঠের ক্রিকেটের পাশাপাশি মাঠের বাইরের সাক্ষাৎ মিলিয়ে আন্তরিকতা আছে বেশ। সেটিই আরেকবার ফুটে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের মঞ্চে।
সিধু টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গেছেন স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্য প্যানেলের একজন হিসেবে। আর আফ্রিদি এবারের বিশ্বকাপেরই অন্যতম শুভেচ্ছাদূত। রোববার নিউইয়র্কে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের আগে হঠাৎ দেখা সিধু–আফ্রিদির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আফ্রিদি–সিধু একে অপরকে দেখে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় আফ্রিদির পিঠ চাপড়ে দিয়ে সিধু বলেন, হ্যান্ডসাম আফ্রিদি।
এরপর ক্যামেরায় থাকা ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে বলতে থাকেন, ‘ওর চেয়ে স্মার্ট কাউকে কখনো দেখেছেন? আফ্রিদিও চুপ থাকেননি। সিধুর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কত না ক্রিকেট খেলেছি।’ এরপরই সিধুর কণ্ঠে ফুটে ওঠে আক্ষেপ।
আফ্রিদির দিকে হাত ইশারা করে ক্যামেরাম্যানকে (সম্ভবত পাকিস্তানের কেউ) বলেন, ‘তোমাদের এ ধরনের খেলোয়াড় কোথায় গেল? কোথায়?’
আফ্রিদি স্পিনার হিসেবে জাতীয় দলে পা রাখলেও পরবর্তী সময় ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত হয়ে ওঠেন। তবে ব্যাট হাতে সেভাবে ধারাবাহিক হতে না পারলেও ক্যারিয়ারের বড় সময় ধরে লেগ স্পিনে ভালো অবদান রাখতেন। ৯৯ টি–টোয়েন্টিতে ৯৮ উইকেট ও ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ১৪১৬ রান তাঁর।